পোস্টস

গল্প

ম্যারিড, হেয়্যার ফর ফান!

২৬ মার্চ ২০২৪

Shifat Binte Wahid

মূল লেখক সিফাত বিনতে ওয়াহিদ

“তোমাকে তো আগেই বলেছি, কোনো ধরনের কমিটমেন্টে আমি যেতে পারবো না। আই হ্যাভ অ্যা ওয়াইফ, আই হ্যাভ অ্যা সান, অ্যান্ড আই লাভ দেম অ্যা লট।” এক নিঃশ্বাসে হাত নাড়িয়ে কথাগুলো বলে যাচ্ছে ফাহাদ। অপলক হয়ে আমি ওর অস্থির চোখ, হাত নাড়ানো আর নার্ভাস চেহারা দেখছি। আমাদের প্রতিবার দেখা হয় গুলশান ১-এর এই বারে, “র ক্যানভাস।” আজকেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। প্রথম দেখাতেও ফাহাদের চোখে-মুখে একই রকম অস্থিরতা ছিল, তবে আজকেরটা ভিন্ন। আমি সেদিনও যেমন শান্ত ছিলাম, আজকেও আছি। যদিও আজকে এখানে আসার আগ পর্যন্ত আমার ভেতরে তুমুল এক ঝড় বইছিল। এখানে আসা নিয়েও কাজ করছিল নানা দ্বিধাদ্বন্দ্ব। শেষ পর্যন্ত মনকে শান্ত করে আসার সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলাম। আমি জানি, আমার আসলে হারানোর কিছু নেই। ফাহাদের আছে। আর সেসব না হারানোর জন্য ফাহাদ যা যা বলবে, তাও আমার আগে থেকেই অনুমেয়। এই বিদায়ের জন্য শেষ পর্যন্ত আমি নিজেকে প্রস্তুত করতে পেরেছিলাম। এখানে এসে দেখা করে বিদায় নেওয়ার যে আনুষ্ঠানিকতা, সেটা না করলেও চলতো। ফাহাদের প্রয়োজন ছিল যোগাযোগ বন্ধের নিশ্চয়তা, আর আমার ছিল…সম্ভবত একটা শেষবার ফাহাদকে দেখার আকুলতা!

 

“আই’ম সর‍্যি! আমি জানতাম না একটা সিম্পল মিট আপ এদিকে টার্ন নেবে। ব্যাপারটা কখনোই শুধু ফিজিক্যাল ছিল না। ইন্টেনশনালি কিছুই হয়নি; ইউ নো ইট, রাইট? এভ্রিথিং হ্যাপেন্ড স্পন্টানিয়াসলি, ট্রাস্ট মি। আমি তোমাকে ইউজ করেছি, ব্যাপারটা এমন না। আই লাভড ইউর কোম্পানি। উই হ্যাড ভেরি গুড টাইম, উই হ্যাড গুড মেমোরিজ। কিন্তু আমি হেল্পলেস। আই ওয়ান্ট টু গো ব্যাক টু মাই ওয়াইফ। আই লাভ মাই সান। আই ওয়ান্ট টু বি উইদ হিম। তুমি কি আমার কথা বুঝতেছো? প্লিজ, ডোন্ট গেট মি রঙ!” হুইস্কির গ্লাসে একটা হালকা চুমুক দিয়ে ফাহাদের মুক্তির জন্য ছটফট চেহারাটা দেখছি আমি। একটা চঞ্চল উড়ন্ত পাখিকে হুট করে খাঁচায় বন্দী করলে যেমন ছটফট করে, ঠিক একই রকম ছটফটানি চলছে ফাহাদের সমস্ত মনে। ওকে দেখে মায়া লাগলো। আমি সম্ভবত ওকে ভালোবাসি, ভালো না বাসলে একটা বিরাট সত্য ওর কাছ থেকে লুকাতে পারতাম না। 

ফাহাদ যত অস্থির হচ্ছে, আমার মন ততটাই শান্ত হচ্ছে। কারণ আমি জানি, আজ এখানেই আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। এক ঝটকায় ফ্ল্যাশব্যাকে আমাদের সমস্ত সুন্দর অতীতের একটা একটা দৃশ্য চোখে ভেসে আসছে। দৃশ্যগুলো কল্পনা করার পাশাপাশি আমি ফাহাদের মুখটাও মায়াভরা চোখে দেখছি। আজকের পর আর কোনোদিনই এই সুযোগ পাবো না। মানুষকে জীবনে আটকে রাখার অভিপ্রায় আমার কখনোই ছিল না। তবু আজকে বারবার ওর মুখের দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছে, সময়ের ঘড়িটা যদি এই মুহূর্তে আটকে থাকতো অনন্তকাল ধরে! কয়েকবার ইচ্ছে করছিল গেয়ে ওঠি- “তুম হি সোচো যারা কিঁউ না রোকে তুমহে, জান যাতি হে যাব উঠকে যা তে হো তুম, তুম কো আপনি কাসাম জানে-জা, বাত ইতনি মেরি মান লো…আজ যা নে কি জিদ না কারো…।”

 

ফাহাদের সঙ্গে আমার পরিচয় ডেটিং অ্যাপে। ডেটিং অ্যাপের বিচিত্র সব অভিজ্ঞতায় বিরক্ত হয়ে যখন আমি আনইনস্টল করার সিদ্ধান্ত নিই, ঠিক সে সময়ে ওর সঙ্গে আমার ম্যাচ হয়। এই ম্যাচ হওয়াটাকে ফাহাদ হয়তো ওর জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল হিসেবে গণ্য করবে, কিন্তু আমার কাছে এই পরিচয় জীবনের অন্যতম সুন্দর একটা চ্যাপ্টার হিসেবে বুকের অন্তস্থলে খুব যত্নের সঙ্গে লেখা থাকবে। ফাহাদের সঙ্গে ম্যাচ হওয়ার আগে আমার ডেটিং অ্যাপের অভিজ্ঞতা বেশ তিক্ত ছিল। অধিকাংশ পুরুষই এখানে ডেটিং বলতে রুম ডেট বোঝেন এবং তারা কথাই শুরু করেন একটা বিশেষ পারপাসে। দে ইভেন ডোন্ট নো হাউ টু এপ্রোচ! সেক্সের বিষয়ে আমার কোনো ট্যাবু নেই, তবে এখানে আসা অধিকাংশ পুরুষদের বিহেভিয়রে আমার আপত্তি আছে। সেক্স যে শুধু একটা শরীরী বিষয় নয়, সম্ভবত অধিকাংশ মানুষই এটা জানেন না। সেক্স তো কন্ট্রোল হয় ব্রেন দিয়ে। ব্রেন যতক্ষণ না সিগনাল দেবে, শরীরে কিছুই ঘটবে না- এটা সম্ভবত সিংহভাগ পুরুষরাই খুব একটা অনুভব করতে পারেন না। 

 

ফাহাদের আগে এক ভদ্রলোকের সঙ্গে ম্যাচ হওয়ার পর উনি জানালেন, হি ইজ হ্যাপিলি ম্যারিড। আমি তার কাছে জানতে চাইলাম, তাহলে আপনি এখানে কী করেন? উত্তরে উনি বললেন, “ফর ফান!” সিরিয়াসলি! একজন বউ-বাচ্চাওয়ালা ফ্যামিলি ম্যানের ডেটিং অ্যাপে আসতে হচ্ছে ফর ফান! তার এই ফান সম্পর্কে আমি ততক্ষণ পর্যন্ত জাজমেন্টাল হইনি, যতক্ষণ আগ পর্যন্ত না ভদ্রলোক আমাকে মেসেজ পাঠিয়ে জানতে চাইলেন, “তুমি রাতে কী পরে ঘুমাও, পাখি?” উনার হ্যাপি কনজুগাল লাইফের পার্টনার তখন উনার পাশেই ঘুমিয়েছিলেন। এই কথা আমার এক্স কলিগ নূর আপাকে বলতেই উনি খুব অবাক হয়ে জানতে চাইলেন, “তোরে পাখি ডাকলে এই বেটা তার বউরে কী ডাকে?” আমি কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে ভাবলেশহীনভাবে উত্তর দিলাম, কত রকমের পাখি থাকে না? ছোট পাখি, বড় পাখি, টিয়া পাখি, ময়না পাখি, আদর পাখি…বউও পাখি, আমিও পাখি, ভিন্ন ভিন্ন পাখি আর কী! আমি হইলাম গণ মানুষের পাখি! আমার তো আর বউদের সর্দারণী হওয়া পসিবল না, ধইরা নেও যে আমি পাখিদের সর্দারণী হইয়া জীবন কাটাইয়া দিলাম…। আমার কথা শুনে নূর আপা এমন হাসি শুরু করলেন যে তার মুখ থেকে কফি ছিটকে এসে আমার সারা শরীর ভিজিয়ে দিলো। এরপর থেকে আমাকে দেখলেই নূর আপা ডাকেন, “কী খবর, পাখিদের সর্দারণী?”

 

নিজে থেকে প্রতিদিন আমাকে টেক্সট করা ওই ভদ্রলোক একদিন হুট করেই সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। উনার তো আমি আর একাই পাখি ছিলাম না, অনেক পাখিদের মধ্যে কোনো এক পাখিকে নিয়ে হয়তো উনি উনার বউয়ের কাছে ধরা খেয়েছিলেন। ভদ্রলোককে আমি পছন্দ করতাম তার সেন্স অব হিউমারের জন্য। আমাদের দেশের পুরুষদের মধ্যে সেন্স অব হিউমারের কমতি আছে। এই লোকের সেন্স অব হিউমার ছিল যথেষ্ট উচ্চমার্গীয়। ফ্লার্ট করার যাবতীয় রসবোধও উনার জানা ছিল। তাই উনার এই হুট করে উধাও হয়ে যাওয়াটা আমাকে কিছুটা আহত করেছিল। তবে আমি আমার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানতাম, উনারটাও। এজন্যই উনাকে নিয়ে কখনোই আমার কোনো এক্সপেক্টেশন কাজ করেনি। আমি তাকে একজন বন্ধুর মতোই ভেবেছিলাম। কিন্তু যেহেতু এই সমাজে আমি একজন সিঙ্গেল নারী, তাই “জাস্ট ফ্রেন্ড”এর কাঁটাতার অনেকেই পেরোতে চান, উনিও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না।

 

ফাহাদের ব্যাপারে কি আমার কোনো এক্সপেক্টেশন তৈরি হয়েছিল? সম্ভবত, হ্যাঁ! তবে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, সেটা কোনো বিশেষ কমিটমেন্টের এক্সপেক্টেশন না। ফাহাদকে আমি আমার জীবনে রেখে দিতে চেয়েছিলাম, বন্ধু হিসেবেই। কিন্তু কিছু সম্পর্ক হয়তো কখনোই বন্ধুর মতো করে ধরে রাখা যায় না। তাতে শুধু যন্ত্রণাই বাড়ে। এটা আমি আজকে এখানে আসার আগে বুঝতে পেরেছি। ফাহাদ ম্যারিড, বাচ্চা আছে- আমি প্রথম থেকেই জানতাম। ফাহাদের ভাষ্য ছিল, ওর ওয়াইফের সঙ্গে ওর সেপারেশন চলছে। ডিভোর্স হয়নি তবে হবে হবে করছে। ওর প্রথমদিকের কথায় মনে হয়েছিল এই সম্পর্ক আর কখনোই ঠিক হবে না। দ্রুতই ডিভোর্সের দিকে যাবে। ফাহাদ এখন যতবার বলছে, হি হ্যাজ ওয়াইফ, হি হ্যাজ সান, হি লাভস দেম অ্যা লট- প্রথম দিকে ওর এপ্রোচ যদি এই একই রকম থাকতো, আমার মতো মানুষ কখনো আনকনশাসলিও ওর দিকে আগাতাম না। 

আমি জানি না, সব বিবাহিত পুরুষদেরই কি অন্য নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার আগে একই রকম গল্প থাকে? নাহলে ঘনিষ্ঠ হওয়ার পরই কেন তাদের ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক আবার জোড়া লাগা শুরু হয়! হিল্লা বিয়ের মতো! আরেকজনের সঙ্গে রাত কাটিয়ে আসার পর পুরনো সম্পর্ক জোড়া লাগানো যেন বৈধ! ফাহাদ কোনো কমিটমেন্টে যেতে পারবে না, সেটা ও আমরা ঘনিষ্ঠ হওয়ার পরপরই বলেছিল। ফাহাদের জন্য হয়তো এটা বিশেষ কিছু ছিল না, প্রথমদিকে আমার জন্যও হয়তো না। কিন্তু মানুষের মন খুবই বিচিত্র। সেটা একদিন ফাহাদ সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করার পর উপলব্ধি করি। এমন না ফাহাদ না বলে যোগাযোগ বন্ধ করেছিল। এর আগেও ও বহুবার যোগাযোগ বন্ধ করতে চেয়েও ফিরে এসেছিল বলে আমি প্রথমদিকে ব্যাপারটাকে বিশেষ পাত্তা দিইনি। তবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার মেয়াদ যত দীর্ঘ হতে থাকে, তত আমি বুঝতে পারি- আমার সমস্ত সত্তা ফাহাদকে ছাড়া অবশ হয়ে যাচ্ছে। আমি আমার নিজেকে হারিয়ে ফেলছি অথবা ফাহাদ আমার জানটাকে কবজ করে নিয়ে চলে গেছে।

 

যেকোনো কারণেই আমাদের মধ্যে আবার যোগাযোগ শুরু হলো। সেটা অবশ্য দুজনের কারোর জন্যই সুখকর ছিল না। দ্বিতীয় পর্বের যোগাযোগে আমাদের মধ্যে অস্বস্তিই বেশি ছিল। না ফাহাদ আমাকে বিশ্বাস করতে পারছিল, না আমি পারছিলাম ফাহাদকে বিশ্বাস করতে। অবিশ্বাসী মন নিয়ে আমরা একে-অপরকে দোষারোপ করে যাচ্ছিলাম নানাভাবে। যতটা না আমি ওকে দোষারোপ করছিলাম, এরচেয়ে বেশি করছিলাম নিজেকে। যতবার ওকে কটু কথা শোনাচ্ছিলাম, তারচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছিলাম ওর সঙ্গে বাজে ব্যবহার করে। আমার মানসিক অবস্থা যখন এমন ভয়াবহ, ঠিক তখনই আমার ভেতরে কিছু শারীরিক পরিবর্তন আবিষ্কার করি। জানতে পারি, আই’ম ক্যারিং, অ্যান্ড ইট’স অলরেডি নেয়্যার এবাউট টুয়েলভ উইকস ওল্ড! সমস্ত শিরদাঁড়ায় যেন একটা তীব্র ঠান্ডা অনুভূতি ধাক্কা দিয়ে গেল! আমি কেঁপে ওঠলাম। যতটা না ভয়ে, তারচেয়ে বেশি অপরাধ বোধে। আল্ট্রাসনোগ্রামের পর জানা গেল, হার্টবিট চলে এসেছে। পৃথিবীতে এরচেয়ে বেশি অসহায় বোধ আমি কখনোই বোধহয় করিনি। ফাহাদকে এই সত্য জানানো সম্ভব ছিল না। পারতামও না জানাতে। আমাদের ওই অবিশ্বাসের মুহূর্তে ডেফিনিটলি এটাকে ও ব্ল্যাকমেইল হিসেবেই ভেবে নিতো। আর এর দায় শুধু ওর একারও তো না। এই যুগে; এই বয়সে এসে, এত সচেতন থাকার পরও এ রকম একটা অ্যাক্সিডেন্ট ঘটবে- এটা কে বিশ্বাস করবে!

 

“প্লিজ, আমাকে মুক্তি দাও। সব শেষ করো। আমি প্রতিদিন এই ভয়ে বেঁচে থাকতে চাই না। আই হ্যাভ টু মুভ অন।” ফাহাদের কথায় ঘোর ভাঙলো। শান্ত চোখগুলো ওর চোখের ওপর রাখতেই ফাহাদ মাথা নিচু করে ফেললো। আমি হেসে শান্ত গলায় বললাম, তোমাকে মুক্ত করতেই আজকে এখানে আসা। আমি হলাম মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের “পুতুল নাচের ইতিকথা”র কুসুম। আমার মন বলে কিছু নেই। পুরোটাই হরমোন। তোমার সঙ্গে আমার সম্পর্ক মানসিক না, শারীরিক। তুমি পাশে থাকলে আমার ডোপামিন লেভেল হাই হয়, শরীর থেকে বের হওয়া অক্সিটোসিন আমাকে একটা অ্যাটাচমেন্ট ফিল করায়। এর বাইরে তোমার-আমার মধ্যে আর কোনো সংযোগ নাই। কথাগুলো বলার সময় আমি এতই বেশি শান্ত ছিলাম, মনে হচ্ছিল যেন আমি একজন পাকা অভিনেত্রী। আমার অভিনয়ের কোথাও কোনো বাড়তি মেদ নেই। তারপরও ফাহাদ সম্ভবত আমার কথা বিশ্বাস করতে পারেনি। ওকে সত্যি সত্যি মুক্ত করতে পারলাম কি না, জানি না। মানুষ তো মূলত জন্ম থেকেই চিরবন্দী। তবে নিজেকে আজকে থেকে একটা স্বেচ্ছা কারাগারে বন্দী করলাম, যেটার একমাত্র চাবিটাও আমি ফাহাদের সঙ্গে সঙ্গে পেছনে ফেলে চলে এসেছি।
 

বারের আবছা আলোতে আমাদের বাকিটা সময় কাটলো এক পেয়ার ইয়ারবাড দুইজনের কানে দিয়ে গান শুনতে শুনতে। বিদায়ের সময় ফাহাদ একটা সাইড হাগ দিয়ে আবারও বললো, “আমাকে মুক্তি দাও…।” ওর চোখের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে আমি গাড়িতে ওঠে বসি। বাসায় ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হয়ে গেল। সমস্ত অ্যাপ ডিলিট করতে গিয়ে বহু আগে রাইট সোয়াইপ করা একজনের সঙ্গে ম্যাচ হতে দেখলাম। ডিলিট অ্যাকাউন্টে চাপ দেওয়ার আগেই দেখি মেসেজ এসেছে, “হ্যালো! হোয়াট’স আপ? অ্যাই’ম অ্যা ব্যাংকার। ম্যারিড। হেয়্যার আই কাম টু সার্চ ফ্রেন্ডস ফর ফান! হোয়াট অ্যাবাউট ইউ...”