- স্ট্যাটাস অ্যাক্টিভ
- মেম্বার হয়েছেন ১১ জুন ২০২৪
- পোস্ট সংখ্যা ২
- পোস্ট কিনেছেন ০
- পোস্ট বিক্রি হয়েছে ০
লেখালেখি-ই তো! আর কী?
ঝড়ের রাতে জন্মেছিলাম বলে প্রতিবেশি নানা দাদারা ডাকতেন তুফান বলে। খানিক বড় হওয়ার পর হঠাৎ কি-জানি কোন কারণে প্রতিবেশি খালা, চাচি, বোনদের চোখে পড়ল আমি দেখতে আসলে নধর লেবুর মতো। ফলত তারা ডাকতে শুরু করলেন নিম্বু বলে। আমার নানা ডাকলেন উৎসব। নানার কথার উপরে তো আর নানু কথা বলতে পারবেন না; নানুও নানার অনুসরণে ডাকলেন উৎসব। আম্মা ডাকলেন সালমান ফারসি। আব্বা অবশ্যি ডাকেননি; সরাসরি খাতাপত্রে রেজিস্ট্রি করে দিলেন পুত্রের নামটা। তবে পুত্রের সে নাম তার বেশিদিন পছন্দের থাকলো না। পঞ্চম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশনের সময় তার মনে হলো এতদিন ছেলে ছোট ছিলো বলে এ-নাম মানানসই ছিল। কিন্তু বড় হলে আর এ-নাম মানানসই থাকবে না। তখন তার পুত্রকে উপযুক্ত সম্বোধনের জন্য পরিচিত-অপরিচিত মানুষজনের যুতসই একটি নাম প্রয়োজন হবে। পূর্বের ত্রিপদী নাম পরিবর্তন করে রাখলেন চতুর্পদী নাম। একাদশ শ্রেণিতে হাফ-টার্মে জীববিজ্ঞান পরীক্ষার সময় গার্ড-শিক্ষক খাতা সাইন করতে এসে জিজ্ঞেস করলেন, বাবা! তোমার পূর্ব-পুরুষেরা কি ইরান থেকে এসেছিলেন?