Subtotal
0 ৳
Shipping and taxes calculated at checkout.
or Continue Shopping →
মাথা থেকে মগজ খুলে রেখেছিলাম আত্মহত্যা করবো বলে মজ্জা-অস্থিমজ্জা ঝুলিয়ে রেখেছিলাম জাদুঘরে উত্তর প্রজন্মের জন্য চোখ রেখে দিয়েছিলাম উদ্যানে...
এইটুকু সময় ফিরিয়ে নাও— হাটুগেড়ে বসো, মস্তক অবনত করো টানটান করে রাখো কান সকল দৃশ্য তোমার দিকে তাক করা আছে...
নিজেকে টাঙিয়ে রাখো জানালায় চোখ খোলো ঢুকে পড়ি অন্দরে এত মিহি করে কামিজে দুলছো কেন?
আপনি এখনো স্বপ্নের মধ্যে এলে আমি অন্যমনস্ক হয়ে যাই— অমন করে পাহাড় থেকে ঝাঁপিয়ে পড়তে কে বলেছিল? পাদদেশ আর কতটা...
একটা বিষন্ন রাজহাঁস দেখে ঘুমিয়ে গিয়েছে পুকুর। খননবিদ্যায় একদল মানুষ তুলে নিয়েছে গাছেদের-মাছেদের গভীরতা...
একদিন সজনে ডাটায় মাছের মতো আয়েশে ভেসে উঠবো হাঁড়িতে। নোঙরের সমান দ্বীপ কেবলই সরে সরে যাবে মর্মরে—
নিরানব্বই নম্বর প্রেমিকা হারিয়ে গেলে একশ তিন দিন শোক পালন করুন। কিংবা সৎকারে অংশ নিয়ে আপনি চলে যেতে পারেন স্পেনে...
সারাদেশ আমাকে দেখে হেসে উঠলো— আমি ফসলের হাসি দেখে কেঁদে ফেললাম...
চে' হাসতে হাসতে ঠোঁট থেকে চুরুটটা বের করে হাত বাড়িয়ে দিল, কাঁধে হাত রেখে আরেক হাতে মদের গ্লাস নিয়ে উল্লাসে...
লাল লাল কোয়া নিয়ে নরম ডালে ডালিম প্রার্থনা করে শীত। যেভাবে জেগে থাকে নাগলিঙ্গম, প্রতি ভোরে...
নবনীতা দেব সেন— তুমি পড়ে আছো ঝাড়খন্ডে আমি উত্তাল শুয়ে পুড়ছি সুন্দরবন...
আমি রোজ, নিশ্চুপ উঠে গিয়ে রোমের ম্যাপ নিয়ে ভাবি পৃথিবীর কোথাও তোমার নামে মানচিত্র নেই দেশ নেই, শহর নেই, বিশ্ববিদ্যালয়...
আপনার বৈঠকখানায় তুলে রাখা বাইবেল লাল কাপড়ে মোড়ানো আসমানি ভাষা ছড়ানো দৃশ্যের ভেতর ঘাপটি কথা সব, সব চেনাজানা পাপ প্লেটে...
পাখির জন্য পালক নারীর জন্য পোষাক বাগানের জন্য বন্ধুর আগমনে কয়েকদিন আগের ঝলমলে সন্ধায় আমি খুন হলাম...
পুনরায় পাখিটি চমৎকার নিয়ে উড়ে যায় আমরা মানুষ মানুষ ভাব ও মুখোশ নিয়ে প্রতিদিন তাকে ফোন করি তার স্বরে ভেসে ...
আমিই সেই দূর্ভোগ—ভালোবাসার ভেতর ও বাহির এক ধবধবে কবুতর উড়ে যায় আকাশ আমিই সেই মৌলিক অন্ধকার—ধ্রুপদীর বিপরীতে কারাগার নিয়ে ঢুকে ...
পাখি! তবুও সহজে, সরল অংকের মত কেন পৌঁছাতে পারছি না মরণে?
শব্দ নয়, কাঁদো। আসো। হয়ে যাই। বিবিধ নিষেধাজ্ঞা। তবু টালমাটাল। আলুথালু হয়ে যাচ্ছে বিছানা। কেবল রক্ত। একটা ফুল সহজে এমন...
আমি এমন ক্ষুর্ধাত যে— কেউ একটা পাহাড় ছুঁড়ে মারলে আমার দিকে আসতে আসতে তা ঢিল হয়ে যায়...
পৃথিবীটা বাদ রেখে মহাবিশ্বটা মুড়িঘণ্ট করে দুয়েকবার খেয়েছি আরো অনেক গ্যালাক্সির গতি ঘুরিয়ে ছায়াপথ নক্ষত্র আর উল্কাপিণ্ড নাড়ুর মত চালান...
সমস্ত ঘৃণার ভেতর, সমস্ত লজ্জার মধ্যে ঘাপটি দিয়ে থাকবে শাসক আর তার ব্যর্থতার জন্য আঙুল তোমার দিকে এমনও অবস্থায় তুমিও...
যন্ত্রণার পুঞ্জীভূত ক্যালেন্ডার, বহু পরিশ্রমে কেনা তুলনাহীন রক্তাক্ত জখম মগজের ভেতর-বাহির ক্রমশ অশ্লীলতার ছাপ আর কেবল সুখ নামক নকল এক...
সেই প্রলম্বিত আকাশ— যার সীমা পেরিয়ে এসে সমস্ত এবাদত আমার কাছে লুটায় আর আমি ধ্যান ও জ্ঞানে দ্রুততার সাথেই মানুষকে...
যেহেতু মানুষ জানেনা সমস্ত বেদনা যার নিজস্ব—সেই তো সুখি, কখনও অবনত বৃক্ষ পাখি আসে, বসে, স্মৃতি রাখে কেবল গোপন ডালে...
...চোখ মেলে দেখি আমি রাজা শশাঙ্ক। ধুধু, শুধু গাছপালা, বনে-অরণ্যে, নদীতে শিকার করছে মানুষ। একটা হাই তুলে আবার ঘুমিয়ে গেলাম...
একদিকে যুদ্ধ চলছে। আমার গায়ে যুদ্ধের পোশাক। কোমরে তলোয়ার। আমি যুদ্ধ করতে পারি না। হেরে যাই। যুদ্ধ নিজে আমার কাছে...
নতুন পৃথিবীতে মানুষ অন্যের ভেতর বাঁচে, পশুপ্রাণীর ভাষায় সুর, গাছেরা-মাছেরা একসাথে হাততালি দেয়। চায়ে চুমুক দিতে দিতে আমি আরও বৃহৎ...
একরাতে মদ খেয়ে ঘুমিয়ে গেছিলাম। এরমধ্যেই বিচার হয়ে গেছে। আমার সাথে বাহাত্তর হুরের সাক্ষাৎ হলে বুঝলাম আমি স্বর্গে। একেকরাতে আমার...
...মনে হচ্ছে কেউ মাদল বাজিয়ে যাচ্ছে ধ্যানে। সুর এমনই তীর্যক যেকোনো সময় হাতের ভাষায় জেগে উঠবে নদী। আমি নিজেকে নদী...
তোমাদের চাহিদা মাফিক: পাথর, বেলে মাটি আর আতশকাঁচের চাষ নিয়েছি সর্বাঙ্গে। এখন যুগ কেবলই ঘষামাজার। সুরত বদলে যাচ্ছে মানুষের: চেহায়ায়...
সোনালী রংয়ের কাটায় ঠিকঠাক সময় দিয়ে যাচ্ছিল বয়স্ক ঘড়িটা। ঘড়ির ইঞ্জিন ছিল বেশ বড় আর তাই নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ছিল...
ছোট্ট একটা ঘর—ঠিক হাতের তালুর মতোই আয়তনে...ড্রয়িংরুম নেই, মাস্টারবেড নেই কিংবা বাথটাবও নেই। টিভিরুম, কীচেন এমনকি মদ খাবার আলাদা ঘর...
কবিকে আমন্ত্রণ জানানোর সাথে সাথেই হিটলার মাইক্রোফোন নিজের হাতে নিয়ে উপস্থিত কবিদের জিজ্ঞেস করলেন: এই আসরের প্রধান কবি কে?
সেবারও সন্তোষপুর, নন্দন আর ঘাটালের মাঠে জেগেছিল জোনাকির স্রোত— শুধু একটা কথা আমি তো ভুলিয়ে দেবো ভেবেছি! অকস্মাৎ দেখি...
সেইসব দিনগুলোর আগে কথা ও বাক্যের রহস্য অনুমান করতে গিয়ে বোবা হয়ে যায় বৃক্ষ...
কলকল স্বরে, নানকিন ঋতুতে ভেসে যাচ্ছে রোদ ছায়াফুলের পাশে পাসপোর্ট নিয়ে চেয়ে আছে বৃষ্টি বিঘ্নিত নদী...
একটা স্কুল ঝলমলে ইউনিফর্ম নিয়ে দুলে যাচ্ছে কয়েক ক্রোশ। ক্রমেই দুপুর হেলে পরছে বারান্দায়-ফুলের টবে...
ঘন পুকুরের সাঁতার শেষ করে নদী তুলে রাখে ঢেউ মরমি হাওয়ায়—নিভৃতেই যেসব পশু ও প্রাণী খুলে রাখে আত্মজ তারাও একদিন...
তুমি ধরো—তুলে রাখো গোপন ড্রয়ার আর আমি ক্রমেই হয়ে উঠি যেকোনও গাঁয়ের হস্তশিল্প...
সুবিশাল আকাশের নিচে নত হয়েও শির টান টান করে কেমন দাঁড়িয়ে রয়েছে পাহাড়...!
বোনের প্রেমিকেরা শিউলি নিয়ে ঘুরে যায় বাগান পথের ওপাশে পথে—ছায়া ছাড়া আর কিছুই থাকে না...
একটা সকালে তোমারে বন্দি করছি— চোখে, আঘাতে ও মর্মরে...
কোনও কোনও ফাগুনমাস অকারণ সন্দেহ নিয়ে আসে আমার জ্বর হয়—একটা ভয় হয় আমার আকাশ-আকাশ রোগ হয়...