হাউজ খাসের ইতিহাস শুরু ১৪শ শতকে। ফিরোজ শাহ তুঘলক ১৩৫১ সালে দিল্লির সুলতান হিসেবে রাজত্ব করতে শুরু করেন এবং দিল্লির এই অঞ্চলে একটি জলাধার (হাউজ) তৈরি করেন। হাউজ খাস শব্দটির অর্থ হলো "রাজকীয় জলাধার"। ফিরোজ শাহ এই জলাশয়টি নির্মাণ করার মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর এবং এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার চেষ্টা করেছিলেন।
এছাড়া, হাউজ খাস কমপ্লেক্সে ফিরোজ শাহ তুঘলকের সমাধিও রয়েছে। যার সিঁড়িতে বসে হয়েছি নষ্টালজিক। হাউজ খাস মসজিদটির গম্বুজ এবং মিনারগুলি সুলতানি স্থাপত্যের নিদর্শন হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। এই মসজিদ এবং সমাধির মধ্যে খোদাই করা আরবি লিপি ঐতিহাসিক দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে সুলতানি স্থাপত্যের বেশ কিছু নিদর্শন রয়েছে, যা তুঘলক বংশের স্থাপত্য শৈলীর প্রমাণ।
বর্তমানে, হাউজ খাস একটি জীবন্ত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এখানে আধুনিক ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট, শপিং মল এবং গ্যালারি রয়েছে, যা এই ঐতিহাসিক স্থানটিকে জনপ্রিয় সামাজিক কেন্দ্র করে তুলেছে। হাউজ খাস ভিলেজ, যা এখানকার একটি অংশ, বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে একটি জনপ্রিয় স্থান। এখানে বিভিন্ন ধরনের শপ, হস্তশিল্পের দোকান, আর্ট গ্যালারি, এবং ডিজাইনার শপ পাওয়া যায়। রয়েছে লাইভ মিউজিক ক্যাফে, যেখানে বসে উপভোগ করেছি বেশ কিছু রঙীন সন্ধ্যা !
সব মিলিয়ে, হাউজ খাস দিল্লির ইতিহাস, স্থাপত্য, এবং সংস্কৃতির একটি জীবন্ত উদাহরণ। এটি শুধু ঐতিহাসিক স্থানই নয়, বরং আধুনিক জীবনের সঙ্গে ঐতিহ্যকে সুন্দরভাবে সংযুক্ত করে আমার জন্য হয়ে থাকবে একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা।
