ভূমিকা:
ছোট্ট শহর কুমিল্লা। সবুজে ঘেরা, শান্ত-স্নিগ্ধ এই শহরে একটাই কলেজ। কলেজের মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আমগাছটার নিচে প্রতিদিন দুপুরে বসে পড়াশোনা করত অরুণ। অরুণের জীবনটা ছিল খুবই সাধারণ, বই আর প্রকৃতির মাঝেই সে হারিয়ে থাকত। কিন্তু একদিন তার জীবনে এলো এক নতুন অধ্যায়।
মূল অংশ:
একদিন দুপুরে অরুণ আমগাছের নিচে বসে বই পড়ছিল। হঠাৎ তার বইয়ের পাতায় একটা চিঠি পড়ল। চিঠিটা খুলে দেখল, সেখানে লেখা:
"তোমার বই পড়ার ভঙ্গি আমার খুব ভালো লাগে। তুমি কি আমাকে চেনো? আমি প্রতিদিন এই আমগাছের পাশ দিয়ে যাই, আর তোমাকে দেখি। যদি চিঠির উত্তর দিতে চাও, আজ বিকেলে এই গাছের নিচে রেখে যেও। – অজানা"
অরুণ অবাক হয়ে গেল। কে এই অজানা? সে চিঠির উত্তর লিখল:
"তোমার চিঠি পেয়ে খুব ভালো লাগল। আমি তোমাকে চিনি না, কিন্তু তোমার কথা জানতে ইচ্ছে করছে। যদি চাও, দেখা করতে পারি। – অরুণ"
বিকেলে চিঠিটা রেখে দিল গাছের নিচে। পরের দিন সকালে আবার একটা চিঠি পেল:
"আমার নাম মেঘলা। আমি তোমার ক্লাসেরই ছাত্রী, কিন্তু তুমি কখনো আমার দিকে তাকাওনি। আমি তোমার বই পড়ার ভঙ্গি দেখে মুগ্ধ। যদি চাও, আজ দুপুরে দেখা করব। – মেঘলা"
অরুণের মনটা আনন্দে ভরে উঠল। দুপুরে আমগাছের নিচে গেল সে। সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল এক সুন্দরী মেয়ে, তার হাসি যেন আলো ছড়াচ্ছে। মেঘলা। দুজনের কথা হলো, গল্প হলো। দিনে দিনে তাদের বন্ধুত্ব গভীর হতে লাগল।
উপসংহার:
দিন যায়, সময় বদলে যায়। অরুণ আর মেঘলার বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে প্রেমে পরিণত হয়। সেই আমগাছের নিচেই তারা প্রতিশ্রুতি বিনিময় করে, একসাথে জীবন কাটানোর। চিঠির মাধ্যমে শুরু হওয়া এই প্রেমের গল্প হয়ে ওঠে তাদের জীবনের সবচেয়ে সুন্দর অধ্যায়।