গ্রামের এক কোণে ছিল মোল্লা কাসেমের পরিবার। খুবই সাদাসিধে, শান্তিপূর্ণ একটা পরিবার। মোল্লা কাসেম, তার স্ত্রী হালিমা, আর দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে সুখেই দিন কাটছিল। কিন্তু শান্তি যে টিকবে না, তার কারণ ছিল একটাই—পেলা চড়া!
পেলা চড়া, গ্রামের বিখ্যাত চালাক আর ধূর্ত ছেলে। সুযোগ পেলেই কারো না কারো ঘাড়ে চড়ে বসে, তেল মেখে এমনভাবে কথা বলে যে, তাকে ফেলতে গেলে উল্টো নিজেরই সমস্যা হয়। সে এসে কাসেমের বাড়িতে এমনই জ্বালা শুরু করল।
প্রথমে হালিমার হাত ধরে বলল, "চাচি, শুনেছি আপনার হাতে নাকি ভীষণ মজার পিঠা হয়! একবার না খাওয়ালে কী চলে?"
হালিমা খুশি হয়ে পিঠা বানিয়ে দিল। পেলা খেলো, কিন্তু যাওয়ার নাম নেই। দিন যেতে না যেতে আবার হাজির—"চাচি, সেই পিঠার স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে!"
মোল্লা কাসেম চিন্তায় পড়ে গেলেন। ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা করছে, সংসারের খরচ বাড়ছে, আর পেলা চড়া রোজ রোজ এসে খেয়ে যাচ্ছে!
একদিন কাসেম বুদ্ধি করলেন। পেলাকে বললেন, "বাহ, তুমি তো খুবই বুদ্ধিমান। আমাদের বাড়ির পুকুরে একটা দুষ্টু মাছ আছে, যেটা কেউ ধরতে পারে না। তুমি পারলে আমরা বুঝব, তুমি সত্যিই সেরা!"
পেলা চড়া তো চ্যালেঞ্জ নিতে রাজি। ঝাঁপিয়ে পড়ল পুকুরে। কিন্তু কাসেম আগেই জানতেন—পুকুরে মাছ নেই, আর বর্ষার পুকুরে পড়লে সারা শরীর কাদা হয়ে যাবে। তাই-ই হলো। পেলা পড়ে গিয়ে কাদায় লেপ্টে গেল। হালিমা চুপচাপ বলল, "এবার তোকে আগে পরিষ্কার হতে হবে, তারপর পিঠা!"
কয়েক দিন পেলা আর আসেনি। অবশেষে মোল্লা কাসেমের পরিবার আবার শান্তি ফিরে পেল।
শিক্ষা: কারো বেশি সুবিধা নিতে গেলে একদিন নিজেই ফেঁসে যেতে হয়!
আপনার চাইলে গল্পটা আরও মজার বা দীর্ঘ করতে পারি! চাইবেন?