ঘটনাটি ঘটেছিল আমেরিকায় একটি শহরে
জেসিকা নামের একটি মেয়ে তার ফ্রেন্ড অহনার সাথে ড্রাইভ করে এক নিঝুম রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল।
এ সময় হঠাৎ রাস্তার মাঝে পুলিশের গাড়ি দেখতে পেয়ে, তারা তাদের গাড়িটি থামালো।
দেখল ওখানে দুইটা পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে,
একটা পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসা করল এত রাত্রে তারা দুজন কোথায় যাচ্ছে জেসিকা বলল, আমরা আমাদের বাসায় যাচ্ছি।
আজকে
ফ্রেন্ডস পার্টি ছিল তাই আমাদের একটু দেরি হয়ে গেছে।
পুলিশ বলল আমরা খবর পেয়েছি এখানে একটা ক্লাব আছে, যেখানে ড্রাগস বেচাকেনা করা হয়। তোমরা কি ওখানে গিয়েছিলে?
জেসিকা বলল না আমরা তো অন্য জায়গায় গিয়েছিলাম। অহনার ভাবসাব দেখে পুলিশটার সন্দেহ হলো।
এদিকে অহনা ভয় পাচ্ছিল কারণ তার জীবনে প্রথম পুলিশের খপ্পরে পড়ার অভিজ্ঞতা ছিল।
কিন্তু জেসিকা কোন রকম ভয় ছাড়াই সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিল যেন মনে হচ্ছে জেসিকা অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে।
পুলিশ এবার অহনার কাছে গেল যে বলল,
তোমাকে দেখে তো আমেরিকান মনে হচ্ছে না তুমি কোথা থেকে এসেছ।
অহনা বলল আমি অন্যদেশী আমি এখানে পড়াশোনা করতে এসেছি জেসিকা আমার বন্ধু ।
পুলিশ বলল তোমার পাসপোর্ট দেখাও। অহনা বলল আমি তো ভুলে হোস্টেলে সবকিছু রেখে এসেছি।
আপনি যদি আমার সঙ্গে হোস্টেলে যান তাহলে আমি কাগজপত্র দেখাতে পারব।
পুলিশটা রেগে গেল বলল তোমার ব্যাগ দেখি।
অন্যদিকে জেসিকা তার নিজের ব্যাগ থেকে কিছু একটা বের করে অহনার ব্যাগে ঢুকিয়ে দিয়েছিল কিন্তু এটা
অহনা বুঝতে পারেনি কারণ সে পুলিশের সঙ্গে কথা বলছিল।
অহনা নির্ভয়ে যখন তার ব্যাগ বের করল
দেখা গেল, ব্যাগের ভেতরে পুলিশ দুটো নেশা জাতীয় কিছুর প্যাকেট খুঁজে পেয়েছে।
পুলিশ এবার রেগে গেল এবং আহনাকে সাথে সাথে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলো।
জেসিকা দাড়িয়ে থাকলো কিন্তু কিছু বলার সাহস পেল না কারণ ভুলটা তো সেই করেছে। এর থেকে বোঝা যায় যে জেসিকা ড্রাগস এর সাথে জড়িত।
অহনা কান্নাকাটি শুরু করে দিল সে বলল আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না কেউ মনে হয় আমার ব্যাগে এগুলো রেখে দিয়েছে।
আমাকে ছেড়ে দিন আমি আপনাকে আমার কাগজপত্র দেখাবো দয়া করে আমাকে ছেড়ে দিন।
পুলিশ তার কোন কথাই শুনলো না অহনাকে সোজা থানায় নিয়ে চলে গেল।
তখন প্রায় মাঝরাত।
এদিকে অহনা কে থানায় বন্দি করে রাখা হলো। অহনা অনেক কান্নাকাটি করছে কিছুতেই থামছে না আর বারবার বলছেন আমি কোন অপরাধ করিনি আমাকে ছেড়ে দিন। কিন্তু পুলিশরা তার যেন কোন কথাই শুনছে না ।
থানা যখন মাঝ রাত হয় তখন আরেকটা শিফট চালু হয় যেখানে অন্য নতুন পুলিশ আসে এবং এই পুলিশগুলো চলে যায় বাসায়।
এবার নতুন পুলিশদের মধ্যে থেকে একটি একটু স্বাস্থ্যবান ও খারাপ চরিত্রের একটি পুলিশ থানার ভেতরে দায়িত্ব পেয়েছিল।সে থানায় ঢুকেই অহনার দিকে বাজে ভাবে তাকালো, আর একটা বাজে হাসি দিল।
সে কিছু কাজকর্ম করল করে বাইরে গিয়ে অন্যান্য পুলিশদের বলল আমি ভেতরে আছি তোমরা ডিস্টার্ব করোনা।
অর্থাৎ বাহিরে যে পুলিশগুলো থানার আশেপাশে পাহারা দিচ্ছিল তাদের উদ্দেশ্য করে বলল।
অহনা বেশ ঘাবড়ে গেল সে তো নতুন বাংলাদেশ থেকে এসেছে সে ভালোমতো ইংলিশেও বোঝেনা মোটামুটি আনার চেষ্টা করছে কিন্তু তার মধ্যে প্রবলেম বেড়ে গেল সে কিভাবে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করবে সে বুঝতে পারছে না সে শুধু কান্না করে যাচ্ছে।
দিকে পুলিশটা যার নাম ছিল অ্যালোন।
আর অ্যালোন আমেরিকান ছিল।সে অহনার জেলখানার গেট খুলে দিল এতে অহনা বেশ ভয় পেল তারপর অ্যালোন এখন আর হাত ধরল অহনা বলল আমাকে কোথায় নিয়ে যাবে?পাশের একটি রুমে গেল ।
বাইরে শুধু জোরে জোরে চিৎকারের আওয়াজ ভেসে এলো।
থানার বাইরে ডিউটিতে যে পুলিশগুলো ছিল তারা বলল আজকে স্যার নতুন স্বীকার পেয়েছে। এতে বোঝা যায় এ অ্যালন নামের পুলিশটি খুব বাজে স্বভাবের ছিল এবং এর আগে অনেক মেয়েদের রেপ করেছে।
অহনা অনেক বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু সে পেরে উঠলো না পুলিশটা ছিল অনেক স্বাস্থ্যবান এবং সে অহনাকে অনেক মারধর করলো আর অহনাকে রেপ করল।
এদিকে অহনা কাঁদতে কাঁদতে প্রায় আধমরা অবস্থা
কিন্তু তার কিছু করার ছিল না। অসহায় চোখে শুধু তাকিয়ে ছিল।
এরপর পরের দিন সকাল বেলা থানায় জেসিকা তার সঙ্গে একটি ছেলেকে নিয়ে এলো,আর ছেলেটি কাকে যেন ফোন করলো এবং সঙ্গে সঙ্গে থানায় ফোন এলো অহনাকে যেন ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে অহনার কথাবার্তা সব বন্ধ সে যেন স্তব্ধ হয়ে গেছে সে কি বলবে বুঝতে পারছিল না জেসিকা অহনাকে সঙ্গে করে বাসায় নিয়ে গেল। অহনা মারাত্মক আঘাত পেয়েছে কারণ সে এমন কোন কাজই করেনি যার কারণে সে তার জীবনে এত বড় একটা পরিস্থিতি মুখোমুখি হয়েছে। জেসিকা তো আর জানে না অহনার সাথে রাতে কি হয়েছে? জেসিকা শুধু ভাবছে এটা একটা ছোট বিষয়। অহনা কিন্তু জেসিকা কে এ বিষয়ে কোন কিছুই বলল না। কিন্তু অহনা যেন কিছুতেই সে রাতের কথা ভুলতে পারছে না।
এভাবে কয়েক সপ্তাহ কেটে গেল।
এরমধ্যে হঠাৎ একদিন অ্যালোন নামের পুলিশটি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল অহনা তার পিছু নিল।
এতে পুলিশটি লক্ষ্য করল কিন্তু সে কোন প্রতিক্রিয়া নিয়ে না দেখিয়ে থানার উদ্দেশ্যে চলে গেল।এরপরে প্রায় প্রায়ই অহনা ওই অ্যালোন নামের পুলিশটিকে অনুসরণ করতে শুরু করল।এবং কিছু বলার জন্য তার দিকে তাকিয়ে থাকতো।
থানা,বাসা, কফি হাউস সব জায়গায় অহনা অ্যালোন কে অনুসরণ করতো। বিষয়টা একদিন অ্যালোন লক্ষ্য করল।
এবং অ্যালোন তা লক্ষ্য করল আর সে বেশ ঘাবড়ে গেল।
সে সাথে সাথে অহনার সামনে এল এসে বলল তুমি কি আমাকে খুন করতে চাচ্ছ?
অহনা একটু হেসে দিল এবং বলল আমরা কি এ বিষয়ে কফি খেতে খেতে কথা বলতে পারি না।
অ্যালোন আবারো ঘাবড়ে গেল। আবারো
সে বলল তুমি আমাকে অনুসরণ করা বন্ধ করো না হলে আবার থানায় নিয়ে যাবো।
সে দিনের কথা কি ভুলে গেছো? অহনা বলল, ভুলি নি আর তাই তো
আমি আপনাকে ভুলতে পারছি না।
অ্যালোন বলল, তুমি আমাকে বোকা পেয়েছ? কি চাও বলো? আর আমার পিছু ছেড়ে দাও না হলে কিন্তু তোমার জীবন নষ্ট করে দেব।
অহনা বলল, আমার জীবনটা নষ্ট হয়ে গেছে আর কি নষ্ট করবেন এখন আমি চাইছি আমার জীবন নতুন করে সাজাতে। আমাকে সাহায্য করুন। আমি আপনাকে মারতে চাই না ।নতুন করে সাজাতে চাই।
আপনি কি রাজি আছেন ? তাহলে চলেন কফি হাউজে একটু কথা বলি।
অ্যালোন বলল, আমার সময় নেই আমি অফিসে যাব আজকে আমার দিনে ডিউটি আছে আমাকে তুমি অনুসরণ করা ছেড়ে দাও ভুলে যেও না আমি একজন পুলিশ অফিসার।
জেসিকা বলল, এমনিতেই আমার জীবনটা নষ্ট হয়ে গেছে দয়া করুন আমাকে আমার একটা কথা শুনুন দয়া করে আমার সাথে একটা কফি খান আমি কথা দিচ্ছি আমি আপনার কোন ক্ষতি করব না আমি শুধু আপনার সঙ্গে একটু কথা বলতে চাই।
অ্যালোন বলল ঠিক ঠিক আছে।
এরপর ওরা একটি কফি হাউজে গেল। অ্যালোন বলল, তুমি আমাকে কেন প্রতিদিন ফলো করো?
অহনা বলল আমি আপনাকে ভুলতে পারছি না আমার মনে হয় আমি আপনাকে খুবই পছন্দ করে ফেলেছি তাই আমি আপনার সঙ্গে কফি খেতে চাছিলাম আমার কোন খারাপ উদ্দেশ্য নেই।
অ্যালোন বলল,আমি কিভাবে তোমাকে বিশ্বাস করবো? যার ক্ষতি আমি করেছি সে আমাকে এমনি এমনি ছেড়ে দেবে তুমি কি আমাকে মারতে চাও সত্যি করে বলো?
বিশ্বাস করুন আমি কোন প্রতিশোধ চাই না আমি শুধু ভালো একটা জীবন চাই
অ্যালোন বলল, তুমি কি আমাকে বোকা পেয়েছ এ কথাগুলো বললে কি আমি তোমার বসে আসবো। আমি বুঝতে পেরেছি তুমি তোমার প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছো তাই না?মেয়েটি বলল না সত্যি বলছি এমন কোন বিষয় না যদি আমি প্রতিশোধ নিতে চাইতাম তাহলে অনেক আগেই নিয়ে নিতাম আমি আপনাকে সত্যি পছন্দ করি আপনি কি আমার বয়ফ্রেন্ড হবেন?
অ্যালোন বলল আমি দেখতে খুবই খারাপ মোটা এজন্য আমার কোন গার্লফ্রেন্ড আমার কাছে থাকে না আর এই রাগে মেয়েদের আমি রেপ করি। সব মেয়েরাই এক হয়।
তখন অহনা বলল আপনাকে কেউ ভালোবাসে না জন্যই আপনার মনে রাগ। আমি যদি আপনাকে ভালোবাসি তাহলে আপনার মনের ঘৃণা আর থাকবে না। অ্যালোন বেশ খুশি হলো কারণ এর আগে এমন ভাবে তার সাথে কেউ কখনোই কথা বলেনি সব মেয়েরাই তার কাছে এসেছে প্রয়োজনে।
একদিন আহনাকে বলল, ঠিক আছে আমি এ বিষয়ে তোমার সাথে পরে কথা বলবো আজকে আমার ডিউটিতে দেরি হয়ে যাচ্ছে আমি থানায় গেলাম। অহনা বলল আমার নাম্বারটা তো নিয়ে যান। অ্যালোন হেসে দিল এবং অহনার নাম্বারটা নিল আর বলল অবশ্যই কল দেব।
অহনা খুশি হলো কারণ তার উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে।
অ্যালোন মূলত আহনাকে ভালোবেসে ফেলেছে কারণ এভাবে কোন মেয়েটাকে বলেনি আর অহনা ছিল ভিন্ন দেশি তাকে বিশ্বাস করল।
এরপর একদিন অহনা অ্যালোনকে কল দিল বলল আমরা কি আজকে কফি শপে দেখা করতে পারি ?
অ্যালোন বলল, হ্যাঁ আমি ডিউটি শেষে অবশ্যই আসবো।
এরপর কফিশপে যাওয়ার পর অহনা দেখল অ্যালোন তার জন্য অনেকগুলো গোলাপ ফুল নিয়ে এসেছে এবং তাকে বেশ খুশি দেখাচ্ছে আগে যে তাকে ভয়ঙ্কর দেখা তো সে ভয়ঙ্কর চেহারাটা যেন হাসি হাসি হয়ে গেছে।
অহনা বেশ খুশি হল সে অ্যালোনকে বলল আমি আপনাকে একটি কথা বলতে চাই অ্যালোন বলল বলো অহনা বলল
আমি প্রেগন্যান্ট !
অ্যালোন যেন থমকে গেল!
অহনা বলল ,সেদিন রাতের পর থেকে আমি অনেক টেনশনে থাকি আমি তো এখানে পড়াশোনা করতে এসেছি কিন্তু আপনি আমার সঙ্গে এমন কাজ করেছেন যে আমি ভুলতে পারছিলাম না।
আর এখন তো আমি প্রেগন্যান্ট হয়ে গেছি আপনি বলুন এই অবস্থায় আমার আপনার কাছে সাহায্য ছাড়া আর কি করা উচিত?
এরপর থেকে অ্যালোন অহনার খুব বেশি খেয়াল রাখা শুরু করল। সত্যি বলতে অ্যালোন আহনাকে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছে। সে সবসময় অহনার খোঁজ নিত এবং সে তার সকল খরচ বহন করতে শুরু করলো। যেন সে বাবা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এরপর অহনার 10 মাস পূর্ণ হয়ে গেল তার ডেলিভারি টাইম হয়েছে অ্যালোন তাকে মেডিকেলে নিয়ে গেল। অহনার একটি কন্যা সন্তান হল। অহনার সন্তান একদম তার বাবার মতই হয়েছিল খুব সুন্দর। অ্যালোন অনেক খুশি হলো সে তার মেয়েকে কোলে নিল এবং আদর করতে থাকলো।
এরপর যেদিন মেডিকেলে অহনাকে রিলিজ দেবে সেদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে অ্যালোন মেডিকেলে চলে গেল। গিয়ে দেখল তার মেয়েটা একটা নার্সের করলে কান্না করছে অ্যালোন খুব রেগে গেল এবং তার কোল থেকে মেয়েটাকে নিয়ে নিজে কান্না থামানোর চেষ্টা করতে লাগলো এর মধ্যে অহনা সেখানে উপস্থিত হলো সে তার বাচ্চাটাকে থামালো।অহনো বলল সে যেন তার বেবিটা কে নিয়ে তার বাসায় যায় আর সে তার জিনিসপত্র নিয়ে আজ অ্যালনের বাসায় যাবে। অ্যালোন তো এটাই চাচ্ছিল অহনা ও তার মেয়েকে নিয়ে বাসায় যেতে।
অ্যালোন তার মেয়েকে নিয়ে তার বাসায় গেল।
সকাল গড়িয়ে দুপুর হলো দুপুর গড়িয়ে রাত হল কিন্তু অহনা আর আসছে না সে ওনাকে কল করলো কিন্তু ফোন বন্ধ দেখায়। সে খুব টেনশনে পড়ে গেল ভাবল অহনার বুঝি কোন বিপদ হয়েছে সে তার মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই অহনার বাহার বান্ধবীর বাসায় চলে গেল।
কিন্তু গিয়ে যা দেখল সে পুরাই অবাক কারণ সে যে ঠিকানায় থাকতো সে ঠিকানায় কেউ নেই। অহনা বা তার বান্ধবী কাউকে খুঁজে পেল না।
তাহলে অহনা কোথায় গেল তার কি কোন বিপদ হলো?
এদিকে বাচ্চাটা কান্না শুরু করল অ্যালোন বুঝতে পারছিল না যে এখন তার কি করা উচিত ?
সে কিভাবে আহনাকে খুজবে ? কারণ অহনার কোন ঠিকানাই তো তার জানা নেই এমনকি ফোনে অনলাইনে কোথাও ওকে পাওয়া যাচ্ছে না।
অ্যালোন এখনো মনে করছে অহনার কোন বিপদে পড়েছে। সে নিজেই পুলিশ সে সে কিভাবে আহনাকে খুজবে।
এদিকে তার কোলে তার মেয়ে কান্না করে চলেছে। এ অবস্থায় অ্যালন বেশ অসহায় হয়ে পড়ল সে তার মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে কেঁদে ফেলল। এবং বুঝতে পারল জীবনে সে কত বড় ভুল করেছে। অ্যালোন বাসায় ফিরে গেল এবং তার মেয়েটাকে কোনরকমে ঘুম পাড়ালো। এদিকে বেশ কয়েকদিন ধরে সে থানায় যায়নি। থানা থেকে কল এলো তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো সে ঠিক আছে কিনা অ্যালোন বলল সে বাবা হয়েছে এতে পুলিশ সহকারীরা সবাই তাকে অনেক অভিনন্দন জানালো। কিন্তু অ্যালোন মোটেও খুশি হলো না কারণ তার গার্লফ্রেন্ড তাকে আবার ধোঁকা দিয়েছে কিন্তু এবার তার জীবনে সবথেকে বড় ধোঁকা তার মেয়ে। সে কিভাবে তার মেয়েকে মানুষ করবে সে জানে না
কিভাবে বাচ্চাটাকে লালন পালন করতে হয় সে কিছুই বুঝতে পারছে না ? সে কি করবে সে নিজেই জানে না?