রাত তখন প্রায় দুইটা। রমেশ অফিস থেকে ফিরছিল। চারপাশ নিস্তব্ধ, কেবল দূরে কোথাও এক-আধটা কুকুরের ডাক শোনা যাচ্ছে। সে শর্টকাট নেওয়ার জন্য পুরনো গলিটা ধরল। এটা ছোট রাস্তা, লোকজন খুব একটা হাঁটে না, বিশেষ করে রাতে।
গলির মাঝামাঝি আসতেই রমেশ অনুভব করল, কেউ একজন তার পেছনে হাঁটছে। পা চালিয়ে একটু এগোতেই সে স্পষ্ট শুনতে পেল খসখসে শব্দ, যেন কেউ ধীরে ধীরে পিছন পিছন আসছে।
কাঁধের উপর তাকিয়ে দেখল, কিন্তু কেউ নেই। গলির লাইটটা একটু ঝাপসা ছিল, অন্ধকারে কিছু বোঝা যাচ্ছিল না। বুকের ভেতর অজানা এক আতঙ্ক অনুভব করল রমেশ। তবু নিজেকে শান্ত রেখে হাঁটা দিল দ্রুত।
কিন্তু তখনই, তার সামনে একটি কালো ছায়ামূর্তি গলি থেকে বেরিয়ে এল। আকৃতিতে মানুষের মতো, কিন্তু মুখ দেখা যাচ্ছে না। চোখ নেই, তবুও মনে হচ্ছে ওটার দৃষ্টি রমেশের দিকেই নিবদ্ধ।
হাত-পা ঠান্ডা হয়ে এল রমেশের। পেছন ফিরে দৌড়াতে গিয়েও দেখল, শরীর যেন জমে গেছে। সেই ছায়াটা ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে রমেশের দিকে। গলির বাতি তখন দপদপ করে নিভে গেল।
একটা বিকট ফিসফিসানি কানে এলো— "এখনও পালানোর সময় আছে..."
রমেশ চিৎকার করতে গিয়েও শব্দ বের হলো না।
হঠাৎ
কয়েকটা কুকুরের ডাকের শব্দ শুনে ছায়াটা অদৃশ্য হয়ে গেল। তারপর সে খাঁন থেকে তাড়াতাড়ি করে বাড়ি ফিরে এলো।
সেই রাতের পর থেকে রমেশ আর কখনো ঐ গলি দিয়ে হাঁটেনি। তবে মাঝে মাঝে গভীর রাতে, তার জানালার পাশে সেই ফিসফিসানি শোনা যায়...
"এখনও পালানোর সময় আছে..."
গল্পটা কেমন লাগলো কমেন্টে জানাবেন।।