মধ্যরাত্রি, গ্রামে তখন নিস্তব্ধতা। একদম নির্বিঘ্ন। তারই মাঝে, গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে, এক পুরনো বাড়ির জানালার পর্দা মৃদু নড়ে উঠল, যেন কেউ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। বাড়িটির নাম ছিল "ভূতপুরী", তবে কেউ কখনো তা বোঝেনি কেন এমন অদ্ভুত নাম। কিন্তু গ্রামের সবাই জানত, কেউ যদি এই বাড়ির কাছ দিয়ে যায়, সে আর ফিরতে পারে না একদম ঠিকমতো।
আজও এক টুকরো মেঘে ঢাকা রাত, মিরাজ, এক সাহসী বাচ্চা, ঠিক করল সে সেই বাড়ির দিকে যাবে। সে জানত, সেই বাড়ির ভেতরে কিছু গোপন রহস্য রয়েছে যা তার সাহসী মন জানতে চায়। তার ধারণা ছিল, এসব শুধু গল্প, বাস্তব নয়।
তবে সেই রাতের অন্ধকারে তার চোখে যে দৃশ্যটি ধরা পড়লো, তা একদম প্রত্যাশিত ছিল না। বাড়ির ভিতর থেকে এক অদ্ভুত শীতল হাওয়া বের হতে থাকল, আর মিরাজ অনুভব করল, তার গায়ে একটা অস্বাভাবিক শিহরণ বয়ে যাচ্ছে। ঠিক সেই মুহূর্তে, ঘর থেকে একটা সরু, ভেসে যাওয়া আওয়াজ তার কানে এল—"আসো, মিরাজ, তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।"
কিছু বুঝে ওঠার আগেই, অন্ধকার বাড়ির ভিতর থেকে বেরিয়ে এলো এক রহস্যময় উপস্থিতি।