#রহস্যময়_ডাক
#T_H_Rifat_Sorkar
রাত তখন প্রায় বারোটা। গ্রামের ঘরবাড়িগুলোতে সবে বাতি নিভে গেছে। চারপাশে শুধু ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ আর হালকা বাতাসের সোঁ সোঁ আওয়াজ। এই নীরবতার মাঝে হঠাৎ করেই একটা চাপা কান্নার শব্দ ভেসে আসলো।
রিয়াদ শুয়ে ছিল তার মাটির ঘরের খাটিয়ায়। কান্নার শব্দটা যেন সরাসরি তার কানে এসে আঘাত করলো। সে ঘুম চোখ থেকে মুছে উঠে বসল। কান্নার শব্দটা যেন বাড়ির বাইরের পুরনো বাঁশঝাড়ের দিক থেকে আসছে।
রিয়াদ সাহসী ছেলে। ভূত-প্রেতের গল্প শুনতে ভালোবাসে, কিন্তু সেগুলোকে কখনোই সত্যি মনে করে না। কৌতূহল সামলাতে না পেরে টর্চ হাতে বাইরে বেরিয়ে পড়ল। হালকা ঠান্ডা বাতাস তার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল।
বাঁশঝাড়ের কাছে এসে থামল রিয়াদ। অন্ধকারের মধ্যে টর্চের আলো ফেলে দেখতে লাগল। কিন্তু কোনো কিছু দেখতে পেল না। ঠিক তখনই আবার সেই কান্নার শব্দ। এবার আরও কাছে থেকে।
হঠাৎ করেই মনে হলো, কেউ তার নাম ধরে ডাকছে।
“রি-য়া-দ... রি-য়া-দ...” শব্দটা এতটাই স্পষ্ট ছিল যেন ঠিক কানের পাশেই কেউ ফিসফিস করে বলছে।
রিয়াদের শরীরের সমস্ত রক্ত হিম হয়ে গেল। টর্চের আলোটা কাঁপতে লাগল তার কাঁপা হাতে। কিন্তু কৌতূহল তাকে আরও এগিয়ে যেতে বাধ্য করল।
বাঁশঝাড়ের গভীরে ঢুকে রিয়াদ টর্চের আলো ফেলল। হঠাৎ আলো পড়ল একটা মেয়ের ওপর। মেয়েটার সাদা কাপড় আর লম্বা কালো চুল অন্ধকারের মধ্যেও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু তার মুখ... তার মুখ যেন কোথাও নেই। শুধু একটা কালো শূন্যতা।
রিয়াদ চিৎকার করতে চাইল, কিন্তু গলা দিয়ে কোনো শব্দ বের হলো না। সে দ্রুত পালানোর জন্য পা বাড়াতেই পা পিছলে মাটিতে পড়ে গেল। আর তখনই মেয়েটা সামনে এগিয়ে আসতে শুরু করল।
“রি-য়া-দ...” সেই ভয়ংকর শব্দ আবারও কানে আসল। এবার রিয়াদের মাথা ঘুরে গেল। অন্ধকারের মধ্যেই সবকিছু মিলিয়ে গেল।
(চলবে...)
২য় পর্বের জন্য কমেন্ট করুন ♥️