' ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস'
ইংরেজী সাহিত্যের প্রধান ৮ টি যুগ:প্রথমত Old English literatureOld English( Anglo-Saxon kingdom EssexAnglo-Saxon name)450-1066. দ্বিতীয়ত,Middle English literature (1066-1500),এটি আবার ৩ ভাগে বিভক্তঃ ক) Anglo-Norman period খ)The age of Chaucer গ) Barren age. তৃতীয়ত, Renaissance English literatureEnglish Renaissance(1500-1660).এই যুগ আবার ৪ ভাগে বিভক্ত,ক) Elizabethan Age(1558-1603) বা এলিজাবেথীয় যুগ,খ) Jacobean Age(1603 – 1625) বা জেকবীয় যুগ), এবং (1590-1616=Age of William Shakespeare The Complete Works of William Shakespeare বা সেক্সপিয়ারিয়ান যুগ ), গ)Caroline (1625-1649)বা ক্যারোলীয় যুগ, ঘ) Commonwealth English(1649-1660) বা কমনওয়েলথ যুগ), এবং (1620-1660=Puritan Period). চতুর্থ, Neo-Classical period(1660-1798)
বা নব্য সনাতনী। এটি ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে: Restoration (1660-1700)Augustan age বা The age of pope (1700-1745) এবং The age of Jhonson at the age of Sensibility (1745-1798).
পঞ্চম, Romantic period(1798-183 )বা রোমান্টিক যুগের কবিরা । ষষ্ঠ, Victorian period(1832-1901,
এটি ২ভাগে বিভক্ত: ১.Pre-Raphaelites (1848-1860) যুগ ওAestheticism and Decadence (1880-1901)। সপ্তম, Modern English Literature(1901-1939),এটি হচ্ছে Edwardian period(1901-1910) এবং Georgian period(1910-1936)। অষ্টম, Post modern literature বা Post Modern period(1939-present).
ইংরেজি ভাষার শব্দভাণ্ডারের মধ্যে ৭০ শতাংশ শব্দসমূহের উৎপত্তি বিদেশী উৎস হতে বাকি ৩০ শতাংশের উৎস হচ্ছে প্রাচীন ইংরেজি এবং অ্যাংলোস্যাক্সোন ও জার্মানীয় এবং এই কারণেই ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস কিংবা ইংরেজ জাতির ইতিহাস পড়তে হলে এঙ্গেলস, স্যাক্সন উনাদের নাম আসবেই আসবে, পাশাপাশি মাতৃভাষাভাষীর সংখ্যা বিচারে এই ভাষার অবস্থান বিশ্বের মধ্যে তৃতীয়। কয়েক হাজার বছর পূর্বে আদিম যুগের দিকে ফিরে তাকালে সেই যুগকে প্রাচীন প্রস্তর বা প্যালিওলিথিক বা Paleolithic Ageযুগ বলা হয়ে থাকে, সেই সময়ের মানুষেরা গুহা মানব নামে পরিচিত ছিলেন, এর পরবর্তীতে বা পরবর্তীকালে Neolithic Ageকিংবা নব্য প্রস্তর বা নিওলিথিক যুগে ইউরোপের মূলভূখণ্ড হতে কিছু মানুষ ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি জমান এবং ইংল্যান্ডে এসে বসতি স্থাপন শুরু করেন, দ্যা ইংলিশ চ্যানেল হচ্ছেপশ্চিম ইউরোপের একটি সংকীর্ণ সাগর যা দক্ষিণে ইউরোপ মহাদেশের মূল ভূখণ্ডস্থিত রাষ্ট্র ফ্রান্স ও উত্তরে গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপকে পৃথক করেছে এবং উত্তর সাগরকে আটলান্টিক মহাসাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে।
কিন্তু উনারা গুহা মানবের চেয়ে কিছুটা সভ্য ছিলেন। এরপর আসে ব্রোঞ্জ যুগ, এই যুগে পূর্ব ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী একদল নাবিক সোনা, তামা এবং টিনের সন্ধানে ইংল্যান্ড এসে পৌছান, তারা আইবেরিয়ান নামেও পরিচিত ছিলেন,উনারা নব্য প্রস্তর যুগের অধিবাসীগণকে পরাজিত করার মধ্য দিয়ে ইংল্যান্ডে বসতি স্থাপন শুরু করেন, ইংল্যান্ডে সেইসময় তামা এবং টিনসহ প্রভৃতি মূল্যবাদ ধাতুর মজুদ বিদ্যমান ছিল, অনেক ঐতিহাসিক ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জকে টিনের দ্বীপপুঞ্জ বলেও আখ্যায়িত করেছেন, British Isles বা
ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ হচ্ছে ইউরোপ মহাদেশের উত্তর পশ্চিম উপকূলে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের একটি দ্বীপের একটি গ্রুপ , ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ গ্রেট ব্রিটেন, আয়ারল্যান্ড, আইল অফ ম্যান, ইনার এবং আউটার হেব্রাইডস, উত্তর দ্বীপপুঞ্জ ও ছয়টির বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত এবং হাজার হাজার ছোট দ্বীপ বিদ্যমান। এরপর তাম্রযুগের শেষ হয় আসে লৌহ যুগ, The Celts বা Celtic historyCeltic peopleকিংবা কেল্টরা এই যুগ প্রবর্তন করেন বলে এই যুগকে কেল্টিক যুগও বলা হয়ে থাকে, শক্তি এবং সাহসে এই জাতি ছিলেন তুলনাহীন , খুবই সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ থেকে ৪০০ অব্দে এদের গল নামের একটি শাখা প্রথমে ফ্রান্স এবং পরবর্তীতে ইংল্যান্ড অধিকার করেন, এর কিছুদিনের মধ্যেই কেল্টের বা The Kelts অপর একটি শাখা সিমরিক এবং ব্রাইথনরা গলদের পরাজিত করেন, এই ব্রাইথন থেকেই ব্রিটেন নামটি এসেছে। সেলটিক বা কেলটিকরা হলেন একজাতের ইন্দোইউরোপীয় জাতিগোষ্ঠী, জাতি এবং ভাষাগতভাবে একই রকম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন অনেকগুলো কৌমসমাজকে একত্রে এই নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে,তারা লৌহযুগের সময়কালে ও রোমান রাজত্বকালে ইউরোপ মহাদেশে বসবাস করতেন, তাদের ভাষা কেলটিক বা Celtic language , কেল্টীয় ভাষাসমূহ ইন্দোইউরোপীয় ভাষাপরিবারের প্রত্ন কেল্টীয় শাখা হতে উদ্ভূত কিছু ভাষা, খ্রিস্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দে এই ভাষাগুলো প্রায় পুরো ইউরোপ জুড়ে প্রচলিত ছিল, আইরিশ বা ইংরেজি Irish Nation বা আইরিশ গ্যালীয় বা Irish Gaelic কিংবা গ্যালীয় বা Gaelicভাষা কেল্টীয় ভাষাপরিবারের গইডেলীয় শাখার একটি ভাষা। তাছাড়া সেল্টিক বিশ্বের জাতিসত্তা ও ভাষা এবং সংস্কৃতির মধ্যে সম্পর্ক অস্পষ্ট এবং বিতর্কিত, ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডের লৌহ যুগের লোকদের সেল্ট বলা হয়ে থাকে , বর্তমানে "সেল্ট"বলতে প্রাথমিকভাবে কেল্টিক ভাষার বক্তাদের বোঝায় একটি একক জাতিগোষ্ঠীর পরিবর্তে। গ্রেট ব্রিটেন বা ব্রিটেন হচ্ছে মহাদেশীয় ইউরোপের উত্তর পশ্চিম উপকূল থেকে কিছু দূরে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপ, এটি ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ তথা ইউরোপের বৃহত্তম দ্বীপ এবং বিশ্বের নবম বৃহত্তম দ্বীপ , তাছাড়া গ্রেট ব্রিটেন ও উত্তর আয়ারল্যান্ড যুক্তরাজ্য বা ব্রিটেন নামে পরিচিত, ইউরোপের মূল ভূখণ্ডের উত্তরপশ্চিম উপকূলের সন্নিকটে অবস্থিত একটি স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র, এটি ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ড নিয়ে গঠিত। শুধুমাত্র সেল্টিক বা কেল্টিক শব্দটি বুঝানোর জন্য সম্পূরক অনেক কিছুই একি সাথে চলে এসেছে।
এরপর খ্রিস্টপূর্ব ৫৫ সালে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার বা Julius Caesar ইংল্যান্ড দখল করে নেন, তাছাড়া সেই সময়কার শক্তি , দাপট এবং ক্ষমতাধর ছিলেন রোমান সাম্রাজ্য , তারা ইংল্যান্ড দখল করে ব্রিটনদের দাস বানিয়ে রাখেন , অবশ্য পরবর্তীতে রোমে গৃহযুদ্ধের তীব্রতা বেড়ে যায় এবং বহিঃশত্রুর আক্রমণের হাত থেকে নিজ দেশকে রক্ষা করতে রোমকরা ইংল্যান্ড থেকে চলে যান। রোমকদের চলে যাবার পর অন্যান্য দেশ থেকে জলদস্যু এসে ইংল্যান্ডে হানা দিতে শুরু করেন, উত্তর অঞ্চলে বসবাসকারী দুর্ধর্ষ এঙ্গেলস, স্যাক্সন এবং জুট নামক জার্মান উপজাতি ব্রিটনদের পরাজিত করে ইংল্যান্ড দখল করে নেন, এইসব উপজাতিরা বহু দেবদেবীতে বিশ্বাসী ছিলেন , অবশ্য সেই সময়কার প্রতিটি জাতি গোষ্ঠী এবং মানুষের মধ্যেই বহু ঈশ্বরবাদের প্রচলন বিদ্যমান ছিল, তা মিশরীয় সভ্যতায় হোক আর রোমান সভ্যতায় হোক কিংবা অন্যান্য বৃহৎ সভ্যতায়। উল্লেখিত সেই সময়কার দেবদেবীর নামেই বর্তমানে প্রচলিত দিনের নামকরণ করা হয়েছে , ধরা যাক টুসইকো ছিলেন অন্ধকারের দেবতা সেখান থেকে টুইসডে, ওডেন ছিলেন যুদ্ধের দেবতা সেই নাম থেকে ওয়েডনেসডে, থর ছিলেন বজ্রের দেবতা সেই নাম থেকে থারসডে, ফ্রাইয়া ছিলেন সমৃদ্ধির দেবতা সেই নাম থেকে ফ্রাইডে, ঠিক এই ধরনের অনেক কিছুই প্রাচীনকালের দেবদেবীর নামানুসারে প্রচলন ঘটেছে, যা এখনো পর্যন্ত বিদ্যমান এবং বর্তমান। আবারো মূল কথায় আসি এই এঙ্গেলস, স্যাক্সন, জুটরা ব্রিটেনকে সাতটি রাজ্যে বিভক্ত করেন ও সেই রাজ্যগুলো হলো কেল্ট, সাসেক্স, এসেক্স, ওয়েসেক্স, মার্সিয়া, পূর্বঅ্যাঙ্গোলিয়া এবং নর্দ্রাম্বিয়া। বর্তমানের ইংলিশ শব্দটি Angles থেকেই এসেছে এবং মাছ ধরার বড়শির ইংরেজি হচ্ছে Angles ও সেই Angles পরবর্তিত হয়ে Engles থেকে English এ পরিবর্তিত হয়েছে। সেই সময় ৩ টি আঞ্চলিক ভাষা বিদ্যমান ছিল ওয়েসেক্স, মার্সিয়া এবং নর্দ্রাম্বিয়ান, কিন্তু শেষ পর্যায়ে এসে ওয়েসেক্স অন্য সব উপভাষার উপর প্রভাব বিস্তার করেন, এই ভাষাতে কিছু কাব্য ও কবিতা মানুষের মুখে মুখে প্রচলন ছিল, স্যাক্সনরা ইংল্যান্ডে আসলে তাদের মুখের বিভিন্ন কাব্য এবং কবিতাও এখানে চলে আসে এবং এমনই একটি কাব্য হচ্ছে বিউলফ এবং ইংরেজি সাহিত্যের আদি নিদর্শন , ঠিক আমাদের বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদের মতোই। ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস আলোচনা এবং পর্যালোচনা করলে উল্লেখিত জাতি এবং গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের নাম আসবেই আসবে, আর তা না হলে ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস অসম্পূর্ণ থেকে যায় , কারণ শুরুটা এইভাবেই । আবার দেখুন ইংরেজ হচ্ছে একটি জাতি গোষ্ঠীর নাম যারা ইংল্যান্ডে বাস করেন, ইংরেজরা ইংরেজি ভাষায় কথা বলেন এবং "প্রাক-মধ্যযুগে ইংরেজ জাতি উত্তরণ হয় ", তখন পুরাতন ইংরেজিতে তাঁদেরকে Angelcynn হিসাবে বলা হয়েছে যার অর্থ দাঁড়ায় "এ্যাঙ্গেলদের পরিবার"এবং এই শব্দটি এসেছে প্রাচীন জার্মান এ্যাঙ্গেল জাতির নাম থেকে যারা ৫ম শতকে জার্মানি থেকে ইংল্যান্ডে অভিবাসিত হন, আবার ইতিহাসের দিকে তাকালে বা ঐতিহাসিক প্রসঙ্গ মতে "ব্রিটিশ" বা "ব্রিটন" বলতে প্রাচীন ব্রিটন জাতিকে বোঝানো হয়ে থাকে যা হতে ওয়েলশ, কর্নিশ, ব্রেটন এবং ইংরেজ জাতির এক বড় অংশ উদ্ভূত। মূলত জার্মানির স্যাক্সন বা Saxon গোষ্ঠী (৪৫০ - ১০৬৬) ইংল্যান্ড দখল করে রাখেন, অর্থাৎ ৪৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১০৬৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মোট ৬১৬ বছর এবং এই সময়টিকে Anglo-Saxon periodবলা হয়ে থাকে, পাশাপাশি এটিই ইংরেজি সাহিত্যের প্রথম বা প্রাথমিক যুগ কিংবা উষাকাল বা The dawn of English literature , তাই ইংল্যান্ড তথা ইংরেজি সাহিত্যের প্রাথমিক যাত্রা শুরু হয় বা The old English period হচ্ছে এই The Anglo-Saxon period ।
গল্পটুকু বরঞ্চ দুই লাইনে উপস্থাপন করি, অ্যাংলো স্যাক্সন ইংল্যান্ড বলা হয় ৫ম শতক থেকে ১১ শতক পর্যন্ত, রোমান ব্রিটেন এর পতন থেকে ১০৬৬ সালের নরম্যান কনকুয়েস্ট পর্যন্ত সময়টুকু। ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের শুরুটা হয় ইংল্যান্ডে যা রোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল, খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকের শুরুর দিকে গ্রিক ও কার্থেজিয়ানরা ইংল্যান্ডে প্রথম আগমন করেন বলে ধারণা করা হয়ে থাকে, তবে ইতিহাসবেত্তারা বলেন প্রথম ইংল্যান্ড আবিষ্কৃত হয় জুলিয়াস সিজারের সময় অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্ব ৫৫ ও ৫৪ সালের দিকে দুই বার অভিযান চালান তিনি ও প্রতিবারই ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি সমস্ত সৈন্যও হারাতে হয় তাঁকে, পরবর্তী সময়ে আরেক রোমান যোদ্ধা আউলাস প্লাওটিয়াস ৪৩ সালের দিকে ইংল্যান্ড জয় করেন, মূলত তাঁর হাত ধরেই ইংল্যান্ড রোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু ৪১০ সালের দিকে ইংল্যান্ডে রোমান সাম্রাজ্যের অবসান হয়ে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন অ্যাংলো স্যাক্সনরা, "এটা ছিল হেপ্টারকি শাসনামল"। পূর্বেই কিছুটা এই বিষয়ে আলোকপাত করেছি , হেপ্টারকি’ শাসনামলের শাসনব্যবস্থায় ইংল্যান্ডকে সাতটি স্বাধীন রাষ্ট্রে ভাগ করা হয়, এইগুলো হচ্ছে কিংডম অব নর্থামব্রিয়া, ওয়েসেক্স, মার্সিয়া, ইস্টঅ্যাংলিয়া, এসেক্স, কেন্ট ও সাসেক্স এবং
পরবর্তী সুদীর্ঘ ৪০০ বছর হেপ্টারকি শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল, এই সময়ে স্বাধীন সাত রাজ্যের রাজা পর্যায়ক্রমে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, অবশ্য তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী ছিলেন ওয়েসেক্সের রাজা এগবার্ট, তিনি ওয়েসেক্স ছাড়াও কেন্ট এবং সাসেক্স ও সারে নিয়ন্ত্রণ করতেন, তিনি তাঁর ছেলে ইথেলওয়াফকে সারের দায়িত্ব দিয়ে তাঁকে উপরাজা বানান। ১০৬৬ সালে হেপ্টারকি ব্যবস্থার অবসান ঘটে, তখন " "উইলিয়াম দ্য কনকারার" নিজেকে পুরো ইংল্যান্ডের একক রাজা হিসেবে ঘোষণা করেন। ইংল্যান্ডের ছোট ছোট রাজতন্ত্রগুলো উচ্ছেদ করে তিনি একক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, অবশ্য উইলিয়াম বা William the Conqueror কিংবা The first Norman king of England (as William I )আগে ইথেলওয়াফ ইংল্যান্ডে একক কর্তৃত্ব সৃষ্টি করেন , ৯২৭ সালে তাঁকে ইংল্যান্ডের প্রথম রাজা হিসেবে অন্য রাজারা মেনে নেন, তাঁর শাসনকাল ইংল্যান্ডের রাজনীতি এবং ইতিহাসের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং একসময় পুরো বিশ্বে যে সুবিশাল ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিদ্যমান ছিল তাঁর বীজ বপন করেছেন তিনিই, ১০৬৬ সালে নরম্যানরা ইংল্যান্ড জয় করলে উইলিয়াম দ্য কনকারার ইংল্যান্ডের একক রাজা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন, ইংল্যান্ড বিজয়ের পর তিনি সাতটি রাজ্য নিজের নিয়ন্ত্রণে আনেন, যা এখনো পর্যন্ত ইউনাইটেড কিংডম বা যুক্তরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত এবং King William I of EnglandBattle of Hastings নামেও সুপরিচিত, তাই অ্যাংলো স্যাক্সন সাহিত্য বলতে সেই সময়কার সাহিত্যকে বুঝানো হয়ে থাকে যখন ব্রিটেনে ৬০০ বছর অ্যাংলো স্যাক্সন যুগের রাজত্ব চলছিল, এই সংক্ষিপ্ত ভাবে Anglo-Saxon Age । ইংরেজি সাহিত্যের
মধ্যে যতো কিছুই বিদ্যমান থাকুক না কেন মৌলিক বিষয় কিন্তু শুধুমাত্র দুটিঃ একটি হচ্ছে Literature types বা সাহিত্যের ধরণ কিংবা ইংরেজি সাহিত্যের লিখার বিভিন্ন রূপ ,ধরণ বা শাখা হতে পারে, ধরা যাক আত্মজীবনী বা Autobiography, নাটক বা Drama কিংবা Play, কবিতা বা Poem, গান বা Song, গল্প বা Story, প্রবন্ধ বা Essay, উপন্যাস বা Novel প্রভৃতি।
অপরটি হচ্ছে Literary Terms বা Figure of Speech কিংবা ইংরেজি সাহিত্যের অঙ্গসজ্জা গঠন অথবা
ইংরেজি সাহিত্যের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ মনের ভাব প্রকাশের
জন্য বিভিন্ন রকমের তুলনা , উপমা বা উদাহরণ ইত্যাদির মাধ্যমে উপস্থাপনের কৌশল গুলোই হচ্ছে
Figure of Speech, ধরা যাক রূপক বা Metaphor ,
উপমা বা Simile, দৃষ্টিভঙ্গি বা Attitude, স্বরসাদৃশ্য বা
Assonance, রূপক কাহিনী বা Allegory, অমিত্রাক্ষর ছন্দ বা Blank verse, আত্মঅহমিকা বা Conceit ,
সংলাপ বা Dialogue প্রভৃতি ।
The Last Kingdom কাহিনীর প্রেক্ষাপট হচ্ছে ইংল্যান্ড তখন একত্রভাবে ইংল্যান্ড হয়নি বা যুক্ত হয়নি আলাদা আলাদা রাজ্যে বিভক্ত এবং তা হলো ওয়েসেক্স, ওয়ালস, মার্সিয়া, ইস্ট এংলিয়া, নর্থাম্ব্রিয়া।
তার একটি অংশে ড্যানিশ বা ভাইকিংসদের আধিপত্য এবং তারা ডেইনল্যান্ড থেকে জাহাজে করে এসেছেন সম্পদের জন্য এবং মানুষ পর্যন্ত খুন করেন ও ইংল্যান্ডের রাজ্যগুলিতে তারা নিয়মিত হানা দিয়ে থাকেন । ওয়েসেক্স মূলত একটি স্যাক্সন রাজ্য যার রাজা হলেন King Alfred the Great বা কিং আলফ্রেড এবং তিনি একত্র বা সম্মিলিত ইংল্যান্ডের স্বপ্ন দেখেন ও ড্যানিশদের বিতাড়িত করে কিংবা ড্যানিশদের তাঁর অধীনে রেখেই তিনি সমগ্র ইংল্যান্ডের রাজা হবেন এটিই তাঁর ইচ্ছা। তিনি মনে করেন এটা তাঁর ঐশ্বরিক দায়িত্ব এবং এর মাধ্যমেই তিনি একক বা একটি খ্রিস্টান ইংল্যান্ড তৈরি করে যাবেন। যার ফলে মূল সংঘর্ষ স্যাক্সনদের সাথে আগ্রাসী ডেইনদের। তাছাড়া স্যাক্সনরা খ্রিস্টান ধর্মে বিশ্বাসী এবং এক ঈশ্বরে তাঁদের বিশ্বাস , পাশাপাশি অন্যদিকে ডেইনরা প্যাগান এবং তাঁরা বহুঈশ্বরে বিশ্বাসী ও একেশ্বরবাদী এই খ্রিস্টান ধর্মকে অপমান করার মাধ্যমে তাঁরা আনন্দ পান। এইখানে ডেইনদের সরাসরিভাবে বর্বর, অসভ্য ও আগ্রাসী হিসেবে চিত্রায়িত করা হয়েছে এবং অন্যদিকে স্যাক্সন খ্রিস্টান রাজা আলফ্রেডকে ভালো হিসেবে বর্ণনা করা আছে । মহামতি অ্যালফ্রেড বা ইংরেজিতে Alfred the Great ( ৮৪৮ মতান্তরে ৪৯ – ২৬ অক্টোবর ৮৯৯) হলেন ওয়েস্ট স্যাক্সন রাজা (৮৭১ – আনুমানিক ৮৮৬) ও পরবর্তীতে অ্যাংলোস্যাক্সন রাজা(আনুমানিক ৮৮৬ – ৮৯৯), পাশাপাশি তিনি হলেন রাজা এথেলউলফের কনিষ্ঠ পুত্র এবং এথেলউলফের মৃত্যুর সময় অ্যালফ্রেড ছিলেন নাবালক এবং অ্যালফ্রেডের তিন অগ্রজ এথেলবাল্ড, এথেলবার্ট ও এথেলরেড অ্যালফ্রেডের পূর্বে পর্যায়ক্রমে রাজত্ব করেছেন। দ্য লাস্ট কিংডমের কাহিনী একেবারেই সাধারণ ও Joseph Campbell বা প্রফেসর জোসেফ ক্যাম্পবেলের মনোমিথ বা হিরোজ জার্নির স্ট্র্যাকচারে গল্পের কাহিনী অবলম্বনে আবর্তিত। এইবার ভিন্ন প্রসঙ্গে আসছি কিন্তু বিষয়বস্তু একি অ্যাংলোস্যাক্সন সাহিত্য বলতে সেই সময়কার সাহিত্যকে বুঝানো হয়ে থাকে যখন ব্রিটেনে ৬০০ বছর অ্যাংলোস্যাক্সন যুগের রাজত্ব চলছিল এবং সাহিত্যের এই পর্যায়ে রচিত হয়েছে মহাকাব্য, সাধুদের জীবনী, প্রচার বানী, বাইবেল এর অনুবাদ, আইন সম্পর্কিত রচনা, ইতিহাস, ধাঁধা এবং আরও অনেক রকমের রচনা, পাশাপাশি সেই সময়ের রচনাগুলোর মধ্যে প্রায় ৪০০ টি পুরাণ অক্ষত আছে যা আগ্রহের এবং গবেষণার বিষয় হিসেবে বিশেষ ভাবে জনপ্রিয়, এই যুগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রচনার মধ্যে বেউলফ অন্যতম যা ব্রিটেনের জাতীয় মহাকাব্য হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে এবং এটি কমবেশী সবাই জানেন।
প্রাচীন ইংরেজিতে লেখা প্রায় ৪০০ টি রচনার মধ্যে ১৮৯ টি রচনাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরে নেয়া হয় ও এই রচনাগুলো তাদের ঐতিহাসিক মান এবং অনিন্দ্য রচনাশিল্পের কারণে ১৬শ শতাব্দী থেকেই সংগ্রাহকদের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান এবং জনপ্রিয়, যদিও সবগুলো লেখাকে সাহিত্যের কাতারে ফেলা যায় না।যে লেখাগুলোকে মোটামুটি সাহিত্য হিসেবে ধরে নেয়া যায় সেগুলো হচ্ছে ধর্মীয় উপদেশ, সাধুদের জীবনী, বাইবেলের অনুবাদ, চার্চের পুরোহিতদের ল্যাটিন থেকে প্রাচীন ইংরেজিতে অনুবাদ, অ্যাংলোস্যাক্সন ইতিহাস, উইল এবং অন্যান্য আইন সংক্রান্ত লেখা, ব্যাকরণ, ভূগোল এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান সংক্রান্ত লেখা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেই সময়ের রচিত কাব্য। কয়েকজন ছাড়া প্রায় সকল অ্যাংলোস্যাক্সন লেখকের নাম ইতিহাসে উল্লেখ করা নেই, বিংশ শতাব্দীতে গবেষণায় গুরুত্ব দেয়া হয় প্রাপ্ত পাণ্ডুলিপিগুলোর রচনাকাল এবং রচনা স্থল চিহ্নিত করার উপর এবং গবেষণায় প্রধান ৭ টি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে সাহিত্যগুলো রচিত হয়েছে এক্সটার, ওরচেস্টার, অ্যাবিংডন, ডুরহাম এবং ক্যানটারবারিতে অবস্থিত
অনুগ্ৰহ করে পরবর্তী পাতায় দেখুন।
19
View