রাত তখন প্রায় ১টা। নির্জন গ্রামের রাস্তা ধরে হাঁটছিলেন রতন কাকা। পেশায় ডাক্তার, তাই রাত-বিরেতে ডাক আসা নতুন কিছু নয়। আজ পাশের গ্রামে একজন রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে দেখতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে হঠাৎই মনে হলো, চারপাশের বাতাসটা যেন অদ্ভুতভাবে থমথমে!
রতন কাকা একটু খেয়াল করেই দেখলেন, পেছনে যেন কারও পায়ের আওয়াজ! থামলেন তিনি। চারপাশে তাকিয়ে দেখলেন, কেউ নেই!
আবার হাঁটা শুরু করলেন। কিন্তু পায়ের আওয়াজ এবারও শোনা গেল! তার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল। হঠাৎ বাতাস ঠান্ডা হয়ে এলো। পাশের বিশাল বটগাছের নিচে একটা ছায়ামূর্তি দেখতে পেলেন তিনি—একটা কালো, অস্পষ্ট অবয়ব!
রতন কাকা পা বাড়াতেই ছায়াটা এগিয়ে এলো। চোখদুটো যেন জ্বলজ্বল করছে! তিনি দৌড়ে পালাতে চাইলেন, কিন্তু পা যেন জমে গেল! ছায়াটা ধীরে ধীরে তার সামনে এল, আর কানে ভেসে এলো ফিসফিস শব্দ—
"তুমি আমাকে চিনতে পারছ না? আমি… আমি সেই…"
রতন কাকার মুখ শুকিয়ে গেল! তিনি যে নাম শুনলেন, সেটা ছিল তার ছোটবেলার বন্ধু রমেশ, যে বছর দশেক আগে এই রাস্তার পাশেই এক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল!
রতন কাকা জ্ঞান হারানোর আগে শুধু শুনতে পেলেন এক করুণ হাসি, আর তার চারপাশে হিমশীতল বাতাস ঘুরপাক খেতে লাগল…
(পরদিন সকালে গ্রামের লোকেরা তাকে রাস্তার ধারে অচেতন অবস্থায় পেল। জ্ঞান ফিরলে তিনি কিছু বললেন না, শুধু চুপচাপ বাড়ি ফিরে গেলেন। কিন্তু তার পর থেকে রাতের বেলা ওই রাস্তা দিয়ে আর কখনও যাননি!)