নীলগঞ্জ গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তার রহস্য নিয়ে বহু বছর ধরে নানা গল্প প্রচলিত ছিল। কেউ বলত, রাতের বেলা সেখানে অদ্ভুত ছায়া দেখা যায়, কেউ আবার বলত, পথচারীরা অজানা কোনো কারণে হঠাৎ করেই সেখানে হারিয়ে যায়।
একদিন, সাহসী যুবক আরিফ সিদ্ধান্ত নিল সে নিজেই রহস্য উদঘাটন করবে। পূর্ণিমার রাতে, হাতে একটি লণ্ঠন নিয়ে সে রওনা দিল সেই রাস্তার দিকে। রাত বাড়ার সাথে সাথে আশপাশের পরিবেশ আরও নিস্তব্ধ হয়ে উঠল। হঠাৎ সে অনুভব করল, তার আশপাশে ঠান্ডা বাতাস বইতে শুরু করেছে। কয়েক কদম এগোতেই দেখতে পেল, রাস্তার মাঝখানে একটা আবছা ছায়া নড়ছে।
আরিফ ভয় পেয়ে গেলেও সাহস করে এগিয়ে গেল। সে লক্ষ করল, ছায়াটি ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠছে—এটি ছিল একজন বৃদ্ধের অবয়ব! বৃদ্ধ ফিসফিস করে বলল, "আমাকে সাহায্য করো..."
আরিফ জিজ্ঞেস করল, "আপনি কে?"
বৃদ্ধ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, "অনেক বছর আগে আমি এই রাস্তার এক পথচারী ছিলাম। ডাকাতেরা আমাকে হত্যা করে এখানে ফেলে রেখে যায়। আমার আত্মা এখনো মুক্তি পায়নি।"
আরিফ ভয়ে কেঁপে উঠলেও সাহস হারাল না। সে গ্রামের প্রবীণদের কাছ থেকে এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করল এবং জানতে পারল, বহু বছর আগে সত্যিই এখানে এক নিরীহ পথচারীকে হত্যা করা হয়েছিল।
পরদিন, গ্রামের লোকেরা মিলে রাস্তার পাশে একটুকরো জমিতে বৃদ্ধের স্মরণে একটি ছোট মন্দির স্থাপন করল। তারপর থেকে আর সেই রাস্তায় কোনো রহস্যময় ঘটনা ঘটেনি।