নারীর প্রতি পুরুষের ভালোবাসায় সর্বদাই পুরুেষর এক অপূর্ণতা, এক অতৃপ্তি পরিলক্ষিত হয়…..পছন্দের নারীকে ভালোবাসিতে তাহার যেন কিছুতেই আশ মেটে না, তাহার আজন্মলব্ধ হৃদয় উজাড় করিয়া দেওয়া ভালোবাসা যেন সেই বিশেষ রমণীর জন্যই নিবেদিত, সম্পূর্ণভাবে সমর্পিত, এক অনাস্বাদিত, অপূর্ব আঘ্রাণে আমোদিত অমৃতভান্ড সে যেন সর্বস্ব পণ করিয়া অধিগ্রহণ করিতে চায় …..
পুরুষ সে হয়তো স্ত্রীলোকের জীবনে তাবৎ জাগতিক সুখের মাধ্যমমাত্র তবুও পুরুষ তাহাকে সংসার, সন্তান সহ যাবতীয় সুখে সুখী করিয়া, সর্বপ্রকার সামাজিক, মানসিক ও শারীরিক চাহিদা পূরণ করিবার পর সুখী করিবার মত কিছুই না থাকিলেও সুখী করিতে চায়…..তাহার কেবলই মনে হইতে থাকে, আহা প্রেয়সীকে আমি তো ভালোই বাসিতে পারিলাম না….কত প্রেম আমার দেবার ছিল……স্বল্প এ জীবন পরিসরে তাহা আর দিতে পারিলাম কই…..; পতঙ্গ যেমনটা মৃত্যু নিশ্চিত জানিয়াও এক অমোঘ আকর্ষণে জ্বলন্ত অগ্নিশিখার দিকে অগ্রসর হয় তেমনি পুরুষের এ অতৃপ্তি তাহাকে প্রণয় বিলাইয়া রিক্ত, নিঃস্ব এক এমন স্তরে লইয়া যায় যেখানে সে আপন সত্ত্বা পর্যন্ত প্রেমাস্পদের আত্মায় বিলীন করিতে উদ্বুদ্ধ করে……..
পুরুষের এই ভালোবাসার অার্তি, জীবনে প্রেমাস্পদকে জীবনসাথী হিসাবে পাইলেও হইতে থাকে, না পাইলেও হইতে থাকে…..কিন্তু না পাইলে তাহার এ অতৃপ্তি যেন পুরাণ কথিত অভিশাপের ন্যায় হইয়া থাকে……যাহা সেই প্রেম কে বহন করিয়া লইয়া তাহার অভীষ্টে লীন করিতে কঠোর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকে….হয়তো সে প্রতিজ্ঞা এমনতর দৃঢ় যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরও তাহার ললাটলিখন বদলাইতে বিবশ হইয়া পড়েন….কারণ প্রেম তা তো তাঁহারই পরম করুণা……আর তাঁহাকে পাইবার জন্যই তো এই আরাধনা …