তারা ভেবেছিল—
একটি রাতের আঁধারে
তোমাকে চিরতরে বিলীন করবে,
একটি বুলেটের আগুনে
তোমার ভাষণকে স্তব্ধ করবে,
একটি রক্তের রেখায়
তোমার স্বপ্নকে মুছে দেবে চিরদিনের মতো!
কিন্তু তারা জানত না—
ইতিহাসের পাতা কখনো শূন্য হয় না,
স্বাধীনতার শপথ কখনো নির্বাক হয় না,
আর বিপ্লবের মশাল
একবার জ্বলে উঠলে
হাজার ঝড়েও তা নিভে না!
শোনো, বঙ্গবন্ধু!
তোমার বজ্রকণ্ঠ আজও ধ্বনিত হয়
গঙ্গা-পদ্মার উচ্ছ্বাসে,
ধানের শীষে, সোনালি মাঠে,
শ্রমিকের ক্লান্ত হাতের রেখায়,
পথিকের চোখে জ্বলে ওঠা আগুনে!
তারা ভেবেছিল—
তোমার রক্তের কালি মুছে দেবে
বাংলার মানচিত্র থেকে,
কিন্তু জানত না—
তোমার নামই ইতিহাসের প্রথম পঙ্ক্তি,
তোমার স্মৃতিই এই মাটির মহাকাব্য!
দেখো, তুমি নেই—
তবু তোমার প্রতিটি কথা জেগে আছে
ছোট্ট শিশুর মুখে উচ্চারিত প্রথম স্বরে,
যুবকের অগ্নিময় দৃপ্ত শপথে,
মায়ের চোখের কান্নার স্ফুলিঙ্গে!
তারা ভেবেছিল—
তোমাকে মুছে ফেলবে!
কিন্তু ইতিহাস বলে—
তুমি নেই, তবু আছো!
তুমি মাটির শপথ,
তুমি রক্তের প্রতিধ্বনি,
তুমি বজ্রের ডাক—
যে ডাক, একদিন
নতুন এক বাংলাদেশ জাগাবে!