নিহাল প্রতিদিনের মতোই তার প্রিয় বইয়ের দোকানে এসে বসে। ঠান্ডা হালকা হাওয়া বইছে, চারপাশে কুয়াশার চাদর। হাতে এক কাপ গরম কফি নিয়ে সে বই পড়ছিল, ঠিক তখনই দরজা ঠেলে ভেতরে এলো নীলা।
নীলা ছিল একরকমের অদ্ভুত মেয়ে—চঞ্চল, প্রাণবন্ত, আর চোখে একরাশ স্বপ্ন। কিন্তু আজ তার চোখে একটা অন্যরকম উজ্জ্বলতা ছিল, যেন সে কিছু বলতে চায়। সে ধীরে ধীরে নিহালের দিকে এগিয়ে এলো।
“তুমি কি জানো, শীতের বিকেলগুলো আমার খুব প্রিয়?”—নীলা হেসে বলল।
নিহাল তাকিয়ে থাকল তার দিকে, একটু বিভ্রান্ত হয়ে। “কেন?”
“কারণ এই বিকেলগুলোতে কেউ একজন আমাকে কফি আর বইয়ের গল্প শোনায়, আমি সেই গল্পের নায়িকা হয়ে যাই।”
নিহালের হৃদয় কেমন যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলল। সে বুঝতে পারছিল না, এটি কেবল নীলার মজার কথা নাকি তার ভেতরের সত্যি অনুভূতি।
নীলা চুপ করে ছিল কিছুক্ষণ, তারপর হঠাৎ বলল, “আমি আসলে অনেক দিন ধরেই একটা কথা বলতে চাচ্ছিলাম, কিন্তু সাহস পাইনি।”
নিহাল বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে রইল। নীলার চোখে এক ধরনের স্নিগ্ধতা খেলা করছিল।
“আমি তোমাকে পছন্দ করি, নিহাল,”—নীলার কণ্ঠে ছিল এক অনির্বচনীয় অনুভূতি।
নিহাল কিছুক্ষণের জন্য কিছু বলতে পারল না। তারপর হাসল। “তুমি জানো, আমিও তোমাকে পছন্দ করি? কিন্তু ভাবতাম, হয়তো তুমি শুধু বন্ধু হিসেবেই আমাকে দেখো।”
নীলা হেসে বলল, “প্রকৃত বন্ধুত্বের মাঝেই তো ভালোবাসার শুরু হয়, তাই না?”
সেই শীতের বিকেল এক নতুন গল্পের শুরু করল—নীলা আর নিহালের ভালোবাসার গল্প।