' ফার্মাকোলজি ' নিয়ে ক্লাস চলছে। পুরো ক্লাসে পিনপতন নীরবতা। হঠাৎই একটা মেয়ে দরজায় দাঁড়িয়ে বলে উঠলো, "May I come in, sir."
সকলের দৃষ্টি দরজার দিকে গেল। ধূসর স্বাভাবিক ভাবেই বললো, "Yes, come in."
মেয়েটা ভিতরে এসে বললো, "Can I take my seat? "
"Just a minute.তোমার নাম যেন কি? "(ধূসর)
যেখানে বাঘের ভয় সেখানে গিয়েই ক্লাস শেষ হয়। (মনে মনে) নিজের সাথে কথা বলা শেষে একটু হাসার চেষ্টা করে বললো, “ নীলিমা। নীলিমা কাজী।”
"ও হ্যাঁ। তা এতক্ষণ পর ক্লাসের কথা মনে পড়লো! "(ধূসর)
"sir, just ৫ মিনিটই তো। আর রনি স্যার…"
নীলিমার কথা শেষ করতে না দিয়ে ধূসর রেগে বললো, “Shut up. আমার ক্লাসেই সবাই তোমায় ডাকে না? Whatever get out.”
নীলিমা অবাক চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে তারপর বেঞ্চের দিকে হাটা শুরু করলো।ধূসর অবাক হয়ে বললো, “ এই মেয়ে কোথায় যাও? বের হতে... ”
ধূসরের কথা শেষ করতে না দিয়ে নীলিমা বললো, “ ব্যাগটা নিয়ে যাই। এটাই তো শেষ ক্লাস। ”
বলা শেষ করে ব্যাগটা নিয়ে নিজের ফ্রেন্ডদের উদ্দেশ্যে বললো, “ নোটটা দিয়ে দিস। ”
ধূসর ভ্রু কুচকে তাকিয়ে নীলিমার কর্মকাণ্ড দেখছে। নীলিমা ধূসরের কাছাকাছি এসে ফিসফিস করে বললো,"Thank you, sir.আমার বাসায় আজকে একটু তাড়াতাড়ি যেতে হতো। পাএ পক্ষ আসবে বলে কথা। "
বলা শেষ করে গুনগুন করতে করতে বের হয়ে গেল।
"মেয়ের কোলে রোদ হেসেছে,
বাদন গেছে টুটি।
আজ আমাদের ছুটি " ও sorry
আজ আমার ছুটি, ও ভাই
আজ আমার ছুটি। "
ধূসর বিড়বিড় করে বললো, "কি বিয়ে পাগল মেয়ে রে বাবা। "
কিছুক্ষণ বোকার মতো তাকিয়ে থেকে বললো,"অনেক time waste হয়ে গেল। Now, everyone concentrate in class "
ধূসর আবারো পড়ানো শুরু করলো। আর সকলকে মনোযোগীও হতে হলো। নাহয় তাদেরও নীলিমার মতোই হবে।
হঠাৎই আরেকজন দরজা থেকে বলে উঠলো, “ধূসর স্যার ভিতরে আসবো? ”
ধূসর বিরক্ত হলো দরজায় দাঁড়ানো মানুষটাকে দেখে। তাও হাসি মুখেই বললো, “জ্বী ভিতরে আসেন রনি স্যার।”
রনি ভিতরে আসতেই সাগর মুনকে ফিসফিসিয়ে বললো,"দেখ আইছে আরেক অবিবাহিত scene create করার জন্য। এই দুই অবিবাহিত ডঙ্গি একজন নিলা ছাড়া কিছু বুঝে না আরেকজন নিলা কে দুই চোখে দেখতে পারে না। "
মুন বিরক্ত হয়ে বললো, “আরে চুপ থাক বলদ। কাহিনী বুঝতে দে।”
রনি পুরো ক্লাস একবার দেখে তারপর বললো,"নীলিমা কোথায়? "
ধূসরের সোজা সাপ্টা উওর," বের করে দিছি।"
রনি অবাক হয়ে বললো, কেন?
"ক্লাসে সবসময় late ককরে তাই। "(ধূসর)
"কিন্তু ওকে তো আমি ডেকেছিলাম। এই মুন,বন্যা তোমারা স্যারকে বলো নি? "(রনি)
মুন,বন্যা দাঁড়িয়ে বললো, নীলিমা বলেছিলো but স্যার শুনে নি।
"প্রত্যেকদিন late করলে কে শুনতে যাবে! "(ধূসর)
বন্যা ফিসফিস করে বললো, "মোটেও প্রত্যেকদিন না। আজ দিয়ে তিন দিন।"
রনি আপসোসের সাথে বলে উঠলো, “এখন আমার কি হবে। কোচিংয়ের প্রশ্ন করিয়েছিলাম ওকে দিয়ে। তাই solve sheet ওও ভালো দিতে পারবে। এখন যদি আমি solve করতে যাই তাহলে তো আমার বারোটা বেজে যাবে। ”
রনি কিছুক্ষণ আপসোস করে তারপর বললো, “আচ্ছা, যাইহোক। মুন তুমি এগুলো নিয়ে যাও। নীলিমাকে দিয়ে দিও। আর কালকের মধ্যে solve করে দিতে বলো। ”
"নিলা মানে নীলিমা তো কালকে ভার্সিটিতে আসবে না । "(মুন)
কেন?(রনি)
"Emergency আছে। তাই বাসায় থাকবে। "(মুন)
"কেন! কারো কিছু হয়েছে? "(রনি)
“ না। একটু যেতে বলেছে তাই যাচ্ছে।আমাদের কিছু বলে নি। ”(মুন)
ধূসর খুবই বিরক্ত হচ্ছে। সাথে আপসোসও হচ্ছে নীলিমাকে বের করে দেওয়ার জন্য। আজ যদি সে বের করে না দিতো তাহলে অন্তত তার ক্লাস টাইম নষ্ট হতো না।
"ও। আচ্ছা, question paper টা তুমি নিয়ে যাও কালকের মধ্যে solve করে দিবে কিন্তু। "(রনি)
মুন question paper টা নিয়ে বিড়বিড় করে বললো, “ নিলার বাচ্চা নিলা রে, তুই এভাবে আমায় বাঁশ দিয়ে গেলি রে। ”
রনি চলে যেতেই ধূসর পড়ানো শুরু করবে এমন সময় বেল দিয়ে দিলো।
ধূসর রাগে ফুসতে ফুসতে বের হয়ে গেল।