Posts

প্রবন্ধ

মুস্তফা

April 4, 2025

Liton Chakma

Original Author নিজে

17
View

২৯ . ৩ . ২০২৪ইং।
প্রথম
     মুস্তফা শব্দটির অর্থ হলো নির্বাচিত বা পছন্দের যা  নবীজি রাসূল মুহাম্মদের( সাঃ)  একটি নাম এবং এটি ঈশ্বরের বার্তাবাহক হিসেবে তাঁর ঐশ্বরিক নির্বাচনকে নির্দেশ করে থাকে , মুস্তফা একটি আরবি নাম এবং উপাধি যা নবী মুহাম্মদকে( সাঃ) সম্মান জানাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে মূলত যা ঈশ্বরের একজন বার্তাবাহক হিসেবে তাঁর ঐশ্বরিক নির্বাচনের উপর জোর প্রদান করে থাকে , মুস্তফা শব্দের অর্থ  নির্বাচিত, নিযুক্ত অথবা পছন্দসই ,  মুস্তফা উপাধিটি এই বিশ্বাসকে তুলে ধরেন যে মুহাম্মদকে( সাঃ)  ইসলামের চূড়ান্ত বাণী পৌঁছে দেওয়ার জন্য ঈশ্বর মনোনীত করেছিলেন , সর্বোপরি মুস্তফা মুসলিম বিশ্বে একটি সাধারণ নাম এবং উপাধি যা নবীজি মুহাম্মদ ( সাঃ)  সম্মান জানাতে এবং বিশ্বাস প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হযে থাকে। আর  ইসলাম অনুসারে  তিনি ছিলেন একজন নবী যিনি আদম , নূহ , ইব্রাহিম , মূসা , যীশু এবং অন্যান্য নবীদের একেশ্বরবাদী শিক্ষা প্রচার এবং নিশ্চিত করার জন্য ঐশ্বরিকভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন । আরব উপদ্বীপ এবং এর বাইরেও ইসলাম ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে নবীজি রাসূল ( সাঃ) উনাকে সম্মান করার এবং বিশ্বাসের প্রতি নিষ্ঠা প্রদর্শনের উপায় হিসেবে মুস্তাফা নামটি বিশিষ্টতা লাভ করে থাকে । পাশাপাশি আল্লাহর ইচ্ছায় নবজাতক শিশুর নামকরণ মুহাম্মদ এবং আলমুস্তফা নামের সমন্বয়ে করা জায়েয , কারণ তাদের প্রত্যেকের সাথে আলাদাভাবে নামকরণ জায়েয , বাংলা জায়েজ শব্দটি আরবি জাইজ হতে উদ্ভূত ও অর্থ  বৈধ বা আইনসম্মত। 
আর মুহাম্মদ  নামের অর্থ হলো প্রশংসনীয় এবং পবিত্র কোরআনে  মুহাম্মদকে আহমাদ অর্থাৎ আরও প্রশংসিত  হিসেবেও উল্লেখ করা হয়ে থাকে , পাশাপাশি 
মুহাম্মদকে( সাঃ) উনাকে হামিদ অর্থাৎ ঈশ্বরের প্রশংসাকারী  এবং মাহমুদ অর্থাৎ সর্বাধিক প্রশংসিত হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে , তাছাড়া নবী মুহাম্মদ (সাঃ) উনাকে একাধিক শিরোনামে উল্লেখ করা আছে উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে নবীদের সীলমোহর , 
আল্লাহর রসূল , প্রিয়  বা ঈশ্বরের প্রিয় কিংবা  হাবিব আল্লাহ , মনোনীত বা নিযুক্ত , আলমুবাশির বা সুসংবাদদাতা , আননাধির বা দ্য ওয়ার্নার , 
আলমুধাক্কির বা অনুস্মারক , আদদাই বা যিনি ঈশ্বরের দিকে আহ্বান করেন , আলবশির বা ঘোষক , 
আননূর বা আলোর ব্যক্তিত্ব , আলমিসবাহ বা প্রদীপ
বা লণ্ঠন বা আক্ষরিক অর্থে আলোর বাহক প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য । তাছাড়া সাঃ বা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও অর্থ হলো আল্লাহ তাঁর প্রতি রহমত বা দয়া ও শান্তি বর্ষণ করুন , রাঃ বা রাদিআল্লাহু আনহু ও অর্থ হলো আল্লাহ তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হোন এবং রহঃ মাধ্যমে বোঝানো হয়ে থাকে রাহিমাহুল্লাহ বা রহমাতুল্লাহি আলাইহি আর অর্থ হলো আল্লাহ তাঁর প্রতি রহম করুন অথবা তাঁর উপর রহমত বা দয়া বর্ষিত হোক। পাশাপাশি হযরত  হলো সম্মানসূচক আরবি উপাধি ও এর শাব্দিক অর্থ হলো উপস্থিত ,  আর হযরত এই উপাধিটি আরবি ,  ফার্সি , পশতু , তুর্কি , উর্দুতে ইসলামী বিশ্বাসের নবীদের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে , পাশাপাশি পঁচিশ জন মহান হযরতের মধ্যে রয়েছেন মুহাম্মদ , ইব্রাহিম , নূহ , মূসা এবং যীশু । তাছাড়া 
আঃ এর পূর্ণরূপ হলো আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও
এটি শব্দসংক্ষেপ লেখা হয়ে থাকে যা শেষ নবী ব্যতীত অন্য সব নবীদের নামের পর ও তাঁর উপর শান্তি বর্ষিত হোক হলো আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।  সবশেষে বলা যেতে পারে পঁচিশ জন মহান হযরত হলেন ১/  আদম (আঃ) ২/ ইদ্রিস (নবী) ৩/  নূহ (আঃ) ৪/ হুদ (নবী) ৫/
নবী সালি( আঃ)  বা সালেহ বা সালিহ  ৬/ নবী
ইব্রাহীম ৭/ নবী লুট ৮/ নবী ইসমাইল ৯/ নবী ʾইসহাক
১০/ নবী ইয়াকুব ১১/ নবী ইউসুফ ১২/ নবী আইয়ুব
১৩/ নবী শুয়াইব ১৪/ নবী মুসা ১৫/ নবী হারুন ১৬/ 
নবী দাউদ আলাইহিস সালাম ১৭/ নবী সুলাইমান ১৮/ 
নবী ইলিয়াস ১৯/ নবী আলিয়াসা  আলাইহিস সালাম ২০/ নবী ইউনূস ২১/ নবী যুলকিফল ২২/ নবী জাকারিয়া ২৩/ নবী ইয়াহিয়া ইবনে জাকারিয়া ২৪/ 
নবী ইসা ও ২৫ / নবী মুহাম্মদ( সাঃ) , তাছাড়া উল্লেখিত 
ইবনে শব্দের অর্থ হলো এর পুত্র ও ইবন এটি আরবী শব্দ। আর আঃ বা আসাদুল্লাহ শব্দটির অর্থ হলো একজন পুরুষ মুসলিম প্রদত্ত নাম যার অর্থ আল্লাহর সিংহ ,  নামটি প্রাথমিকভাবে ইসলামিক নবী মুহাম্মদের নিকটতম আত্মীয় হামজা ইবনে আবদ আলমুত্তালিব এবং আলী ইবনে আবু তালিবকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছিল , হামজা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব( আঃ)  মুহাম্মদের( সাঃ)  চাচা এবং সাহাবী , আর আলী ইবনে আবি তালিব ( আঃ ) তিনি নবী মুহাম্মদের( সাঃ)  চাচাতো ভাই এবং জামাতা ও পত্নী ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ( রাঃ)   ইসলামিক নবী মুহাম্মদ( সাঃ )  এবং তাঁর স্ত্রী খাদিজার( রাঃ)  কন্যা , আর আলী ইবনে আবি তালিব ( আঃ)  তাঁর দুইজন সন্তান হলেন হাসান ইবনে আলী( আঃ) ও হুসাইন ইবনে আলী( আঃ) , যদিও তাঁর সন্তানের সংখ্যা হলেন ১১ জন/ ১৫ জন  , আর বিনতে অর্থ হলো মেয়ে, কন্যা বা  তনয়া ও সেই হিসাবে ফাতিমা বিনতে মুহাম্মাদ (আঃ) অর্থ হলো মুহাম্মাদের( সাঃ)  মেয়ে ফাতিমা । আর আলি ইবনে আবু তালিব ( আঃ) সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারী পুরুষ সাহাবি , অপরদিকে মাতা খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ( রাঃ) মুহাম্মাদ (সাঃ) উনার প্রথম স্ত্রী ও সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারী এবং তিনিই সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারী নারী । মূলত আলি ইবনে আবু তালিব( রাঃ) নয়জন সহধর্মিনী  এবং বেশ কিছু উপপত্নীর থেকে চৌদ্দোটি পুত্র ও উনিশটি কন্যা ছিলেন  ও তাঁদের মধ্যে হাসান, হুসাইন এবং মুহাম্মদ ইবনে আল হানাফিয়াহ ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন এবং তাঁদের মধ্যে মাত্র পাঁচজন বংশধর রেখে গেছেন , আর  মুহাম্মদ(সাঃ)  ছোট মেয়ে ফাতিমার( রাঃ)  কাছ থেকে চারজন সন্তান ছিলেন হাসান( আঃ)  ও হুসাইন‌( আঃ) এবং  জায়নব( রাঃ)  আর উম্মে কুলসুম ( রাঃ) , তাই হযরত আলী ( রাঃ) সন্তানের সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের উল্লেখ দেখতে পাওয়া যায় , আবার 
মুহাম্মদ ইবনে আবি বকর( আঃ) তাঁর দত্তক পুত্র ছিলেন । 
    ‌আবার আরেটি বিষয় বলে রাখা উচিত ফাতেমীয় খিলাফত  খ্রিস্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত বিদ্যমান ইসমাইলি শিয়া খিলাফতীয় রাষ্ট্র ,  ফাতেমীয়রা আরব বংশোদ্ভূত একটি রাজবংশ যা মুহাম্মদের(সাঃ) কন্যা ফাতিমা এবং তাঁর স্বামী আলী ইবনে আবি তালিবের সাথে তাঁদের পূর্বপুরুষদের সন্ধান করে যিনি প্রথম শিয়া ইমাম ছিলেন ,  ইসমাইলি শিয়া মতবাদ হলো ইসমাইলিবাদ , এটি   শিয়া ইসলামের একটি শাখা বা উপদল , ইসমাইলিরা ইসমাইল ইবনে জাফরকে তাঁর পিতা জাফর আসসাদিকের নিযুক্ত আধ্যাত্মিক স্থলাভিষিক্ত (ইমাম) হিসাবে গ্রহণ করার ফলে তারা এই নাম লাভ করেন ,  যা তাদের 
ইসনা আশারিয়াদের থেকে পৃথক করে যারা পক্ষান্তরে ইসমাইলের ছোট ভাই মুসা আলকাজিমকে পরবর্তী ইমাম হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন , তাছাড়া 
ইসমাইল ইবনে জাফর ছিলেন ইমাম জাফর আসসাদিকের জ্যেষ্ঠপুত্র এবং ইসমাইলি শিয়া মুসলমানদের ৭ম ইমাম ,  আবার জাফর আসসাদিক
ইসনা আশারিয়া ও ইসমাইলি শিয়া মুসলমানদের মতে তিনি ছিলেন ৬ষ্ঠ ইমাম , ইসনা আশারিয়া শিয়া ইসলামের শাখা ও  ইসমাইলি বা ইসমাইলিবাদ তো আছেই , আবার উল্লেখিত মুসা আলকাজিম ছিলেন সপ্তম শিয়া ইমাম ,  তিনি তাঁর পিতা ষষ্ঠ ইমাম জাফর আলসাদিকের পর ইমাম হন ,  সুন্নি মুসলমানগণ তাঁকে একজন খ্যাতিমান জ্ঞান সম্পন্ন আলেম হিসেবে বিবেচনা করেন। মূ্লত  জাফর আসসাদিক বা 
জাʿফরের মৃত্যুর পর শিয়া সম্প্রদায় দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন  , একদল বিশ্বাস করেন যে ইমামত মুসা ʾইবনে জাʿফরের নিকট প্রেরিত হয়েছিল , এরা ইসনা আশারিয়া নামে পরিচিত। আবার আরেকদল বিশ্বাস করেন যে ইমামত ইসমাʿইল ʾইবনে জাʿফরের নিকট প্রেরিত হয়েছিল, তারা ইসমাʿইলের নামানুসারে ইসমাইলি হিসেবে পরিচিত ,  সুতরাং সর্বোপরি যা দেখতে পাওয়া যায় তা হলো জাফর ইবনে মুহাম্মাদ আসসাদিক তাঁর উত্তরসূরি বিতর্কিত , কারণ 
মুসা ইবনে জাʿফর আল কাজ়িম তিনি যেমন ইশনা আশারিয়া দ্বাদশী শিয়া মুসলমানদের সপ্তম ইমাম , ঠিক তেমনি অপরদিকে আবু মুহাম্মদ ইসমাʿইল ʾইবনে জাʿফর তিনি  ইসমাইলি শিয়া মুসলমানদের ৭ম ইমাম , সুতরাং শিয়াদের দুটি ভাগে বিভক্ত একটি  ইসনা আশারিয়া ও আরেকটি ইসমাইলি শিয়া , কিন্তু জাফর আসসাদিক ইসনা আশারিয়া ও ইসমাইলি শিয়া মুসলমানদের মতে তিনি  ৬ষ্ঠ ইমাম এটি ঠিকিই আছে , কিন্তু তাঁর মৃত্যুর মাধ্যমে উত্তরসূরি বিতর্কিত সূচনা ঘটে, অর্থাৎ ইসনা আশারিয়া: মুসা আল কাজিম ও ইসমাইলি: ইসমাইল ইবনে জাফর ।  সর্বোপরি বলবো 
জাফর আস সাদিক ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ ও মনীষী , তিনি পিতার দিক থেকে ইসলামের চতুর্থ খলিফা আলীর এবং মাতার দিক থেকে ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকরের বংশধর ছিলেন‌ ,  শিয়াদের মতে নবী মুহাম্মদের( সাঃ) ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী তিনি বারো ইমামের অন্যতম ,  নবীবংশের ষষ্ঠ ইমাম হিসেবে তিনি শিয়া সম্প্রদায় কর্তৃক মান্য ,  আর আসসাদিকের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারের প্রশ্নটি ছিল শিয়াদের মধ্যে বিভেদের কারণ ,  একদল তাঁর বড় পুত্র ইসমাইল ইবনে জাফরকে (যিনি তাঁর পিতার আগেই মারা গিয়েছিলেন) পরবর্তী ইমাম হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন এবং আরেকদল তাঁর অন্য পুত্র মুসা আলকাজিমকে ইমাম হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন ,  প্রথম দলটি ইসমাইলি এবং দ্বিতীয় দলটি ইসনা আশারিয়া নামে পরিচিতি লাভ করে , প্রকৃতপক্ষে ঘুরেফিরে একি কথা বারবার বললাম। আর উল্লেখিত 
বারো ইমাম বা দ্বাদশ ইমাম হলেন  শিয়া ইসলামের ইসনা আশারিয়া (আলবীয় ও আলেভিসহ) শাখার বিশ্বাসমতে পয়গম্বর মুহাম্মাদের ( সাঃ)  আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক স্থলাভিষিক্তগণ , তাছাড়া বারো ইমাম বা দ্বাদশ ইমামদের তালিকাটি হলো ১/ আলী ইবনে আবু তালিব( রাঃ) ২/ হাসান ইবনে আলী( আঃ) ৩/ হুসাইন ইবনে আলী( আঃ) ৪/ আলী ইবনে হোসাইন জয়নুল আবিদীন( আঃ) ৫/ মুহম্মদ আল-বাকির( আঃ) বা 
মুহাম্মদ ইবনে আলী ৬/  জাফর ইবনে মুহাম্মদ( আঃ) বা জাফর আসসাদিক ৭/ মুসা ইবনে জাফর( আঃ) বা 
মুসা আলকাজিম ৮/ আলী ʾইবনে মুসা আর রিদ়া ( আঃ) বা আলী আর-রিদা ৯/ মুহাম্মদ ইবনে আলী ( আঃ) বা মুহম্মদ আল-জওয়াদ ১০/ আলী ইবনে মুহাম্মদ( আঃ) আল হাদী ১১/ হাসান ইবনে আলী( আঃ) আল আসকারী ১২/ মুহাম্মদ ইবনে হাসান ( আঃ) আল মাহদী । সবশেষে বলবো ফাতেমীয় খিলাফত ইসলামী খিলাফতগুলোর মধ্যে চতুর্থতম , 
এটি নবী মুহাম্মদের( সাঃ)  কন্যা ফাতিমা এবং তাঁর স্বামী আলী ইবনে আবি তালিবের সাথে তাদের পূর্বপুরুষদের সন্ধান করে যিনি প্রথম শিয়া ইমাম ছিলেন , ফাতেমীয় খিলাফত এই রাষ্ট্র ইসমাইলি শিয়া মতবাদকে ধারণ করতেন , অর্থাৎ ইসমাইলিবাদ । 
ইসমাইলি মতবাদ এক পর্যায়ে শিয়া ইসলামের বৃহত্তম শাখায় পরিণত হয়েছিল , দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীতে ফাতিমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছে গিয়েছিল ,  ইসমাইলিরা তওহীদ ও খতমে নবুয়তে বিশ্বাস করেন এবং মুহাম্মদকে ( সাঃ) তাঁরা সমগ্র মানবতার প্রতি আল্লাহর চূড়ান্ত নবী ও রসূল হিসাবে বিবেচনা করেন  , আর ইসমাইলি ও ইসনা আশারিয়া উভয়ই অভিন্ন প্রাথমিক ছয় ইমামকে গ্রহণ করেন , কিন্তু ইসমাইলিরা ইসমাইল ইবনে জাফরকে সপ্তম ইমাম হিসাবে গ্রহণ করেন , আর উল্লেখিত তাওহীদ হলো একত্ববাদ ও 
তাওহীদ  বলতে ইসলাম ধর্মে এক আল্লাহর ধারণাকে বোঝায় ,  তাওহিদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ ও এটি শিরকের বিপরীত ,  ইসলামি পরিভাষায় তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তাঁর জন্য নির্ধারিত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা , আর 
শিরক  বলতে ইসলাম ধর্মে পৌত্তলিকতা বা বহুঈশ্বরবাদ চর্চা করার পাপকে বুঝায় ,  অর্থাৎ শিরক হলো আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে উপাস্য হিসেবে নির্ধারিত করা বা তাঁর উপাসনা করা , শাব্দিকভাবে এর দ্বারা এক বা একাধিক কোন কিছুকে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব ও কর্তৃত্বের অংশীদার সাব্যস্ত করাকে বুঝায় ,  এটি তাওহিদের পরিপন্থী একটি বিষয়। ইসলামে শিরক হলো একটি অমার্জনীয় অপরাধ যদি না মৃত্যু নিকটবর্তী হবার পূর্বে আল্লাহ্‌র নিকট এই অপরাধের জন্যে ক্ষমা চেয়ে না নেয়া হয়। ইসলামের নির্ভরযোগ্য তথ্য অনুসারে আল্লাহ্ তায়ালার কাছে ক্ষমা না চাইলেও মৃত্যুর পর নিজের বিচার অনুসারে তার ইবাদতকারীদের যে কোনো ভুল ক্ষমা করতে পারেন, কিন্তু শিরকের অপরাধী দুনিয়াতে ক্ষমা না চাইলে কখনোই ক্ষমা করবেন না। আবার আরেকটি উল্লেখিত 
খতমে নবুওয়াত ইসলামী শরীয়তের একটি বিষয় ,  ইসলামি পরিভাষায় মুহাম্মদ( সাঃ)  সর্বশেষ নবী ও রাসূল এরূপ বিশ্বাসকে খতমে নবুওয়াত বলা হয়ে থাকে, পবিত্র কুরআনের ৩৩:৪০ আয়াতে মুহাম্মদ(সাঃ)  সম্পর্কে আল্লাহ বলেন মুহাম্মদ তোমাদের কোন পুরুষের পিতা নন, বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং সর্বশেষ নবী, আর আল্লাহ সবকিছু সম্পর্কে সর্বজ্ঞাতা‌, মূলত সবশেষে বলবো খতমে নবুয়ত শব্দটি আরবি শব্দ ,  খতম  অর্থ শেষ, সমাপ্তি আর নবুয়ত ‎অর্থ  পয়গম্বরী , নবিত্ব ,  সুতরাং খতমে নবুয়ত অর্থ নবিগণের সমাপ্তি, আর ইসলামি পরিভাষায় হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে শেষ নবি হিসাবে মেনে নেওয়াকে খতমে নবুয়ত বলে এক কথায়। তাছাড়া উল্লেখিত 
আলবীয় হলো শিয়া ইসলামের একটি শাখা ,  আলবীয়রা আলী ইবনে আবী তালিবকে( রাঃ)  ভক্তি করে থাকেন যাঁকে শিয়া চিন্তাধারায় প্রথম ইমাম হিসাবে বিবেচনা করা হয় , আর খুবই সম্ভবত আলেভিস অর্থ হলো এক ঈশ্বরের উপাসনা , সুতরাং 
বারো ইমাম বা দ্বাদশ ইমাম  হলেন শিয়া ইসলামের ইসনা আশারিয়া (আলবীয় ও আলেভি সহ) শাখার বিশ্বাসমতে পয়গম্বর মুহাম্মাদের( সাঃ)  আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক স্থলাভিষিক্তগণ , আর ইসনা আশারিয়া
শিয়া ইসলামের শাখা ও দ্বাদশী শব্দটি দ্বারা এর অনুসারীদের বারোজন ঐশ্বরিকভাবে মনোনীত নেতা তথা বারো ইমাম বিশ্বাস এবং সর্বশেষ ইমাম মুহম্মদ আল মাহদীকে( আঃ)  অন্তর্হিত ইমাম ও প্রতীক্ষিত মাহদী হিসেবে বিশ্বাস করাকে বোঝানো হয় ,  শিয়া ঐতিহ্য অনুসারে মাহদীর শাসনামল নবী ঈসার দ্বিতীয় আগমনের সমসাময়িক হবে এবং ঈসা মাহদীকে দজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহযোগিতা করবেন , আর 
দজ্জাল হলো ইসলামি পরিভাষা অনুসারে কিয়ামতের পূর্বে আবির্ভূত হওয়া এক মহা প্রতারকের নাম , সে নিজেকে ঈশ্বর বা ঐশ্বরিক শক্তির অধিকারী ব্যক্তিত্ব বলে দাবি করবেন এবং তাঁর ঈশ্বরত্ব প্রমাণের জন্য বহু অলৌকিক কর্মকাণ্ড দেখাবেন , আর অনেক মানুষ তাঁকে বিশ্বাস করে পথভ্রষ্ট হবেন , আর কিয়ামত হলো 
ইসলামে পরকালীন বিশ্বাস । দাজ্জাল কিয়ামতের পূর্বে 
সাধারণত পূর্বাঞ্চলের খোরাসান  বা সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যবর্তী কোনো এলাকা থেকে তাঁর আগমন ঘটবে , আর দাজ্জাল চরিত্রটি খ্রিষ্টান পরলোকতত্ত্বে বর্ণিত খ্রিষ্টারি চরিত্রের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ ,  তাছাড়া 
খ্রিষ্টারি বা অ্যান্টিক্রাইস্ট হলো খ্রিষ্টীয় পরলোকতত্ত্ব অনুসারে বাইবেলে উল্লেখিত একজন ব্যক্তি যে যীশুখ্রিষ্টের দ্বিতীয় আগমনের পূর্বে তাঁকে প্রতিস্থাপিত করবে এবং তাঁর বিরোধিতা করবেন ,  অপরদিকে 
দাজ্জাল কিয়ামতের পূর্বে আবির্ভূত নিজেকে ঈশ্বর দাবিকারী ভণ্ড মাসিহ , তাঁর পূর্ণ নাম আলমাসিহুদ দাজ্জাল আর ছদ্মনাম খ্রীষ্টারি , সুতরাং দাজ্জাল এক অশুভ সত্তা যে প্রকৃতি মসীহের ছদ্মবেশ ধারণ করবেন, 
প্রকৃতি মসীহ মাধ্যমে বোঝানো হয়ে থাকে ঈসা( আঃ) যিনি কেয়ামতের আগে আগত ইসলামের নবী ও মশীহ , অর্থাৎ ঈসা ইবনে মরিয়ম যিনি ইসলাম ধর্মে একজন গুরুত্বপূর্ণ নবী ও রসূল এবং আল্লাহর বা একেশ্বরের বার্তাবাহক ও প্রচারক হিসাবে স্বীকৃত ,  ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআনে ঈসা ও তাঁর মা মরিয়মের সম্পর্কে অনেক বর্ণনা দেওয়া আছে , আর ইসলামে ঈসাকে মসীহ উপাধি দেওয়া হয়েছে এবং এটির অর্থ অভিষিক্ত ,  কুরআনে ও হাদিসে সময়ের সমাপ্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন ঘটনাবলীর এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলেন ঈসা নবী , কুরআনে ঈসার মা মরিয়মকে উপজীব্য করে একটি সম্পূর্ণ অধ্যায় বা সুরা রয়েছে যার নাম সুরা মারইয়াম ,  ঈসা ইবনে মরিয়ম পূনরায় পৃথিবীতে আগমণ করবেন । সুতরাং দাজ্জাল 
ইসলামি পরিভাষা অনুসারে কিয়ামতের পূর্বে আবির্ভূত হওয়া এক মহা প্রতারকের নাম , আর কিয়ামত  এটি আরবি শব্দ কিয়াম থেকে আগত যার অর্থ উঠা, দাঁড়ানো ইত্যাদি ,  ইসলামী আকিদা অনুসারে ইসরাফিল (আঃ) শিঙ্গায় ফুৎকার দিলে কিয়ামত হবে ,  অর্থাৎ বিশ্বজগৎ ধ্বংস হবে। প্রথম ফুৎকার দেওয়ার সাথে সথেই আকাশ ফেটে যাবে, তারকাসমূহ খসে পড়বে, পাহাড়পর্বত ছিন্নবি‌চ্ছিন্ন হয়ে তুলার মত উড়তে থাকবে। আল্লাহ যাদেরকে দয়া করবেন তারা ছাড়া সকল মানুষ ও জীবজন্তু বেহুঁশ হয়ে যাবেন , আকাশ ও সমগ্র পৃ‌থিবী ধ্বংস হয়ে যাবে,সমস্ত পাহাড় পর্বত ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে ধূলিকণায় পরিণত হবে ,  শুধু মাত্র মুমিন মুত্তাকিরা মসজিদে অবস্থান করবেন‌ ,  ইসরাফিল (আঃ) শিঙ্গায় ফুৎকার দেওয়ার সাথে সাথেই পৃথিবী সৃষ্টি থেকে কিয়ামত পর্যন্ত যত সৃষ্টজীবের আর্বিভাব হয়েছিলেন তারা সকলেই জীবিত হয়ে উঠে দাঁড়াবেন , আর ইসরাফিল( আঃ) একজন ফেরেস্তা যিনি কিয়ামত বা মহাপ্রলয় ঘোষণা করবেন ,  যদিও তাঁর নাম কুরআন শরীফে নেই, কিন্তু হাদিসে উল্লেখ রয়েছে , আর ইসলামের চারজন উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন ফেরেশতার মধ্যে তিনি অন্যতম , আর ফেরেশতা ইসলামী বিশ্বাসমতে স্বর্গীয় দূত , বস্তুত ফেরেশতাদের সংখ্যা অগণিত ,  কোনো কোনো ইসলামী চিন্তাবিদ কাজের উপর ভিত্তি করে ফেরেশতাদের চৌদ্দটি শ্রেণীতে ভাগ করে থাকেন , যাঁদের মধ্যে চারজনকে উচ্চমর্যাদার ফেরেশতা বলা হয়ে থাকে বস্তুত , উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে হামালাতুল আরশ ও এঁরা হলেন আল্লাহর আরশের বাহক , জিব্রাইল ও এই ফেরেশতার নাম তিনবার ইসলাম ধর্মের ধর্মগ্রন্থ কুরআন শরীফে উল্লেখ করা আছে , মিকাইল এবং কুরআনে এই ফেরেশতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে ,  ইনি বৃষ্টি ও খাদ্য উৎপাদনের দায়িত্বপ্রাপ্ত , ইসরাফিল ও এই ফেরেস্তা কিয়ামত বা মহাপ্রলয় ঘোষণা করবেন , তাঁর নাম কুরআন শরীফে নেই কিন্তু হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে , আজরাইল ও তাঁকে কুরআনে মালাক আলমাউত নামে অভিহিত করা হয়েছে , ইনিই মৃত্যুর ফেরেশতা ও প্রাণ হরণ করেন , এছাড়াও বিশেষ দুজন ফেরেশতা কিরামুন ও কাতিবীন প্রতিজন মানুষের ভালোমন্দ কাজের হিসাব রাখেন , পাশাপাশি আরো অগনিত ফেরেশতা স্বর্গীয় দূতের কথা উল্লেখ করা আছে আর উল্লেখপূর্বক বলা যেতে পারে সাতটি বেহেশতের ফেরেশতাগণ , 
হাফাজা বা তত্ত্বাবধায়ক ফেরেশতাগণ , 
মুনকার ও নাকীর তথা কবরে প্রশ্নকারী ফেরেশতাদ্বয় , 
দারদায়িল , মালিক যিনি জাহান্নাম বা নরক তত্ত্বাবধানকারী ফেরেশতা , রেদওয়ান যিনি জান্নাত বা স্বর্গ তত্ত্বাবধানকারী ফেরেশতা , জাবানিয়া যিনি জাহান্নামে দায়িত্ব পালনকারী ফেরেশতাগণ , আর 
নিয়ম শৃঙ্খলা পালনকারী ফেরেশতাগণ তো আছেনই। 
সবশেষে বলা যায়  ইসলামী আকিদা অনুসারে ইসরাফিল (আঃ) শিঙ্গায় ফুৎকার দিলে কিয়ামত হবে, অর্থাৎ বিশ্বজগৎ ধ্বংস হবে , আর আকিদা যা ইসলামি ধর্মতত্ত্ব নামেও পরিচিত ও এটি একটি ইসলামি পরিভাষা যার অর্থ কিছু মূল ভিত্তির উপর বিশ্বাস স্থাপন ,  বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বুঝাতে মুসলিম সমাজে সাধারণত দুইটি শব্দ ব্যবহৃত হয়ে থাকে একটি ইমান ও 
অপরটি  আকিদা ,  তবে কুরআন ও সহিহ হাদিসে সর্বদাই ঈমান শব্দটিই ব্যবহার করা হয়েছে , কিন্তু আকিদা ব্যবহৃত হয়নি । হাদিস হলো ইসলামের নবীর বাণী ও শিক্ষার সংকলন , আর ইসলামে হাদিস যার আক্ষরিক অর্থ হলো কথা অথবা বক্তৃতা বা আসার, 
আর আছার  যার আক্ষরিক অর্থ ঐতিহ্য  ও ইসলামের নবি মুহাম্মাদ (সাঃ) উনার কথা, কাজ ও নীরব অনুমোদনকে বুঝানো হয়ে থাকে যা নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীদের শৃঙ্খলের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা আছে । 
পাশাপাশি ঈমান ইসলামের বিশ্বাসগত দিক , ঈমান শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস ও মতান্তরে স্বীকৃতি , এই শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা ,  এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত , সর্বোপরি ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক এক কথায় ও সুদীর্ঘ আলোচনা বিদ্যমান আছে , সবশেষে একটি কথা বলা যেতে পারে কলিযুগ অর্থাৎ কলিযুগ বলতে বোঝায়  কলির যুগ বা কলির অধিকৃত যুগ, অন্ধকারের যুগ , অপকর্ম ও দুঃখের যুগ  বা কলহ ও কপটতার যুগ আর এই যুগের কথা আজ থেকে হাজারো বছর আগে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ভাবে উল্লেখ করা আছে ,  আবার সিদ্ধার্থ গৌতম  যাঁকে সাধারণত বুদ্ধ  অর্থাৎ জাগ্রত ব্যক্তি  বলা হযে থাকে এবং তাঁর কথা একটি সময় পেরোনোর পর আমার আদর্শ আর গ্ৰহনযোগ্য হবে না , আমার সময়কাল বা শাসনকাল ৫০০০ বছর। ঠিক তেমনি ভাবে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) উনার ভবিষ্যদ্বাণীও ঠিক সেই ভাবে দেখতে পাওয়া যায় যেইভাবে তিনি বর্ণনা করেছেন আর তাও হাজারো বছর আগে , আর এইখানে অন্যান্য নবীজিদের উদাহরণ টানছিনা , কারণ হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইসলামি মতবাদ অনুযায়ী  আল্লাহর প্রেরিত একজন নবী যিনি আদম, ইব্রাহিম, মুসা, ঈসা এবং অন্যান্য নবীদের একত্ববাদী শিক্ষাকে প্রচার ও দৃঢ় করতে এসেছিলেন।
  কলি যুগ হলো চতুর্যুগের মধ্যে বর্তমান যুগ , এটিকে বলা হয়ে থাকে Kali Yuga , আর অন্য তিনযুগ হলো সত্যযুগ, ত্রেতাযুগ, ও দ্বাপরযুগ , অর্থাৎ Satya Yuga ও Treta Yuga এবং Dvapara Yuga । কলি যুগ
চতুর্যুগের মধ্যে বর্তমান যুগ অর্থাৎ এখন চলমান ,  আর এই যুগের প্রধানতম বৈশিষ্ট্যগুলো হলো ১) পৃথিবীতে ধর্ম সংকোচিত হয়ে অধর্মের আধিক্য ঘটবে ২) পুণ্য হবে এক ভাগ এবং পাপ হবে তিন ভাগ ৩)  মানুষ সল্প আয়ু নিয়ে জন্মাবে ও তাদের আয়ু হবে মাত্র একশত বছর ৪)  নিজের হাতে সাড়ে তিন হাত হবে শরীরের আয়তন (প্রায় ৫.৫ ফুট) সামান্য কম অথবা বেশিও হতে পারে তাই প্রায় উল্লেখ করেছি , অর্থাৎ প্রায় অর্থ  অধিকাংশ ক্ষেত্রে । আরো দুয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করি 
৪) মানুষ তপস্যাহীন , অর্থাৎ সত্য থেকে দূরে অবস্থান করবেন  ৫) রাজনীতি হবে কুটিল ,  আর শাসক হবেন ধনলোভী ,  ব্রাহ্মণ হবেন শাস্ত্রহীন ,  পুরুষ হবেন স্ত্রীর অনুগত ও পাপে অনুরক্ত , যৌন আসক্তি এই ধরনের রূপগুলো হবে দৃশ্যমান  ৬) সৎ মানুষের কষ্ট বৃদ্ধি পাবে , দুষ্টের প্রভাব বৃদ্ধি প্রবল থেকে প্রবলতর হবে । আরো তুলে ধরলে দেখা যায় মানুষের বুদ্ধি অতি অল্প, তাদের ইন্দ্রিয় প্রবৃত্তি অতিশয় কুৎসিত, তাদের অন্তঃকরণ অতিশয় অপবিত্র হবে , আর অল্প কালেই বিনাশ লাভ করবে ,  যখন পাষণ্ড লোকের প্রভাব অত্যন্ত বাড়বে, তখন সমাজের ভালো লোক কোন দায়িত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন না ,  সজ্জনের হানি লক্ষিত হবে। বর্ণ ও আশ্রমের আচারানুরূপ প্রবৃত্তি সকল বিলুপ্তি ঘটবে , ধর্মগ্রন্থের প্রতি মানুষের আর্কষণ থাকবে না , মাতাপিতাকে মানবেন না , 
পুত্র পিতৃহত্যা বা পিতা পুত্র হত্যা করতে কুণ্ঠিত হবেন না , ধনহীন পতিকে স্ত্রীরা ত্যাগ করবেন , আর ধনবান পুরুষরা সেই স্ত্রীগণের স্বামী হবে , কলিযুগে ধর্মের জন্য ব্যয় না করে কেবল গৃহাদি নির্মাণে অর্থ ব্যয় করবেন , 
মানুষ পরকালের চিন্তা না করে কেবল অর্থ উর্পাজনের চিন্তাতেই নিরন্তর নিমগ্ন থাকবেন , কলিযুগে নারীরা সাধারণত স্বেচ্ছাচারিণী ও বিলাস উপকরণে অতিশয় অনুরাগিণী হবেন এবং পুরুষরা অন্যায়ভাবে অর্থ উপার্জন করতে অভিলাষী হবেন , স্ত্রীরা দুহাতে মাথা চুলকাতে চুলকাতে অনায়াসে পতি আজ্ঞা অবহেলা করবেন , নিজের দেহ পোষণে ব্যস্ত থাকবেন এবং নিরন্তন কঠোর ও মিথ্যা বাক্য বলবেন। আচারহীন ব্রাহ্মণপুত্ররা ব্রহ্মচারীর বেশ ধারণ বেদ অধ্যয়ন করবেন ,  গৃহস্থরা হোমাদি করবেন না এবং উচিত দানসমূহও প্রদান করবেন না , মানুষ অশাস্ত্রীয় তপস্যা করবেন , কলিকালে ৮ থেকে ১০ বছরের বালকের সহবাসে ৫ থেকে ৭বছর বয়সের বালিকারা সন্তান প্রসব করবেন , মানুষ শ্বশুরের অনুগত হয়ে কার মাতা কার পিতা এইরকম কথা বলবেন । সুন্দরী স্ত্রী যার তার সাথে বন্ধুত্ব হবেন , নিজ ভাইয়ের সাথে শত্রুভাব পোষন করবেন। সুতরাং এক কথায় বলা যায়  ছলনা মিথ্যা আলস্য নিদ্রা হিংসা দুঃখ শোক ভয় দীনতা অহংকার নিন্দা ও এই ধরনের সমার্থক যা কিছু আছে প্রভৃতি হবে এইযুগের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য । আর পুরাণ অনুযায়ী কলি যুগে অবতার সংখ্যা দুই , বুদ্ধ যিনি বৌদ্ধধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ও কল্কি ভবিষ্যতে আগমন ঘটবে , আর 
মহাভারত , মনুস্মৃতি , বিষ্ণুস্মৃতি এবং বিভিন্ন পুরাণে কলিযুগের সম্পূর্ণ বর্ণনা দেখতে পাবেন এবং বৈশিষ্ট্যগুলো সেইখান থেকেই তুলে ধরলাম  ,  আর 
মনুস্মৃতি বা মনুসংহিতা প্রাচীন ভারতীয় স্মৃতিগ্রন্থ , 
বিষ্ণুস্মৃতি হলো হিন্দুধর্মের ধর্মশাস্ত্র ঐতিহ্যের সর্বশেষ গ্রন্থগুলোর মধ্যে একটি এবং একমাত্র গ্রন্থ যেটি ধর্ম জানার উপায়গুলোর সাথে সরাসরি কারবার করে না , 
পুরাণ হলো ভারতীয় শাস্ত্র ও হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের গুরুত্বপূর্ণ আখ্যানমূলক ধর্মগ্রন্থ সমুচ্চয় , সমুচ্চয় অর্থ  সমূহ, সমাহার, সংগ্রহ, সঙ্কলন , সুতরাং কলিযুগ বলতে বোঝায় অন্ধকারের যুগ ও অপকর্ম এবং দুঃখের যুগ আর কলহ ও কপটতার যুগ , পাশাপাশি স্মৃতি  বা সোজাসুজি ভাবে যা মনে রাখা হয় এবং ঐতিহ্যগতভাবে রচিত কিন্তু ক্রমাগত সংশোধিত এক প্রকার বৈদিক শাস্ত্র যা একটি নির্দিষ্ট লেখক দ্বারা রচিত হয়েছে বলে নির্দেশ করে এবং যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম মুখেমুখে প্রাচারিত এবং সংশোধিত হয়েছিলো , আর স্মৃতি সাহিত্য হলো বিভিন্ন বৈচিত্রময় গ্রন্থের এক বিশাল সংকলন , অর্থাৎ স্মৃতি বৈদিক শাস্ত্র , আর শ্রুতি  হিন্দুধর্মের পবিত্র ও অতিসম্মানিত রচনাবলী  যেগুলোতে মুনিঋষিদের শ্রুত দৈববাণী লিখিত আছে , আর স্মৃতি ও শ্রুতির সাথে লেখার ইতিহাস ও লিখন পদ্ধতি আবিষ্কারের সাথে সম্পর্কযুক্ত তো আছেই। আর 
খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতক থেকে ৩৫০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ভারতে ব্রাহ্মীলিপি প্রচলিত ছিল ,  এরপর অশোক লিপি বা মৌর্য লিপিতে এর বিবর্তন শুরু হয় , অতপর পরের ধাপে আসে কুষাণ লিপি ও এইগুলো কুষাণ রাজাদের আমলে প্রচলিত ছিল , তারপর ব্রাহ্মীলিপিটি উত্তরী ও দক্ষিণী এই দুইভাগে ভাগ হয়ে যায় ,  উত্তরী লিপিগুলোর মধ্যে গুপ্তলিপি প্রধান ও এটি চতুর্থ ও ৫ম শতাব্দীতে প্রচলিত ছিল ,  গুপ্তলিপি থেকে আবির্ভাব হয় কুটিল লিপির ও এটি ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শতক পর্যন্ত প্রচলিত ছিল ,  কুটিল লিপি থেকে উদ্ভব হয় নাগরী লিপির ,  প্রাচীন নাগরী লিপির পূর্ব শাখা থেকে ১০ম শতকের শেষভাগে এসে উৎপত্তি হয়েছে বাংলা লিপির। 
পাশাপাশি ভারতবর্ষের ব্রাহ্মীলিপির পেছনেও ফিনিশীয় লিপির প্রভাব আছে বলে মনে করা হয়ে থেকে ,  তবে প্রাচীন ভারতীয়রা সম্ভবত স্বাধীনভাবেই নিজেদের লিপি উদ্ভাবন করেছিলেন ,  ভারতবর্ষের হরপ্পা ও মহেনজোদারো সভ্যতার লিপিগুলোর পাঠোদ্ধার এখনও পর্যন্ত সম্ভব হয়নি ,  অর্থাৎ সিন্ধু লিপি যেটিকে ইংরেজিতে বলা হয়ে থাকে Indus Script  বা হরপ্পান লিপি যা সিন্ধু সভ্যতা দ্বারা উদ্ভাবিত কিছু চিহ্নের সংকলন ,  এই চিহ্ন সম্বলিত বেশিরভাগ শিলালিপি আকারে খুব ছোট হওয়ায় এটি সিন্ধু সভ্যতার সময়কার কোন লিখন পদ্ধতির জন্য ব্যবহৃত হয়েছিলো কি না তা বলা খুব কঠিন?  অতীতে অনেক প্রচেষ্টার পরেও  এই চিহ্নগুলোর অর্থোদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, এমনকি এখনও পর্যন্ত চেষ্টা চলমান , আর জ্ঞাত এমন কোন দ্বিভাষিক শিলালিপি নেই যা এর অর্থোদ্ধারে সাহায্য করতে পারে  এবং সময়ের সাথে এই লিপির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনও দেখা যায় না, তবে স্থানভেদে কিছু শব্দবিন্যাসের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। সুতরাং সিন্ধু লিপির অর্থোদ্ধার সম্ভবপর হয়নি এবং খুবই সম্ভবত তাম্রযুগ লিখনি অথবা প্রোটোলেখা । পাশাপাশি বাংলা লিপি ও বাংলা ভাষার বর্ণমালার ধারাবাহিকতা দেখে নিতে পারি ও অন্যান্য লিপি সম্পর্কেও ধারণা থাকবে প্রত্নসিনাই লিপি > ফিনিশীয় >
আরামাইক > ব্রাহ্মী > গুপ্ত লিপি > সিদ্ধং লিপি >
গৌড়ী লিপি > বাংলা লিপি । মূলত  প্রাচীন ভারতের লোকেরা অনেক লিপিতে লেখালেখি করতেন যার মূলত একই শিকড় রয়েছে , আর ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন লিপির সাথে আছে 
১) সিন্ধু লিপি ২) গুপ্ত লিপি ৩) সিদ্ধং লিপি ৪) তিব্বতি লিপি ৪) খারোষ্টি লিপি ৫) শারদা লিপি ৬) লান্ডা লিপি
৭) লান্ডা লিপির উপ লিপি ৮) অন্যান্য স্ক্রিপ্ট ।  পাশাপাশি আরো কথা থাকে গুপ্ত লিপি যেটিকে কখনও কখনও গুপ্ত ব্রাহ্মী লিপি বা শেষ ব্রাহ্মী লিপিও বলা হয়ে থাকে যা সংস্কৃত লেখার জন্য ব্যবহৃত হতো এবং এটি ভারতের গুপ্ত সাম্রাজ্যের সাথে সম্পর্কিত  যা ছিল বস্তুগত সমৃদ্ধি এবং মহান ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিক উন্নয়নের সময়কাল , গুপ্ত লিপি ব্রাহ্মী থেকে উদ্ভূত এবং নাগরী ও শারদা এবং সিদ্ধং লিপির জন্ম দেয় ,  এই লিপিগুলো ভারতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ লিপির জন্ম দেয় ও যার মধ্যে রয়েছে দেবনাগরী যা ১৯ শতক থেকে সংস্কৃত লেখার জন্য সবচেয়ে সাধারণ লিপি , তাছাড়া 
গুপ্ত লিপি  পাঞ্জাবির জন্য গুরুমুখী লিপি ও বাংলাঅসমীয়া লিপি এবং তিব্বতি লিপি । পাশাপাশি 
হিন্দুধর্মকে বিশ্বের প্রাচীনতম ধর্মবিশ্বাস বলা হয়ে থাকে, তবে গবেষকেরা মনে করেন যে হিন্দুধর্ম আসলে বিভিন্ন ভারতীয় সংস্কৃতি ও প্রথার একটি সাম্প্রতিক সংমিশ্রণ এবং এই সকল প্রথাগুলোর শিকড়ও বৈচিত্র্যপূর্ণ ,  তাছাড়া হিন্দুধর্মের কোনো একক প্রবর্তকও নেই এবং এই ধর্মের আধুনিক রূপটি খ্রিস্টীয় প্রথম সহস্রাব্দে উদ্ভূত হয় , পাশাপাশি সনাতন ধর্ম  হলো সংস্কৃত এবং অন্যান্য ভারতীয় ভাষায় ব্যবহৃত হিন্দুধর্মের বিকল্প নাম , শব্দটি শ্রেণী, বর্ণ বা সম্প্রদায় নির্বিশেষে হিন্দুদের বাধ্যতামূলক শাশ্বত বা পরম কর্তব্য বা ধর্মীয়ভাবে নির্ধারিত অনুশীলনকেও বোঝায়। আর 
মনুস্মৃতি ও ভাগবত পুরাণের মতো শাস্ত্রীয় সংস্কৃত সাহিত্যে সনাতন ধর্ম শব্দগুচ্ছটি দেখতে পাওয়া যায় , 
বাস্তবিক অর্থে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে হিন্দু জাতীয়তাবাদ আন্দোলনের সময় সনাতন শব্দটি হিন্দুধর্মের অপর নাম হিসাবে প্রকাশ হয়েছিল , আর এটির কারণ ছিল হিন্দু শব্দটি অ-দেশিয় ফার্সি শব্দ হওয়ায় এর ব্যবহার যেন না করা হয় , আর 
ফার্সি ভাষা ইন্দোইউরোপীয় ভাষা পরিবারের একটি ভাষা , ফার্সি ভাষা  মধ্য এশিয়ায় প্রচলিত ইন্দো
ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের ইরানীয় শাখার অন্তর্ভুক্ত একটি ভাষা , মূলত পারস্যের প্রাচীন জনগোষ্ঠীর ভাষা থেকে ফার্সি ভাষার উদ্ভব হয়েছে । বর্তমানে সনাতন ধর্ম শুধুমাত্র হিন্দুধর্মের সাথে যুক্ত ও বর্তমান সময়ে সনাতন শব্দটির ব্যবহার হ্রাস পেয়েছে এবং ঐতিহ্যগত বা সনাতনী দৃষ্টিভঙ্গির উপর জোর দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয় যা আর্য সমাজের মতো আন্দোলন দ্বারা আত্তীকৃত সামাজিক ও রাজনৈতিক হিন্দুধর্মের বিপরীতে‌‌ , আর 
আর্য সমাজ একটি হিন্দু সংগঠন , আর্য সমাজ হলো বৈদিক মত পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী কর্তৃক ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি হিন্দু সংগঠন ও সংস্কার আন্দোলন , দয়ানন্দ সরস্বতী ভারতীয় ধর্ম গুরু ও সমাজ সংস্কারক এবং আর্যসমাজের প্রতিষ্ঠাতা । 
মূলত হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলো শ্রুতি (শোনা) এবং স্মৃতি (স্মরণীয়)  প্রধানত দুটি ভাগে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়ে থাকে, পাশাপাশি বেদ, উপনিষদ্, পুরাণ, মহাভারত, রামায়ণ, শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা প্রভৃতি এর মাঝে অন্তর্ভুক্ত, আর যার মধ্যে বেদ হলো সর্বপ্রধান এবং সর্বপ্রাচীন ও সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ধর্মগ্রন্থ ,  আবার ছয়টি আস্তিক দর্শন রয়েছে যা বেদের স্বীকৃতি দেয় যথা: সাংখ্য, যোগ, ন্যায়, বৈশেষিক, মীমাংসা এবং ব্রহ্মসূত্র , যদিও পুরাণকাল বিদ্যাশাস্ত্র হাজার বছরের একটি বংশানুক্রমিক উপস্থাপন করে যা বৈদিক ঋষিদের থেকে শুরু করে পণ্ডিতরা হিন্দুধর্মকে বিভিন্ন ভারতীয় সংস্কৃতির সাথে ব্রহ্মতান্ত্রিক অর্থোফ্রাক্সির সংমিশ্রণ বা সংশ্লেষণ হিসাবে বিবেচনা করেন ও যার বিভিন্ন শিকড় রয়েছে এবং কোনও নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠাতা নেই , আর এই হিন্দু সংশ্লেষণ বৈদিক যুগের পরে উদ্ভূত হয় আনুমানিক ৫০০-২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ এবং আনুমানিক ৩০০ খ্রীস্টাব্দের মধ্যে  দ্বিতীয় নগরায়নের সময় এবং হিন্দুধর্মের প্রাথমিক ধ্রুপদী যুগে যখন মহাকাব্য এবং প্রথম পুরাণ রচনা করা হয়েছিল , মূলত এটি মধ্যযুগীয় যুগে উন্নতি লাভ করে  ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের পতনের সাথে সাথে। আর বর্তমানে হিন্দুধর্মের চারটি বৃহত্তম সম্প্রদায় হলো বৈষ্ণবধর্ম, শৈবধর্ম, শাক্তধর্ম এবং স্মার্তবাদ , আর এইকারনেই  শ্রুতি  এবং স্মৃতির কথা প্রথমেই তুলে ধরি। পাশাপাশি সময়কাল হিসেবে 
বৈদিক যুগ আনুমানিক  ১৫০০  থেকে আনুমানিক  ৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ । দ্বিতীয় নগরায়নের সময়কাল হলো
এটি ভারতের ইতিহাস ভারতবর্ষ এবং তার অতীতের ঘটনাগুলোর পর্যায়ক্রম  এবং

Comments

    Please login to post comment. Login