একশ বছর আগে ১৯২৫ সালের ১০ এপ্রিল চার্লস স্ক্রিবনার'স সন্স মার্কিন লেখক এফ. স্কট ফিটজেরাল্ডের লেখা ‘দ্য গ্রেট গ্যাটসবি' উপন্যাসটি প্রকাশ করে। এরপর থেকে উপন্যাসটি আমেরিকান কথাসাহিত্যের একটি কালজয়ী ক্লাসিক হয়ে উঠেছে। এই বই অনেক লেখককে অনুপ্রাণিত করেছে পাশাপাশি এটি অবলম্বনে অসংখ্য চলচ্চিত্র, টিভি সিরিজ নির্মিত হয়েছে।
দ্য গ্রেট গ্যাটসবি উপন্যাসে জে গ্যাটসবি নামে রহস্যময় ধনী এক ব্যক্তির কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। তার প্রতিবেশি নিক ক্যারাওয়ের বর্ণনায় গ্যাটসবি সম্পর্কে অনেক কিছুই পাঠক জানতে পারেন। সাবেক প্রেমিকা ডেইজির প্রতি তার আবেগ, তৎকালীন নিউইয়র্কের সমাজ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য এসব কিছুই নিক ক্যারাওয়ের ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ থেকে জানতে পারেন পাঠক।
এফ স্কট ফিটজেরাল্ডের জীবদ্দশায় দ্য গ্রেট গ্যাটসবি কখনোই জনপ্রিয় উপন্যাস ছিল না। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে। সেসময় মার্কিন সৈন্যদের কাছে বইটি পড়ার জন্য পাঠানো হতো। এরপর থেকে এখনো পর্যন্ত এটি জনপ্রিয় একটি উপন্যাস হিসেবে সমাদৃত হয়ে আসছে পাঠক সমাজে।
উপন্যাসটি নিয়ে একাধিক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। ১৯২৬, ১৯৪৯ এবং ১৯৭৪ সালেও দ্য গ্রেট গ্যাটসবি নিয়ে হলিউডে সিনেমা তৈরি হয়েছে। ৭৪ সালের সিনেমায় রবার্ট রেডফোর্ড জে গ্যাটসবি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সর্বশেষ ২০১৩ সালে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও এই চরিত্রে অভিনয় করেন।
এদিকে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় জাপানি লেখক হারুকি মুরাকামির প্রিয় ৫টি বইয়ের তালিকায় দ্য গ্রেট গ্যাটসবি উপন্যাসটি জায়গা পেয়েছে। এটি তার অত্যন্ত প্রিয় বই ছিল। এই বই নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাকে যদি একটি বই বেছে নিতে বাধ্য করা হয়, আমি নির্দ্বিধায় গ্যাটসবিকে বেছে নিবো। ফিটজেরাল্ডের উপন্যাস না হলে আজকে আমি যে ধরনের সাহিত্য করছি তা লিখতে পারতাম না।'
সূত্র: লিটহাব