Posts

চিন্তা

মঙ্গল শোভাযাত্রা: বেশি সত্য আমরা বাঙালি!

April 11, 2025

ফারদিন ফেরদৌস

278
View



বাংলা ভাষার মতো অসাম্প্রদায়িক ভাষা পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি আছে কিনা জানা নেই। কিন্তু এই ভাষা ব্যবহারকারী সবাই এখনও নিজেদেরকে একসূত্রে গ্রন্থিত করতে পারল না, এক অভিন্ন জাতিসত্তায় পরিণত হতে পারল না-এটা বড়ই দুঃখের, বড়ই দুর্ভাগ্যের। 

বাংলা বর্ণমালার ই ঈ উ ঊ ট ঠ 'র ওপরে বাঁকানো চিহ্নকে বলা হয় চৈতন বা টিকি। উড়ে বামুনদের মাথায় একগোছা চুল থাকে চিহ্নটি সেখান থেকেই আনা। আবার ঙ 'র ওপরের প্যাচটার নাম হলো পাগড়ি। ব্রাহ্মীলিপি থেকে বিবর্তিত হয়ে বাংলা বর্ণমালার উদ্ভব হয়েছে। এ বিবর্তন প্রক্রিয়া চলেছে তিন হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে। শেষ পর্যন্ত আমরা যে অক্ষরগুলো এখনও ব্যবহার করে চলেছি সেটির সবিশেষ সংস্কার করেছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। 

মুসলিম হলেই যেমন টিকি অস্বীকার করতে পারবে না। তেমনি হিন্দুর পক্ষেও শিখ বা মুসলিমদের পাগড়ি বাদ দেওয়া সম্ভব নয়। সুতরাং যারা বর্জনের ডাক দেন, তাদের আসলে আষাঢ়ে তর্জন গর্জনই সার। কিছুই বাদ দেয়া হবে না। যাবেও না। বাদ দিলে নিজেদের অস্তিত্ব বলে আর কিছুই থাকবে না। কেন থাকবে না সেটাই বলছি। মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। 

ইতিহাস অনুসারে বাংলা সনের প্রবর্তনের সময় ধরা হয় ১৫৫৬ সালকে। এটির প্রবক্তা মুঘল সম্রাট জালালউদ্দিন মোহাম্মদ আকবর। ওই সালেই তিনি দ্বিতীয় পানিপথের যুদ্ধে আদিল শাহ শূরের সেনাপতি হিমুকে পরাজিত করে দিল্লীর সিংহাসনে বসেছিলেন। দিনটি ছিল ৫ নভেম্বর। যদিও নতুন সাল চালু হয় আকবরের ক্ষমতারোহনের ২৯তম বর্ষে। 

বাদশাহ আকবর খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য নিজের সভাসদ জ্যোতির্বিদ আমির ফতুল্লাহ শিরাজীর সহযোগিতায় ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১০ বা ১১ মার্চ থেকে ‘তারিখ-এ-এলাহি’ নামে নতুন এক বছর গণনা পদ্ধতি চালু করেন। কৃষকদের কাছে এটি ‘ফসলি সন’ নামে পরিচিত হয়, যা পরে ‘বাংলা সন’ বা ‘বঙ্গাব্দ’ হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। 

এর আগে প্রচলিত রাজকীয় সন ছিল ‘হিজরি’। মাসগুলোর নাম ছিল পারসিয়ান ফারওয়ারদিন, উর্দিবাহিশ, খোরদাদ, তীর, মুরদাদ, শাহারিবার, মেহের, আবান, আজার, দে, বাহমান এবং ইসফান্দ। সেটি চন্দ্রসন হওয়ায় প্রতি বছর একই মাসে খাজনা আদায় সম্ভব হতো না। এ কারণে সম্রাট আকবর সৌরভিত্তিক সন প্রচলন করেন যা কৃষকদের ফসল উৎপাদনের সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। এবং এখনও তাই আছে। 

১৬০৮ সালে মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের নির্দেশে সুবেদার ইসলাম খা চিশতি ঢাকাকে রাজধানী হিসেবে গড়ে তুললে এখানকার রাজস্ব আদায় ও ব্যবসা বাণিজ্যের হিসাব-নিকাশ শুরু করার জন্য বাংলা বছরের পহেলা বৈশাখকে উৎসবের দিন হিসেবে পালন শুরু করেন। সম্রাট আকবরের অনুকরণে বৈশাখের প্রথম দিন সুবেদার ইসলাম চিশতি তাঁর বাসভবনরে সামনে সব প্রজার শুভ কামনা করে মিষ্টি বিতরণ এবং আনুষঙ্গিক উৎসব পালন শুরু করেন। যেখানে সমাজের সকল স্তরের মানুষ উপস্থিত থাকত। প্রজাদের খাজনা আদায় ও হিসাব-নিকাশের পাশাপাশি চলত গান-বাজনা, ষাঁড়-মোষের লড়াই, কাবাডি খেলা ও হালখাতা অনুষ্ঠান। 

সম্রাট আকবর তারিখ-এ-এলাহী প্রবর্তন করেই গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণে দিন ও মাসের নামগুলো ভারতবর্ষের আদলে পরিবর্তন করেন। ওই পরিবর্তনটাই আমরা এখনও বয়ে চলেছি। বাংলা বার ও মাসগুলো সংশয়হীনভাবে হিন্দুয়ানী শব্দজাত। খেয়াল করে দেখেন বাংলা অক্ষরে যেমন টিকি আছে। 

বাংলা বারো মাসের নামকরণ করা হয়েছে বিভিন্ন নক্ষত্রের নামে। ওই নক্ষত্রগুলোর নামকরণ আবার এসেছে হিন্দু পুরাণ থেকে। বঙ্গাব্দের বারো মাসের নামকরণ করা হযেছে নক্ষত্রমন্ডলে চন্দ্রের আবর্তনে বিশেষ তারার অবস্থানের উপর ভিত্তি করে। 

• বৈশাখ –বিশাখা নক্ষত্রের নাম অনুসারে 
• জ্যৈষ্ঠ –জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• আষাঢ় –উত্তর ও পূর্ব আষাঢ়া নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• শ্রাবণ –শ্রবণা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• ভাদ্র -উত্তর ও পূর্ব ভাদ্রপদ নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• আশ্বিন –অশ্বিনী নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• কার্তিক –কৃত্তিকা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• অগ্রহায়ণ(মার্গশীর্ষ) –মৃগশিরা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• পৌষ –পুষ্যা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• মাঘ – মঘা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• ফাল্গুন –উত্তর ও পূর্ব ফাল্গুনী নক্ষত্রের নাম অনুসারে
• চৈত্র –চিত্রা নক্ষত্রের নাম অনুসারে 

আপনারা যারা বর্জনপন্থি তারা হয়ত নক্ষত্রগুলো মেনে নিতে পারেন। কিন্তু বাংলা সাত দিনের দেব-দেবতারূপী গ্রহতারকা কেমনে হজম করে চলেছেন তা আপনারাই জানেন। বাংলা বারগুলোও যথারীতি নক্ষত্র ও গ্রহের নামে নামকরণ করা হয়েছে। মাসের মতো বারেও ওই নামগুলো এসেছে হিন্দু পুরাণ থেকে। 

• শনি: হিন্দু পুরাণ মোতাবেক শনি এক উগ্র দেবতা। তার কুদৃষ্টি খারাপ ফল বয়ে নিয়ে আসে। সে মূলত সূর্য ও তার স্ত্রী ছায়ার সন্তান। 

• রবি: রবি মানে সূর্য, সংস্কৃত ভাষায় বলা হয় আদিত্য। রবিবারকে সংস্কৃত ভাষায় বলে আদিত্যবার। সূর্যনারায়ণ বা সূর্যদেবতার নামের ভিত্তিতেই এই সূর্য বা রবির নামকরণ করা হয়েছে। সূর্যের মা হচ্ছেন অদিতি আর বাবা কশ্যপ।  

• সোম: সোম মানে চাঁদ। হিন্দু পুরাণ মতে, দেবতা শিবের সাথে এর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। 

• মঙ্গল: হিন্দু মিথ অনুসারে, মঙ্গল হলেন যুদ্ধের দেবতা। ইনি শিবের রক্তবিন্দু থেকে জন্ম নিয়েছেন। 

• বুধ: বুধ হলো এক ঐশ্বরিক সত্ত্বা। সে বৃহস্পতি ও তার স্ত্রী তারার সন্তান। অবশ্য কখনো কখনো বুধকে চাঁদের (সোম) এর সন্তান বলা হয়ে থাকে। 

• বৃহস্পতি: বৃহস্পতি হলো সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ। হিন্দু ধর্মমতে, একে ‘গুরু’ বলা হয়। ইনি যার পক্ষে থাকেন, তার ভাগ্য প্রসন্ন হয়। 

• শুক্র: শুক্র হল অসুর দেবতাকূলের প্রধান, হিন্দু মিথ অনুযায়ী তার পুরো নাম শুক্রাচার্য। 

এখন একবার ভাবেন তো অসুর প্রধান শুক্রাচার্যকে দিনক্ষণ মেনে সাপ্তাহিক জুম্মা প্রার্থনা কেমন করে ধারণ করেন। বুঝলাম এই কারণেই আপনারা শুক্রবারকে জুম্মাবার বলতে চান। কিন্তু এটা মুখে বললে তো হবে না। আপনাদের তো বাদশাহ আকবরের মতো জনতার ম্যান্ডেট লাগবে! এখনও বাংলাদেশে আপনারা যারা ধর্মভিত্তিক দলে থেকে ভোট করেন জামানতও ফেরত নিতে পারেন না। ঘুরেফিরে ভোট পায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। কিন্তু দুই দল মনে হয় না ৫-৬ শ' বছর ধরে চলে আসা ঐতিহাসিক শুক্রবারকে জুম্মাবার করে দেবে। 

তাহলে আপনাদের এই যে মুখে মুখে চলা বর্জন, সংযোজন -কার্যত এর ফায়দা কি? যত কিছুই বদলান নিজের ডিএনএ তে পূর্বপুরুষ হিন্দু-বৌদ্ধের রক্ত যে বয়ে চলেছেন -তা বদলাবেন কেমনে? 

আমার চেনা এক জ্ঞানীগুণী এথেইস্ট আছেন। যিনি ঈশ্বর, ভগবান, দেব-দেবীকে পাত্তা দেন না। তাঁকে একদিন জিজ্ঞেস করলাম আপনার জন্মদিন কী মাসে? তিনি বললেন জুনে। 

ওই মাসের বিশেষ দিন সেলিব্রেট করেন না!
করি তো! এবার ফ্রাই ডেতে পড়েছে।
জুন মাসটা কোথা থেকে এসেছে জানেন?
কোথা থেকে?
জুনকে বরাবরই বিয়ের মাস হিসেবে গণ্য করা হয়। তাই এর নামকরণও করা হয়েছে, বিয়ের দেবতাদের রাণী ‘জুনো’ এর নামানুসারে। এখন আপনি না চাইলেও গ্রিক মিথোলজির জুনো দেবতার অস্তিত্ব আপনাকে স্বীকার করতেই হবে। 

অপরদিকে ফ্রাই ডের কথা বললেন না?
গ্রিক ‘আফ্রোদিতি’ বা রোমান ‘ভেনাস’ হচ্ছেন সৌন্দর্য, প্রেম ও কামনার দেবী, তার নামেই শুক্রগ্রহের নাম। আবার এই গ্রহের নামেই দিনটির নাম ‘আফ্রোদিতির বার’ (গ্রিক) আর ‘ভেনাসের বার’ (রোমান)। অ্যাংলো-স্যাক্সনদের কাছে সৌন্দর্যের দেবী হলেন ফ্রিগ, সেখান থেকেই ইংরেজি ফ্রাই ডে নামের উৎপত্তি। 

ওইসব পুরাণ ফুরাণ আমি বিলিভ করি না! 

আপনার বিশ্বাস বা অবিশ্বাসে জুন মাস বাতিল হয়ে যাবে না। ফ্রাই ডেও পৃথিবী থেকে তামাদি হয়ে যাবে না। জুন মাসের জন্মদিনটা আপনার জীবনসংহিতা থেকে চিরতরে মুছে ফেলতে পারবেন না। সুতরাং এটা মানি না, ওটা মানি না'র মতো গোঁয়ার্তুমিরও কোথাও কোনোই গ্রহণযোগ্যতা নেই। 

শিবের রক্তবিন্দু থেকে আসা যুদ্ধের দেবতা মঙ্গলে আমাদের প্রতিক্রিয়াশীলদের বড় বিরক্তি। তারা জানে না মঙ্গলের জায়গায় যদি কল্যাণ কিংবা শান্তিও প্রতিস্থাপিত করা হয় সেসব শব্দবন্ধও হিন্দুয়ানীই থাকবে। কয়টারে বাদ দেবেন? বাদ দিতে দিতে শেষে গায়ের জামাটাও থাকবে না! 

দোয়েল আর রয়েল বেঙ্গল টাইগারে অত আপত্তি নেই তাদের। কুমিরে নিশ্চয়ই বড় আপত্তি আছে। সে গল্প শেষে করব। তবে পেঁচাতে একশ্রেণীর বাঙালির এত ভয় -এটা অবিশ্বাস্য। অথচ এরা যদি একবারও এটা জানত যে, পেঁচাকে মধ্যপ্রাচ্যে জাদুকরী পাখির মর্যাদায় অভিষিক্ত করা হয়। কেন? 

মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতিতে পেঁচা অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করে। এসব অঞ্চলের পেঁচাদের প্রধান শিকার ইঁদুর। আর এই ইঁদুর হচ্ছে ফসলের বড় শত্রু।  ইসরায়েল, জর্ডান ও প্যালেস্টাইন অঞ্চলে কৃষিজমির আশপাশ দিয়ে পেঁচার জন্য বাসা বানিয়ে রাখা হয়। এক জোড়া পেঁচা বছরে গড়ে ছয় হাজার ইঁদুর শিকার করে। এই পেঁচা কি কল্যাণকর নয়? 

আজকের দিনে বাদশাহ আকবর থাকলে আমাদের দেখে বেশ মজা করে হেসে নিতেন। হায়! আমি কেন তারিখ-এ-এলাহী প্রবর্তন করতে গেলাম। এদের জন্য উপযুক্ত ছিল তারিখ-এ-বর্জন! এরা এটা বাদ দিত, সেটা বাদ দিত, তারপর নিজেকেই বাদ দিয়ে হারায়ে খুঁজত। 

বাংলা বর্ষবরণ উৎসব হিসেবে মঙ্গল শোভাযাত্রায় কেন এত অ্যালার্জি। এই অনুষ্ঠান তো মানুষকে ধর্মবিমুখ করছে না, দুর্নীতিবাজ লুটেরাও বানাচ্ছে না। বাঙালিয়ানার নিজস্ব ঐতিহ্যের অনুসারে নিষ্কলুষ এই আনন্দ আয়োজন তো কারো ক্ষতিবৃদ্ধির কারণ হচ্ছে না। যে ডিভোটেড মানুষটি দিনে ৫ বার প্রার্থনালয়ে গিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে হাজিরা দেন তিনিও লাল পাঞ্জাবি পরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই শোভাযাত্রায় যোগ দেন। মূল সমস্যা আসলে কোথায়? 

১৪৩০ সাল সমাগত। এক যুগ আগে ১৪১৮ সালের নববর্ষে একাত্তরে স্বাধীনতা বিরোধিতা ও গণহত্যার অন্যতম গোষ্ঠি রা'জাকারের প্রতীক হিসেবে বের করা হয় দানব আকৃতির এক কদাকার কুমির। বোঝানো হয়, কুৎসিত কুমিরটার মতো রা'জাকাররা ছিলো মানুষখেকো। তারা হ'ত্যা করেছে অসংখ্য মানুষ। বিশ্রী সেই কুমিরটাকে তাই একজন বাঙালি বীর পুরুষ ও একজন বাঙালি বীরাঙ্গনা নারীর পায়ের নিচে দেখানো হয়। 

অমন দৃশ্য যাতে আর দেখতে না হয় 
তাই কি‌ মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে এত ভয় এবং কঠোর বিরোধিতা? 

আমরা বিরুদ্ধবাদীদেরও ভালোবাসতে চাই। তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমোঘ বাণী 'আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান, একবার মরে দুইবার মরে না।' ব্যক্তি জীবনে ধর্মীয় অনুশাসন কঠোরভাবে মেনে চলা জ্ঞান তাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলতেন, 'আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি। এটি কোন আদর্শের কথা নয় এটি একটি বাস্তব কথা। মা প্রকৃতি নিজের হাতে আমাদের চেহারায় ও ভাষায় বাঙালিত্বের এমন ছাপ মেরে দিয়েছেন যে মালা তিলক টিকিতে কিংবা টুপি-লুঙ্গি-দাড়িতে ঢাকার জো-টি নেই।' 

সেই বাঙালিয়ানা বাদ দিয়ে নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ভুক্ত হয়ে উগ্রবাদ ছড়ানো মারাত্মক অবিমৃষ্যকারিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। 

লেখক: সাংবাদিক
১ বৈশাখ ১৪৩০ | ১১ এপ্রিল ২০২৩ 

Comments

    Please login to post comment. Login