ভালোবাসা শব্দটি বড়ই অদ্ভুত । ভালোবাসা শব্দটি অর্থ কি? এর গভীরতা কতটুকু এসব বিষয় নিয়ে অনেক কবি,লেখক নিজের জীবনী ,উপনাস এর মাধ্যমে বলো দিয়ে গেসে।এর মধ্যে একটা কথা সত্য আর তা হল"ভালোবাসা কখন কার সাথে হয়,কোন সময় হয় তা কেউ জানেনা।কার প্রতি মনের ই অনুভতি কখন আসে বলা যাই না,হোক সেটা নিষিদ্ধ অনূভূতি"""।
সকাল 7 টা ।মির্জা বাড়ি।ই সময় সবাই ঘুমিয়ে থাকলে কি হবে বাড়ির বৌদের ঠিকি উঠতে হবে।এটা ই বাড়ির নিয়ম।আর এই নিয়ম টা যে করসে সে হল মির্জা বাড়ির প্রধান “কোহিনূর মির্জা” ।বয়স ষাট এর উপরে কি হবে তার কথা হবে শেষ কথা।বাড়ির সকলে তাকে ভয় পেলে কি হবে শুধু মাত্র একজন ব্যক্তি তাকে ভয় পাই না সে হলো মির্জা বাড়ির বড় ছেলে কোহিনূর মির্জার চোখের মনি “আগুন মির্জা”।
কোহিনূর মির্জার 3 সন্তান।আমজাদ মির্জা,রায়হান মির্জা,আর মেয়ে হলো মিরা মির্জা।আমজাদ মির্জা,আর রোকেয়া মির্জার 2 টি সন্তান।আগুন মির্জা,আহিল মির্জা।রায়হান মির্জা ,কোহেলী মির্জার হলো ২ টি সন্তান।রাদিফ মির্জা,আদিবা মির্জা।মিরা মির্জার হল 2 টি সন্তান ।চিনি মির্জা,মিনি মির্জা। এরা 2 জন যমজ।কলেজ কমপ্লিট ভার্সিটিতে উঠবে।
“Good Morning ” (cold voice) "আগুন মির্জা বল ব্রেকফাস্ট টেবিলে,
কোহিনূর মির্জা বলল, “ গুড মর্নিং দাদুভাই ”।কি বেপার দাদুভাই আজকে লেট হল আসতে?"'
“কালকে রাত্রে অফিসে কাজ কমপ্লিট করতে করতে দেরি হয়ে গেসিল। এজন্য ”"
আগুন মির্জা বলল, ,
আহিল তার ভাই আগুন মির্জা তার ভাইয়ের উদ্দেশ্য বলল,
"ভাই কাজ করতে করতে নাকি,ভাবীর সাথে কথা বলতে বলতে দেরি হইয়ে গেসিলো????
আগুন আহিলের দিকে ঠান্ডা,ধারালো দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললো ,
“ বড়দের মধ্যে ছোটদের কথা বলা একদম পছন্দ করি না।”
“সরি ব্রো।”আহিল আগুন কে বললো
কোহিনূর মির্জা বললেন" জেরিনের কি খবর ,আসবে কখন?""বিয়ের বেপারে কিছু বলসে? “”
“না ।জেরিন এখন পেরিস ই আসে।ওর শুট এর জন্য ।এখন ও অনেক বিজি।বিয়ে আরো পরে করবে।”" আগুন মির্জা জবাব দিল
একথা শুনে কোহিনূর মির্জা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।কারণ এটা দীর্ঘ 4 বছর যাবৎ হইয়ে আসতাসে।
আগুনের সাথে জেরিনের সম্পর্ক ভার্সিটি 3rdyear থেকে।প্রথম প্রথম সব ঠিক থাকলে কি হবে জেরিন যখন থেকে মডেলিং জগৎ ই গেসে।সেই সময় থেকে জেরিন আগুন এর সাথে নিজের সম্পর্ক টাকে অবহেলা করতাসে।বিয়ের কথা নিয়ে কথা হলে জেরিন নানান বাহানা দিয়ে দেই।কিন্তু এগুল আমরা বুজলে কি হবে, আগুন ত বুজে না।
কোহিনূর মির্জা একদৃষ্টেতে তাকায় নিজের নাতি আগুন এর দিকে, “দেখতে এক সুঠামদেহী যুবক,উচ্চতায় 6 ফট ,জিম করা বডি ,।ধবধবে ফর্সা,ঠোঁটের নিচে কালো তিল যেন আগুন এর সৌন্দর্য্যে লিগুম ফুটিয়ে তুলতাসে।এইযে এখন ব্লু শার্ট ,ব্ল্যাক প্যান্ট ,স্পাইক করা চুল,ব্ল্যাক রোলেক্স পরিহিত ঘড়ি যবক তা দেখে যেকোন নারী প্রেমে পড়তে বাদ্ধ”" । আগুন মির্জা খুবই বদমেজাজি,রাগী,এবং গম্ভীর প্রকৃতীর মানুষ।খুবই চালাক,বিচক্ষণ ছেলে ।সেই মানুষ নাকি এমন মেয়ে কে পছন্দ করছে,যেই মেয়ে শুধু নিজের ক্যরিয়ার এর বাহিরে আর কিছু ভাবে না।
“Bye Dadi jan”আগুন মির্জা বলল কোহিনূর মির্জা কে।
আগুন এর কথা শুনে কোহিনূর মির্জা ভাবনার জগৎ থেকে বের হয়ে আসেন। আর বলেন ,"হম্ম0 আল্লাহ হাফেজ।""
ব্রেকফাস্ট কমপ্লিট হবার পর আগুন,আহিল,আমজাদ মির্জা চলে যাই তাদের মির্জা গ্র্রপ অফ ইন্ডাস্ট্রিতে ।বর্তমানে মির্জা গ্রপ অফ ইন্ডাস্ট্রি দেশের টপ টেন কোম্পানি মধ্যে অন্যতম। বছরে কোটি কোটি টা কার উপর লাভ হয়। রাদিফ মির্জা বর্তমানে ভার্সিটি তে পরে।ও চলে গেছে ।আদিবা এই বছর কলেজে উঠছে।ও কলেজে চলে গেসে।আর মির্জা বাড়ির বউরা নিজেদের রুম ই অথবা নিজেদের কাজে বিজি হয়ে গেসে।
মেম আপনি কি আবার আগুন স্যার এর কে নিয়ে চিন্তিত?" রুনা বলল কোহিনোর মির্জা কে
রুনা হলো কোহিনোর মির্জার রাইট হ্যান্ড।কোহিনূর মির্জা বললেন,
“টেনশন করে কোন লাভ নেই ,জা হবার হবেই।একটা কথা যানত রুনা,আজকে তুমি যাকে অবহেলা হলো কেউ তাকে মাথার তাজ বানিয়ে রাখে।” জেরিন আজকে যাকে অবহেলা করতাসে একদিন তার জন্য কাঁদবে।এটাই যে পৃথিবীর নিয়ম।শুনূসতান কখন খালী থাকে না।
রুনা বলল,"ঠিক বলেছেন ম্যাম ।"
_____________________________
“এই মুখপোড়ি,মাগী,কাজ করতি না,কাজ এখনো শেষ হয় নাই কেনো?”" তোর মা মরসে তোকে কেনো রেখে গেসে?"" একটা থাপ্পড় মেরে সুরাইয়া বেগম কথাটি বললেন উনার সৎ মেয়ে কে?"""
“আম্মু কাজ করতাসি তো । কালকে রাত্রে একটু জর ছিলো, এজন্য আজকে উঠতে একটু দেরি হয়ে গেসে।করতাসি সব এখনই।”""
“”উমম,নাটক ।ডং দেখলে বাঁচি না।কর তাড়াতাড়ি কর না হলে পিঠের চামরা তুলে ফেলব। কথাটি বলে চলে গেলেন সুরাইয়া বেগম।"
এতক্ষন ধরে যে এতোগুল কথা শুনতাসিলো সে হলো ,"মোম "।
পাার্ট_১