গল্পের নাম: ছায়া নগরীর সুর
ভূমিকা:
পশ্চিম বাংলার প্রত্যন্ত এক গ্রামে রয়েছে একটি পুরাতন নগরী—নাম চরামণি। লোকমুখে শোনা যায়, এই নগরীতে সন্ধ্যার পর ছায়ারা জেগে ওঠে। যারা এই নগরীর গোপন রহস্য জানার চেষ্টা করে, তারা আর ফিরে আসে না। বহু বছর ধরে এই গ্রাম জনমানবশূন্য, শুধু মাঝেমধ্যে কিছু সাহসী আগন্তুক আসে… আর হারিয়ে যায় ইতিহাসের পাতায়।
শুরু করা যায়:-
কলকাতার এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর, ড. আদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, হঠাৎ একদিন ডাক পেলেন একটি অদ্ভুত খামে। খামটা ছিল হাতে লেখা, ভেতরে শুধু একটি বাক্য—
“তুমি জানো না, কিন্তু ওরা তোমার অপেক্ষায় আছে – চরামণি।”
আদিত্য বিষয়টা প্রথমে উপেক্ষা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পরপর তিন রাত তার দরজার বাইরে কেউ কড়া নাড়ে, অথচ বাইরে গেলে কেউ থাকে না। চতুর্থ রাতে তার ঘরের আয়না ফাটল ধরে, আয়নার ওপর খোদাই হয়ে যায়—“তোমার রক্তে সেই ইতিহাস বইছে”।
আদিত্য কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না, কী হচ্ছে। একদিন তার নানার পুরনো লেখা ডায়েরি পড়তে গিয়ে তিনি খুঁজে পেলেন চরামণির নাম। তার নানা ছিলেন একজন ব্রিটিশ আমলে নিযুক্ত জমিদার। ডায়েরিতে লেখা—
> “চরামণিতে একবার যাওয়া মানে সময়ের বাইরে প্রবেশ। সেখানে রাত হয়, কিন্তু সূর্য ওঠে না।”
গল্পে টানাপোড়েন শুরু হয়ে গেল আদিত্যর মনে—এই সব কি কাকতালীয়? নাকি সে জন্মসূত্রে জড়িয়ে আছে এক প্রাচীন অভিশাপের সঙ্গে?
---