আরাফাত ও হুমাইরার পরিচয় হয়েছিল একটি ইসলামি পাঠশালায়। তারা দুজনেই ইসলামি শিক্ষা নিচ্ছিল এবং দীন মেনে চলার চেষ্টা করছিল। একজন আরেকজনের প্রতি মুগ্ধ হলেও, কেউ কখনো সে অনুভূতি প্রকাশ করেনি। কারণ তারা জানত, হারাম সম্পর্ক আল্লাহর অসন্তুষ্টির কারণ।
একদিন আরাফাত তার উস্তাদকে প্রশ্ন করল,
– উস্তাদ, কাউকে ভালো লাগলে কী করব?
উস্তাদ মুচকি হেসে বললেন,
– যদি তা সত্যিকারের ভালোবাসা হয়, তাহলে তা গুনাহের পথে নয়, হালাল পথে যাওয়ার চিন্তা করো। আল্লাহর কাছে চাইো, আর ধৈর্য ধরো।
সেদিন থেকেই আরাফাত নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামাজে হুমাইরার জন্য দোয়া করতে লাগল। সে যেন তাকে হালালভাবে পায়—এই কামনা করত। অন্যদিকে হুমাইরাও আল্লাহর কাছে একজন দীনদার জীবনসঙ্গীর জন্য দোয়া করত, যার চোখে থাকবে পর্দা, মুখে থাকবে নামাজের গুরুত্ব, আর অন্তরে থাকবে তাকওয়া।
একদিন হুমাইরার পরিবারে বিয়ের প্রস্তাব আসতে লাগল। কিন্তু সে কাউকে পছন্দ করছিল না। অবশেষে সে তার মায়ের সঙ্গে আলাপে ইঙ্গিত দেয়—সে একজন ইসলামি ছাত্রকে পছন্দ করে, যে তাকে সম্মান করে এবং কখনো পাপের পথে ডাকেনি। মা অবাক হলেও সন্তুষ্ট হন মেয়ের চিন্তাভাবনায়।
অন্যদিকে আরাফাতও তার মায়ের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করে। মা প্রথমে চিন্তায় পড়লেও ছেলের ইখলাস দেখে রাজি হয়ে যান। দুই পরিবারে আলোচনা হয়, এবং কিছুদিন পরেই পবিত্রভাবে আক্দ সম্পন্ন হয়।
আজ তারা সুখী দম্পতি। একে অপরকে ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে, এবং ইসলামের আলোকে সংসার গড়ে তোলে।
শেষ কথাঃ
ভালোবাসা যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হয়, তাহলে তা কখনোই গুনাহর পথে যায় না। ধৈর্য ও দোয়াই হলো হালাল ভালোবাসার সেতু।