দোহারপুর গ্রামের ঠিক মাঝখানে একটা পুরোনো ডাকঘর আছে। একসময় খুব ব্যস্ত থাকলেও, এখন সেখানে ধুলো জমে আছে, মাকড়সার জাল ঝুলছে কোণায় কোণায়। একজন মাত্র কর্মচারী, বৃদ্ধ গোবিন্দ মাষ্টার, মাঝে মাঝে যান কিছু কাগজ ঘাঁটাঘাঁটি করতে।
একদিন সন্ধেবেলায় হঠাৎ করে গোবিন্দ মাষ্টার একটা কাঠের আলমারি খোলার সময় দেখতে পান, একেবারে নিচের তাকে একটা সাদা খাম রাখা। ধুলো-ময়লা মোছার পর দেখা গেল খামের উপর বড় বড় হরফে লেখা:
“ডাকঘর — না খোলা পর্যন্ত জীবনের শান্তি মিলবে না”
খামের পেছনে কোন প্রেরকের নাম নেই। ভিতরে কি আছে, সেটা না দেখেই গোবিন্দ মাষ্টারের বুক কেঁপে ওঠে। এমন বার্তা আগে কখনও পাননি তিনি।
তিনি খামটা নিয়ে বাড়ি ফিরলেন, কিন্তু খোলার সাহস হলো না। সেদিন রাতেই তাঁর স্বপ্নে দেখা দিল এক ছায়ামূর্তি—চোখ নেই, মুখ নেই, কিন্তু গলা ছিল গভীর ও গম্ভীর।
“তুমি খাম খুললে, ঘড়ির কাঁটা উল্টো চলবে…”
গোবিন্দ মাষ্টারের ঘাম দিয়ে গায়ে জল, হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখেন—ঘড়ির কাঁটা সত্যিই উল্টো দিকে ঘুরছে!
চলবে…