মোম ছিল বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে।মোম ছিলো অনেক আদরের।মোম দেখতে দুধে আলতা গায়ের রঙ,হরিণী টানা টানা চোখ,কোমর অব্দি লম্বা ঘন চুল ।যে কোন ছেলে মোম কে একবার দেখলেই তার প্রেমে পড়তে বাদ্ধ ।মোম যখন 5 বসরের তখন মোম এর মা মারা যাই এক্সিডেন্টে করে।তারপরে মোম এর বাবা অশোক রহমান দ্বিতীয় বিয়ে করেন সুরায়া বেগম কে।এর পর থেকে মোম এর জীবনে নেমে আসে অন্ধকার ।সৎ মায়ের অত্যাচার এ মোম এর জীবন জর্জিত ।সারাদিন সৎ মায়ের কথা মত কাজ করলেও প্রতিদিন মার,থাপ্পড় আর খাবার না দেওয়া আসেই ।কিছু থেকে কিছু হলেই চড়, থাপ্পড়,লাথি ত আসেই ।সৎ মা আরেকটা কারণে মোম কে পছন্দ করে না তা হল মোম দেখতে নজরকারা সুন্দরী। মোম এর মদ্দে আরেকটা জিনিস সুন্দর হল মোম এর চোখ।মোম এর চোখ হলো নীলাভ।মানে হলো মোম নীল মনির অধিকারী ।চোখ ত নয়, মনে হবে নেশার স্তব।মোম এরকম সৌন্দর্যের ওদিকারী ওর দাদির কাছে থেকে হইয়ে সে।ওর দাদি ছিলো এরকম দেখতে।মোম এর একটা সৎ বোন আসে যার নাম লিসা।লিসা হলো সুরায়া বেগম এর আগের পক্ষের সন্তান।লিসা হলো মোম এর থেকে এক বছর এর বড়।লিসা দেখতে হলো শ্যামাঙ্গিনী ।এজন্য মূলত সুরাইয়া বেগম আরো মোম কে দেখতে পারে না।
লিসাও হইসে মার মতন,শুধু মোম কে কষ্ট দেই।হিংসা করে,মারে,অপমান করে ।
________________________
সকাল কাজ করতে করতে মোম নিজের জীবন এর সৃতিচারন করতেসিলো।মোম প্রতিদিন সকালে উঠে 5 তা বাজে নামাজ আদায় করে,এটো থালাবসন দুয়ে,ঘর পরিষ্কার
করে,সকাল সবার জন্য রান্না বান্না করে।এসব কাজ করার মধ্যে কেউ মোম কে হেল্প করে না।
“আপু আসব?” মোম জিগেস করলো লিসা কে-
“এতক্ষন লাগে ?” তোর, আমার জন্য মর্নিং টি আনতে? লিসা বলল
“সরি আপু ” মোম বলল।
মোম এ কথা বলে চায়ের কাপ রেখে চলে গেল।জানে এখানে থাকলে আরো বোকা শুনতে হবে অকারণে।
মোম এবার কলেজে উঠসে। শত বাধা,অপমান,মার খেয়েও মোম পড়া লেখা বন্দ করে নাই।মোম মনে করে একমাত্র পড়ালেখাই জিনিস জা তাকে ই নরক থেকে উদ্ধার করতে পারবে।এজন্য অনেক কষ্ট করে হলেও মোম পড়া লেখা করে গেসে।
আজকে কলেজে হয়তোবা কোনো ক্লাস নেই,কলেজে প্রথম দিন দেখে।তারপর ও যাওয়া লাগবে মোম এর প্রাণ প্রণ বান্দবীর জন্য।হম এই পুরোজিবনে মোম এর জন্য কেউ ভালোবাসে থাকে তাহলে সে আর কেউ না সে হলো জুলি।মোম এর জান।
মোম সকল কাজ শেষ করে রেডি হয়ে নিলো কলেজে যাওয়ার জন্য ।মোম কোনোদিন ও বোরকা ছাড়া বের হয় না।কারণ ওর ই রূপ।ওর ই রূপ এর জন্য যদি কোনোদিন কিছু হয়ে যাই তাহলে কে ওকে বাঁচাবে।এজন্য ও যতসম্বব নিজেকে আড়াল করে রাখে। মোম রেডি হইয়ে কলেজে যাওয়ার সময় নাস্তা হিসেবে বাসী একটা রুটি আর এক গ্লাস পানি খেয়ে গেলো। এটুকু যে ওর ভাগ্য ছিলো।অন্য দিন ত তাও থাকে না।
মোম বাসা থেকে বের হয়ে জুলির জন্য অপেক্ষা করতাসে।জুলি এসে ওকে নিয়ে যাবে।
“ভাওঁওঁওঁওঁওওও!!!”"
আওয়াজ শুনে মোম প্রথমে ভয় পেলেও পরে বুজলো এটা কে??? এজন্য কোনো রিঅ্যাকশন দিলো না।
“কিরে তুই ভয় পাস নাই?” জুলি বলল
“না।প্রথমে ভয় পেলো ও পরে বুজলাম এটা তুই।এজন্য আর ভয় পাই নাই।এখন চল ,কলেজে দেরি হইতাসে।” মোম জবাব দিল।
“কিরে তুই কি সকালে খাওয়া দাওয়া করস? ?তোর জল্লাদ মা দিসে তোর খাবার?” জুলি জিজ্ঞাস করলো
মোম বলল,
“হে খেয়েছি।আর জল্লাদ কি রে এভাবে বলিছ না।উনি আমার মা হয়,যেমনি হোক।”
জুলি বিরক্তকর চাহিনী দিয়ে বলল,
“চুপ কর তো।তোর নাটক,ঐ জল্লাদ নিয়ে আর কিছু বললে তোর খবর আসে।আচছা বাদ দে,চল রাস্তায় কিছু খেয়ে নিব।আ আ জানি তুই খেয়ে আছস তারপর ও।”
মোম আর কিছু বলল না।মোম যানে এই মেয়েটা ওর না বলা কথা বুজে যাই ।এইযে সকাল ই কিছু খাইনাই,কিভাবে সুন্দর করে বুজে গেলো।যদি জুলি জীবনে না থাকত ,তাহলে হয়তোবা ও বেঁচে থেকেও মৃত্ থাকত।
এরকম অনেক গল্প করতে করতে ওরা কলেজে এসে পরে।কিন্তু কলেজে আসার পর সব মেয়েরা এভাবে চিল্লাচিল্লি করতাসে যেনো অনেক বড় মাপের তারকা আসছে।সব মেয়েরা বলাবলি করতাসে,
“He is so handsome,uff iam dying.I just cannot believe I just saw him,”"
অন্য আরেকজন বলতাসে,
“He is so hot.he has a muscular body.”
মোম বুজতাসে না।এজন্য জুলি কে জিগ্যেস করলো,
"এই মেয়েরা এরকম করতাসে কেনো?কে আসছে,,
জুলি বিস্ময়কোর চাহিনী দিয়ে বলতাসে,"তুই জানোস না,মেয়েরা এভাবে কার জন্য পাগল,কার জন্য চিল্লাচিল্লি করতাসে?""
মোম দুপাস দিয়ে মাথা নারে,"মানে না।
জুলি বলতাসে,
“আরে the great eligible bachelor agun mirja,most handsome man,cold attitude and every girl heartthrob আসছে।”
"ও বুজসি।মোম শান্ত জবাব দিলো।
জুলি আর কিছু বলল না,কারণ সে জানে তার ফ্রেন্ড কেমন।
জুলি ফট করে একটা কথা বলে,
“ এই মোম দেখ,তোর আর তার নাম মিলে,”আগুন ও মোম ".বলেই হাসা শুরু করল।
মোম মনে নামটা আড়ালো," আগুন"
_________%__________
আগুন আজকে কলেজে আসছিলো প্রিন্সিপাল এর সাথে দেখা করতে একটু কাজে।কলেজে এসে মেয়েদের এসব চিলাচিল্লি দেখে ওর জাস্ট বিরক্তিকর লাগসে।এজন্য তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে যাইতে পারলেই হলো।আগুন এর সাথে আগুন এর বডিগার্ড,সেক্রেটারি রা থাকে অলওয়েজ ।এখনো আসছে। আগুন নিজের কাজ শেষ করে কলেজের পিছনের গেট দিয়ে যাচ্চে।কারণ সামনে তো মেয়েরা রীতিমত পাগল করে দিবে।হটাৎ করে আগুন এর ওয়াশরুম যাবে।এজন্য গার্ড দের কে বলে ওয়াসরুমে এ যাওয়ার সময় লেডিস ওয়াশরুম পাশা পাশি হওয়াই মোম মুখ গরম লাগার কারণে মোম যখন মুখ দুয়ে বের হবে তখন হটাৎ করে ধাক্কা লেগে গেল।
“আউছ”
হটাৎ ধাক্কা লাগার কারনে আগুন সামনের জনকে কোমর পেচিয়ে ধরল,বিরক্তিতে কপাল কুচকে গেলো,কিছু বলার আগেই সামনের রমনিকে দেখে থমকে গেলো,
"ডাগর ডাগর আঁখি,দুধে আলতা মুখের রঙ,ঘন দীর্ঘ পাঁপড়ি।এক মূহ্তের জন্য থমকে গেলো,
অপরদিকে কোনো শব্দ না পেয়ে মোম যখন নিজের চোখ খুললো,
" সামনে দেখলো এক সুদর্শন পুরষ তাকে।এবং তার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আসে।
মোম যখন চোখ খুলল, ওর নীলাভ মনি দেখে এক মূহর্তের জন্য আগুন থমকায়,চোখ ত নয়, মনে হচ্চে ,"কোন সমদ্রের নীলাভ পানি জল জল করতাসে,এক ধরনের গভীরতা,যা পরিমাপ করা খুবই কঠিন। এক ধরনের নেশা আছে ওই দুই চোখ এর মদ্দে।""
“এই যে শুনসেন?”" মোম বলল
মোম এর কোথায় ঘোর কাটল,আগুন এর।
হ" আগুন বলল,
"আমাকে নিচে নামান,।মোম বললো আগুন কে
“ সরি,।আপনি ব্যথা পেয়েসেন?”আগুন বলল
“না আমি ব্যথা পাই নাই।সরি তাড়াতাড়ির মদ্দে আপনার সাথে ধাক্কা খেলাম”"মোম বলল।
“ কোনো সমস্যা নেই। আগুন বলল,কিন্তু আপনার নাম তা কি?”
"মোম ।আমার নাম।