একটা গ্রামে এক বাচ্চা ছেলে ছিল, নাম তার রিদয়। সে ছিল খুব সাধারণ, কারো চোখে পড়ত না। স্কুলে কেউ তাকে বন্ধু বানাতে চাইতো না, শিক্ষকরাও খুব একটা খেয়াল রাখতেন না।
কিন্তু রিদয়ের ছিল এক অদ্ভুত ক্ষমতা—সে যা শেখে, তা ভুলে না। সে নীরবে সব শুনে যেত, সব শিখে যেত, আর সবার অজান্তে নিজেকে তৈরি করছিল।
একদিন স্কুলে বিজ্ঞান মেলা হলো। সবাই তাদের প্রজেক্ট এনেছে—কেউ বানিয়েছে রকেট, কেউ করেছে রোবট।
কিন্তু যখন রিদয়ের পালা এল, সে একটা ছোট যন্ত্র বের করলো—যেটা বাতাস থেকে পানির মতো তরল তৈরি করতে পারে! সবাই তো অবাক!
এক শিক্ষক জিজ্ঞেস করলেন,
— “তুমি এটা কোথা থেকে শিখলে?”
রিদয় বলল,
— “স্যার, আমি সবসময় সবার কথা শুনি। আপনি একদিন বলেছিলেন, ‘যার মন শেখার জন্য খোলা, সে সব পারে।’ আমি সেটাই মনে রেখেছি।”
সবাই চুপ। যে ছেলেকে কেউ চেনে না, তাকেই আজ সবাই চায় চিনতে। সবাই দাঁড়িয়ে করতালি দিল।যারা চুপচাপ থাকে, তারাই মাঝে মাঝে সবচেয়ে বড় বিস্ময় হয়। কাউকে ছোট ভেবে অবহেলা করো না—কারণ জ্ঞানের আলো সব জায়গা থেকে ফুটে উঠতে পারে।
সেই দিনের পর, কেউ রিদয়কে আর উপেক্ষা করেনি।