সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারজয়ী পেরুর উপন্যাসিক মারিও ভার্গাস ইয়োসা রোববার (১৩ এপ্রিল) রাজধানী লিমায় নিজ বাড়িতে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তার সন্তান আলভারো, গঞ্জালো এবং মরগানা ভার্গাস ইয়োসা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভার্গাস ইয়োসা পরিবার-পরিজন পরিবেষ্টিত অবস্থায় লিমায় শান্তিপূর্ণভাবে মারা গেছেন। তার চলে যাওয়া তার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং বিশ্বজুড়ে তার পাঠকদের দুঃখ দেবে, কিন্তু আমরা আশা করি যে তারা আমাদের মতো সান্ত্বনা পাবেন, কারণ তিনি দীর্ঘ, দুঃসাহসিক এবং ফলপ্রসূ জীবন উপভোগ করেছেন এবং তিনি এমন সব কাজ রেখে গেছেন যা তাকে বাঁচিয়ে রাখবে।'
ইয়োসা, এল বুম নামে পরিচিত লাতিন আমেরিকার সাহিত্য আন্দোলনের শেষ জীবিত সদস্য ছিলেন। এই সাহিত্য আন্দোলনের কারণে ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ এর দশকে গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ, কার্লোস ফুয়েন্তেস, জুলিও কর্তাজার এবং আরও অনেক তরুণ লাতিন আমেরিকান উপন্যাসিক ইউরোপ ও সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে পরিচিতি পেয়েছিলেন।
তার প্রথম বই ‘লা সিউদাদ ওয়াই লস পেরস’ ( দ্য টাইম অব দ্য হিরো) ১৯৬৩ সালে প্রকাশিত হয়। ২০১০ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল প্রাইজ জিতেছেন।
উল্লেখ্য, মারিও ভার্গাস ইয়োসা ১৯৩৬ সালে পেরুর আরেকুইপায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মাত্র ১৫ বছর বয়সে একজন ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৫৮ সালে তিনি ফ্রান্স যান। এরপর ১৬ বছর ধরে তিনি মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, লন্ডন এবং প্যারিসে বসবাস করেছেন। সে সময় তিনি সাংবাদিক এবং শিক্ষক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি লেখালেখিও করেছেন। তার কথাসাহিত্যে জন্মভূমি পেরুর কথাই তুলে ধরেছেন তিনি।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান