পর্ব ১: কন্যার খোঁজে কেলেঙ্কারি
রাহাত একেবারে নাদুসনুদুস ধাঁচের মানুষ। উচ্চতা একটু কম, কিন্তু আত্মবিশ্বাস আকাশচুম্বী। গ্রামের মানুষেরা বলে, “রাহাতরে দেখলেই মনে হয় বিয়ে করার টাইম হইছে!” কিন্তু সমস্যা একটাই—কোনো মেয়েই রাজি হয় না! কেন? কারণ রাহাত একটু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী, আর কথায় কথায় বলে, “আমি যদি চাই, আজকেই বিয়ে করতে পারি!”
বন্ধুরা মজা করে বলে, “তাহলে চা কর, কাল বিয়ে!”
একদিন হুট করেই সে বলে ফেলল, “এই ঈদের আগেই আমি বিয়ে করবো। পাত্রী খুঁজে রেখেছি।”
গ্রামে হইচই পড়ে গেল। সবাই ভাবল, রাহাত বুঝি এবার সত্যিই বিয়ে করছে। অথচ পাত্রী কে, কেউ জানে না।
রাহাত শুধু জানে, তার একটা ফেসবুক ফ্রেন্ড আছে—মাহি। ছবিতে দেখতে সুন্দর, গল্পে রসিক, আর পছন্দও একেবারে রাহাতের মতো—রান্না, সিনেমা আর রাজা-উজিরের খেলা।
রাহাত ভাবল, “এই মেয়েকেই বিয়ে করতে হবে।”
তবে সমস্যা হলো, মাহিকে কখনো সামনে দেখেনি। তারা শুধু চ্যাট করে। আর মাহি তাকে কখনো ভিডিও কলও দেয়নি।
রাহাত সন্দেহ করলেও নিজের মনকে বোঝায়, “আসলে সে লাজুক। মেয়েরা তো এমনই হয়!”
একদিন সাহস করে প্রস্তাব দিয়ে বসল, “তুমি কি আমাকে বিয়ে করতে চাও?”
মাহি লিখল, “তুমি যদি আমার বাবা-মায়ের সামনে এসে বলো, তাহলে দেখা যাবে।”
রাহাত আর দেরি করলো না। ব্যাগ গোছালো, বন্ধুকে ফোন করে বলল, “চল রে, বিয়ে করতে যাচ্ছি।”
বন্ধু জাহিদ বলল, “কই? পাত্রী তো এখনো দেখিস না!”
“চুপ কর! এইটা হচ্ছে প্রেমের অভিযান।” দ্বিতীয় পর্ব চলে আসবে খুব তাড়াতাড়ি। দ্বিতীয় পর্ব দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ রইল