তেমন কিছু নয়
ধারণা করা হয়, সে আসলে একটা মন্ত্র পেয়েছিল।
আর মন্ত্রের বল কে না জানে!
অবশ্য, আসলেই কেউ জানে কি না
তা আমাদের জানা নেই।
কারণ, যারা মন্ত্র পায়, তারা শুধু মন্ত্রই পায়
মন্ত্রের বলে তারা পায় না তেমন কিছুই!
কারণ, মন্ত্র পেয়েও আমরা তাদের ভাগ্য বদলাতে দেখি না।
ফলে সত্য এটাই যে, মন্ত্রের কী বল বা
আদৌ মন্ত্রের কোনো বল আছে কি না
তা হয়তো কেউ জানে না!
কিন্তু, তারপরও,
সমগ্র জীবনে না হলেও একটা মন্ত্র অন্তত সবাই পেতে চায়।
সকলেই হয়তো চায় না! কেউ কেউ চায়।
কারণ, বাকি কেউ-কেউ আসলে
এমন বুজরুকি বিশ্বাস করে না—যে, মন্ত্র দিয়েই—
কেউ পেয়ে যাবে প্রেমিকার মন,
কারো বিনাশ হবে শত্রু,
কেউ ফিরে পাবে ভগ্ন স্বাস্থ্য,
কারো ফিরবে কপাল!
অনেকেই জানে মন্ত্রে এমনটা হয় না।
তাছাড়া বিজ্ঞানও বিশ্বাস করে না এসব।
আর বিজ্ঞান যেহেতু বিশ্বাস করে না, তাহলে
এটাই সত্য যে, মন্ত্র দিয়ে কিছুই হয় না।
তাহলে মন্ত্র পেয়ে লাভটা কী?
কেউ-কেউ বলে, কিছু লাভ নাকি হয়
যদি থাকে মন্ত্র ধারণ করার মতো বল।
মন্ত্র ধারণ করার মতো বল অবশ্য তার ছিল না।
তবু সত্য এটাই যে, মন্ত্রের গুণে তার কিছু না হোক—
কিন্তু, কবিতার ন্যায় মন্ত্র পেয়ে,
কবির মতো করে মানুষের সমাগমে সেই মন্ত্র
উচ্চারণ করতে-করতে
সে এত বড় কবি হয়েছে যে, লোকে তাকে কবিরাজ বলে!