আধুনিক সমাজে নতুন এক মরণব্যাধি বিস্তার লাভ করছে। "আত্মহত্যা" কোনো অংশেই মরণব্যাধির চেয়ে কম নয়। সম্প্রতি তরুণ-তরুণী ও গৃহবধূদের মাঝে এই প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়-স্কুল-কলেজ পড়ুয়া তরুণ-তরুণী তো আছেই, সেই সাথে বিশাল সংখ্যক বেকার তরুণও এই পথে পা বাড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর বাহিরে যৌতুকের ভারে অত্যাচারিত গৃহবধূর সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়।
আত্মহত্যার প্রধান অন্যতম কারণ হতাশা বা আশাহীনতা ও মানসিক চাপ সহ্য করতে না পারা। অধুনা বিশ্বের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিযোগিতা ও যান্ত্রিক জীবন মানুষকে প্রতিনিয়ত মানসিক চাপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই মানসিক চাপ সহ্য করতে ব্যর্থ হচ্ছে হাজারো মানুষ। বেকারত্বের চাপ নিতে পারছে না অনেক তরুণ।
এছাড়াও যৌতুকের কারণে শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে দেয়া মানসিক চাপ বা স্বামীর অত্যাচার নিতে না পেরে বহু সংখ্যক গৃহবধূ এই পথে পা বাড়াচ্ছে। কিছু সংখ্যক পুরুষও সংসারের নানান চাপ নিতে না পেরে এই পথে পা বাড়াচ্ছে এমন নজিরও দেখা যাচ্ছে আজকাল। বুলিং এর শিকার হয়ে আত্মহত্যার দিকে পা বাড়াচ্ছে এমন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়।
সমাজের এই মরণব্যাধিকে শক্তহাতে প্রতিরোধ করতে সমাজের সকল স্তরের সকল মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সকলের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। মিডিয়ার মাধ্যমে এই ব্যাপারে গণহারে প্রচারণা চালাতে হবে। আত্মহত্যা নিঃসন্দেহে কোনো সমাধান নয়। এটা সবাইকে বুঝাতে হবে।