পাহাড়ে ঘেরা নিঃশব্দ এক গ্রাম—শিনসেই গ্রাম। বাইরের পৃথিবীর চোখে এটি একটি সাধারণ গ্রাম, কিন্তু ভিতরে লুকিয়ে আছে এমন একটি শক্তির রহস্য যা যুগ যুগ ধরে রক্ষা করছে এক প্রাচীন রক্তের শপথ। এই গ্রামের শিশুরাও খেলতে খেলতে চর্চা করে 'চক্রবিদ্যা'—একধরনের শক্তি যা শরীর ও আত্মার সমন্বয়ে তৈরি হয়।
সেই গ্রামেই জন্ম নিয়েছিলো একটি ছেলেবাচ্চা—ইরো তেনজিন।
সে ছিলো নিঃসঙ্গ। মা-বাবার পরিচয় কেউ জানত না। গ্রামের প্রবীণগণ শুধু বলত, “ওর রক্তে রয়েছে আগুন। ওর দৃষ্টিতে লুকিয়ে আছে ছায়া।”
শিশু ইরো বড় হচ্ছিলো অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে। গ্রামের বাকি শিশুরা যখন সাধারণ চক্র বিদ্যা শিখছিলো, ইরো তখন একা একা অনুশীলন করতো ঝর্ণার ধারে, পাহাড়ের গুহায়। মাঝে মাঝে তার শরীর জ্বলে উঠতো নীল আগুনে, চোখদুটি লাল হয়ে যেতো, আর তার চারপাশের পাথরগুলো কেঁপে উঠত!
---
এক রাতে...
ঝড় উঠেছে শিনসেই গ্রামে। বজ্রের শব্দে কেঁপে কেঁপে উঠছে আকাশ। গ্রামের সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছে এক আগন্তুক, পরনে কালো লম্বা চাদর, মুখে মুখোশ।
সে ফিসফিস করে বলল—
“এই গ্রামে ঘুমিয়ে আছে শেষ রক্তচক্র বাহক। সময় এসেছে তাকে জাগানোর।”
সেই মুহূর্তে ইরো ঘুম ভেঙে উঠে বসলো। বুকের মাঝে এক অজানা কষ্ট, যেন কেউ তাকে ডাকছে। তার চারপাশে হঠাৎ নেমে এলো নিঃসীম অন্ধকার। বাতাস ভারী হয়ে এলো।
সে শুনতে পেলো এক কণ্ঠস্বর—
“তুমি তৈরি তো, ইরো? সময় এসেছে রক্তের মূল্য চুকানোর।”
---
চলবে…