ইরো চোখ মেলে তাকালো—কিন্তু তার ঘরের জানালার ওপাশে ছিল না চেনা শিনসেই গ্রাম, বরং চারপাশ জুড়ে ছায়া আর আগুনে জ্বলতে থাকা অদ্ভুত এক দুনিয়া। সে নিজেকে আবিষ্কার করল এক বিশাল গাছের নিচে দাঁড়িয়ে, যেখানে বাতাস ভারী, নিঃশব্দ, আর অদ্ভুত একটা ঘ্রাণ ভাসছে।
তাকে ঘিরে দাড়িয়ে আছে কালো পোশাক পরা ছয়জন মুখোশধারী মানুষ। তাদের শরীর থেকে ঝরে পড়ছে অন্ধকার চক্রশক্তি।
একজন এগিয়ে এসে বলল,
“তোমার রক্তের শিখা আমাদের দরকার, ইরো তেনজিন। তুমি ‘রক্তচক্র’—শেষ বাহক।”
ইরো হতবাক।
“তোমরা কারা? আমি তো শুধু... আমি তো সাধারণ একজন…”
কথাটা শেষ হতেই তার বুকের মাঝখানে আগুনের মতো একটা তাপ ছড়িয়ে পড়লো। সে ব্যথায় চিৎকার করে উঠল—
আর তখনই তার শরীর থেকে বেরিয়ে এলো এক নীলাভ আগুন, পাক খেয়ে গিয়ে সেই ছয় মুখোশধারীর চারপাশে ঘুরতে লাগল।
তাদের একজন চিৎকার করে উঠল,
“এটা শুরু হয়ে গেছে! আগুন জেগে উঠেছে!”
হঠাৎ সব অন্ধকার গিলে ফেলল ইরোকে। সে আবার চেতনা হারাল।
---
পরদিন সকাল। শিনসেই গ্রাম।
ইরো জেগে উঠে দেখে সে তার ঘরেই রয়েছে, কিন্তু বুকের ঠিক মাঝখানে পুড়ে যাওয়া দাগ—আগুনের মতো একটি চিহ্ন বসে গেছে! আয়নায় তাকিয়ে সে দেখতে পেল তার চোখে লাল ঝিলিক, আর মনে পড়ে গেল সেই কণ্ঠস্বর—
“রক্তের মূল্য চুকাতে হবে।”
হঠাৎ দরজায় কড়া নাড়ে এক যুবক। নাম কাইজি সুরা—ইরোর বয়সী, কিন্তু চোখে এক অদ্ভুত তীক্ষ্ণতা।
কাইজি বলল,
“তুমি একা নও, ইরো। আমিও একজন চক্রবাহক। আমাদের সময় খুব কম। তারা আসছে তোমার জন্য।”
ইরো অবাক হয়ে বলল,
“তারা... কারা?”
কাইজি মাথা নিচু করে বলল,
“ছায়া পরিষদ। যারা রক্তচক্র ধ্বংস করতে চায়। আর তুমি তাদের সবচেয়ে বড় ভয়।”
---
চলবে…