ইরো আর কাইজি পাহাড়ি পথ ধরে এগিয়ে চলেছে। পিছনে রয়ে গেল শিনসেই গ্রাম—যেখানে ইরোর শৈশব, নিঃসঙ্গতা, আর অলক্ষ্যে জমে ওঠা আগুন। এখন সামনে শুধুই অনিশ্চয়তা। চারদিকটা যেন নীরব, কিন্তু বাতাসে একটা চাপা অস্থিরতা।
কাইজি বলল,
“তোমার শরীরে যে আগুনের চিহ্ন ফুটে উঠেছে, সেটা ‘চিহ্নিত’—এর অর্থ, তুমি এখনো পুরোপুরি জেগে ওঠোনি। কিন্তু ওরা ঠিকই জানে তুমি কে। এখন থেকে প্রতিটি মুহূর্তে শিকারি ছায়ার চোখ থাকবে তোমার উপর।”
ইরো ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করল,
“তারা আমাকে কেন চায়?”
কাইজি এক মুহূর্ত চুপ থেকে বলল,
“কারণ তোমার শরীরে প্রবাহিত হচ্ছে প্রাচীন ‘ইগেন রক্তচক্র’। এমন রক্তধারা যা একদা গোটা পাঁচটি গ্রামকে আগুনের ঝড়ে মুছে দিয়েছিলো। আর তারা চায় সেই শক্তি... অথবা তোমার মৃত্যু।”
---
সন্ধ্যায়, বনে এক পরিত্যক্ত মন্দিরে।
কাইজি আগুন জ্বালাচ্ছে। ইরো ধীরে ধীরে নিজের চিহ্নিত পেটের ওপর হাত রাখে। হঠাৎ চোখে পড়ে, এক শ্যাওলা ধরা প্রাচীন লেখায় খোদাই করা লাইন:
> “যে আগুন নিজেকে পুড়ায়, সে-ই আলো দেয় শত প্রজন্মকে।”
ঠিক তখনই ঝোপের ভেতর একটা শব্দ।
কাইজি তৎক্ষণাৎ ছুরি বের করে দাঁড়ালো। অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এলো এক মেয়ের অবয়ব—চোখে কালো কাপড় বাঁধা, হাতে দুটি তলোয়ার, গায়ে ছায়ার চিহ্ন।
কাইজি চেঁচিয়ে উঠল,
“ও পাথাল! ছায়া পরিষদের অনুসন্ধানী!”
মেয়েটি শান্ত স্বরে বলল,
“তোমরা আমাকে খারাপ ভাবছো, অথচ আমি এসেছি তোমাকে বাঁচাতে। কারণ, ছায়ার মধ্যেই লুকিয়ে আছে সত্য। ইরো, তুমি যা জানো, তা কেবল শুরু।”
ইরো বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে।
কাইজি তলোয়ার তুলে বলে,
“তুমি আমাদের পথ চেনো?”
মেয়েটি বলল,
“তোমাদের নিতে হবে উত্তর পাহাড়ে, হারানো গ্রন্থাগারে। যেখানে লেখা আছে ইরোর আসল পরিচয়... আর কাকে সে হারিয়েছে জন্মের আগেই।”
---
চলবে…