রক্তপ্রহরীর পরাজয়ের পরে, ‘হারানো গ্রন্থাগার’-এর গোপন অংশে নোরা খুঁজে পেল এক চিত্রনাট্য—এক পুরনো মানচিত্র যেখানে আঁকা ছিল নিষিদ্ধ উপত্যকা।
সেখানে লেখা—
“ছায়া পরিষদের মূল কৌশলগার। সেখানে আছে রেনজির শেষ স্মৃতি। যেই তা খুলবে, সে জানবে আগুন আসলে কী জ্বালিয়ে দিয়েছে।”
দুদিন পর। রাত। নিষিদ্ধ উপত্যকার প্রান্ত।
তিনজন দাঁড়িয়ে আছে উপত্যকার পাড়ে। নিচে নেমে গেলে ফেরার পথ নেই। বাতাসে ছায়ার গন্ধ। হঠাৎ ঝোপের ফাঁক থেকে বেরিয়ে এলো একজন মানুষ—চোখে ঢাকনি, পরনে ছিন্নভিন্ন ছায়াচাদর।
সে কাইজিকে দেখে হেসে উঠল।
“এতদিন পরেও আমাকে চিনতে পারলে না, কাইজি?”
কাইজি চোখ বড় বড় করে তাকায়।
“সেনজু…? তুমি তো... ছায়াযুদ্ধে মারা গিয়েছিলে!”
সেই লোক, সেনজু, ধীরে ধীরে মুখোশ খুলল—চোখে ছায়ার কালো রিং, ঠোঁটে ঠান্ডা হাসি।
সেনজু:
“আমি মরি না, কাইজি। আমি নতুন জন্ম পেয়েছি ‘ছায়া পরিষদ’-এর অন্ধকারে। আর আমি এসেছি তাকে নিতে—ইরোকে।”
ইরো এগিয়ে এসে দাঁড়ায় কাইজির পাশে।
ইরো:
“তুমি বিশ্বাসঘাতক, সেনজু?”
সেনজু:
“না, ইরো। আমি মুক্তিযোদ্ধা। কারণ তোমার ভাই, রেনজি, অন্ধকার নয়—সে সত্য। তোমাকে সত্য জানাতে দিত না এরা কেউই।”
হঠাৎ আক্রমণ!
সেনজু ছায়াচক্র ব্যবহার করে এক ঝাঁকে বর্শা ছুড়ে দেয়। কাইজি তা প্রতিহত করলেও, নোরা মারাত্মকভাবে আহত হয়।
ইরোর রাগ উথলে উঠে, আগুন ছড়িয়ে পড়ে উপত্যকার চারপাশে। সে চিৎকার করে উঠল—
“রক্তচক্র: অগ্নিপথ চতুর্থ স্তর—রক্তপাখা!”
তার পিঠে গজিয়ে ওঠে জ্বলন্ত পাখার মতো কিছু। এক আঘাতে সেনজুকে আছড়ে ফেলে।
কিন্তু সেনজু শেষ হাসি হেসে বলে,
“হাসতে পারো এখন… কিন্তু রেনজি অপেক্ষা করছে, ‘অন্তিম চক্রমন্দিরে’। যেখানে রক্ত দিয়ে রক্তকে জাগানো হয়...”
সেই বলে সে ছায়ার ভেতর মিলিয়ে গেল।
শেষ দৃশ্য।
নোরা রক্তাক্ত, কাঁপা কণ্ঠে বলল,
“রেনজি... তোমার ভাই নয় শুধু, ইরো। সে এক প্রাচীন রক্তচক্রের গর্ভজাত সন্তান। ওকে থামাতে হলে তোমাকে নিজেকে ভাঙতে হবে।”
ইরো পাথরের মতো কঠিন মুখে বলল,
“আমি যাব। তাকে খুঁজে পাব। এবং আগুন কি সত্যিই ধ্বংস করে, না তা আলো দেয়—তা আমি নিজেই নির্ধারণ করব।”
চলবে…