অরণ্যের গভীরে ঢুকে পড়েছে ইরো আর কাইজি। একসময় পথ ফুরায়, সামনে আসে কালো পাথরের তৈরি একটি বিশাল মন্দির—অন্তিম চক্রমন্দির।
প্রবেশপথে খোদাই করা—
“এখানে আলো প্রবেশ করে না, কারণ এখানেই জন্ম নিয়েছিল ছায়া।”
ইরোর বুকের চিহ্ন জ্বলজ্বল করতে থাকে। কাইজি বলে,
“রেনজি এখানেই নিজেকে চক্রের গভীরে বিলীন করেছিল। এখন সে শুধু দেহ নয়, এক শক্তির উৎস।”
মন্দিরের ভেতর।
চারপাশে চক্রলিপি ঘুরছে বাতাসে, অদৃশ্য কণ্ঠস্বর ফিসফিস করে উঠে—
“তুমি পাপ থেকে জন্মেছো, ইরো।”
“তোমার আগুনই একদিন গ্রাস করবে তাকে, যাকে তুমি বাঁচাতে চাও।”
ইরো হঠাৎ পড়ে যায়। মনে পড়ে যায় ছোটবেলায় এক ঝলক—এক শিশুর কণ্ঠ:
“ভাইয়া, ওরা আসছে… আমাকে লুকিয়ে রাখো…”
সে কেঁপে ওঠে।
রেনজি… সেই ভাই… সত্যিই ছিলো।
হঠাৎ করেই ছায়া ঘনিয়ে আসে।
এক বিশাল ছায়াযোদ্ধা ভেসে ওঠে—চোখে রক্তচক্রের ছাপ। হাতে একটি বিশাল ছায়া-কুড়াল।
তার নাম: ঘোরসেন—অন্তিম চক্রমন্দিরের রক্ষক।
ঘোরসেন গর্জে ওঠে,
“রক্তচক্র বাহক! তুমি যদি সত্যিই উত্তরাধিকারী হও, তবে নিজের ভয়কে হারাও। যুদ্ধ করো নিজেকেই!”
সে এক ঝটকায় কাইজিকে ছুঁড়ে ফেলে দেয় দেয়ালে।
ইরোর চোখ রক্তবর্ণ। শরীরের চক্র শক্তি উথলে উঠে। কিন্তু তার ভেতরে ভয়—সে কী পারবে নিজের ভ্রাতৃস্মৃতি অতিক্রম করতে?
ভেতরে ইরোর চেতনার জগতে...
সে দেখতে পায় একটি ছায়াময় ঘর। সেখানে বসে আছে এক বালক—চোখে কান্না, মুখে আগুনের ছাপ।
ইরো ফিসফিস করে:
“রেনজি...?”
বালক বলল,
“তুই আমায় রক্ষা করতে পারিসনি। এখন আমায় থামাতে হবে? তাহলে আস… আমাকে মার… যদি পারিস।”
বাস্তবে ফিরে আসা।
ইরো চিৎকার করে উঠে—
“রক্তচক্র: পঞ্চম স্তর—ছায়াশিখা মিলন!”
আগুন আর ছায়া একসাথে পাক খায়, তার চারপাশে ঘূর্ণি তৈরি হয়। ঘোরসেনকে ছুঁয়ে যায় সেই শক্তি, আর সে ধ্বংস হয়ে যায়, তার মুখে একটি কথা ফেলে রেখে—
“তোমার ভাই... তোমারই প্রতিচ্ছবি। তুমি নিজেকেই শেষ করবে একদিন।”
শেষ দৃশ্য।
ইরো হাঁপাচ্ছে। কাইজি রক্তাক্ত শরীর নিয়ে ধীরে দাঁড়ায়।
দূরে, মন্দিরের প্রাচীরের গায়ে ছায়া জমে ওঠে, আর তার ভেতর একজোড়া চোখ খুলে যায়—
রেনজি তেনজিন।
সে ফিসফিস করে—
“আমার ছোট ভাই এসে গেছে। এবার দেখি কে আগুন, কে ছায়া…”
চলবে…