Posts

গল্প

“রক্তচক্র” পর্ব:-০৭ লেখক:-বিদ্যুৎ

April 20, 2025

Op Biddut

83
View

মন্দির কাঁপছে। বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে যেন অনন্তকাল ধরে জমে থাকা ছায়া জেগে উঠেছে।
ইরো আর কাইজি হাঁটছে এক দীর্ঘ করিডোর ধরে—যার শেষে, এক বিশাল কক্ষে দাঁড়িয়ে আছে রেনজি তেনজিন।

সে একদম চুপচাপ দাঁড়িয়ে, কালো পোশাকে, চোখে ছায়ার রিং, বুকের মাঝখানে ঠিক সেই চিহ্ন, যেটা ইরোরও আছে—কিন্তু তার চারপাশে আগুন নেই, আছে নিঃশেষ শীতলতা।


---

রেনজি বলে,
“ইরো… এত বড় হয়েছিস। কিন্তু এখনও জানিস না, আসল শত্রু কে।”

ইরো গর্জে ওঠে,
“তুই! তুই আমার ভাই হয়েও ছায়ার শাসক হোস কিভাবে?”

রেনজি শান্ত স্বরে বলে,
“তুই জানিস না, কে আমাকে ঠেলে দিয়েছিল ছায়ার দিকে। আমি আগুন ছিলাম না, ইরো। আমাকে বানানো হয়েছিল অস্ত্র। আর সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল… কাইজি।”


---

ঘর নীরব।

ইরো অবাক হয়ে কাইজির দিকে তাকায়। কাইজি পেছনে এক পা সরে যায়।

রেনজি বলে,
“ছয় বছর আগে, যখন ছায়া পরিষদ প্রথম ইগেন রক্তচক্র জাগাতে চেয়েছিল, তখন ওরা দুই ভাইকে খুঁজছিল। কাইজি তখনকার সময়ে আমাদের প্রশিক্ষক ছিল। ও ঠিক করেছিল, আমাকে ওদের হাতে তুলে দেবে… যাতে তোকে বাঁচাতে পারে।”

ইরো ফিসফিস করে:
“এটা সত্যি… কাইজি?”

কাইজি কাঁপা গলায় বলল,
“আমি… আমি তখন জানতাম না ওরা রেনজিকে কী করবে। আমি শুধু তোকে রক্ষা করতে চেয়েছিলাম, ইরো…”


---

এক তীব্র ঝড় বয়ে যায় ঘরের ভেতর।
রেনজির চোখ জ্বলে উঠে।
সে বলে,

> “তুই যদি আসল সত্য জানতিস, তাহলে বুঝতিস… আমাদের জন্মই হয়েছিল যুদ্ধের জন্য। এখন, রক্ত দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে—কে বাঁচবে, কে মরবে।”

সে এক ঝলকে ছায়াচক্র ছুড়ে দেয়।
ইরো তা প্রতিহত করে, চিৎকার করে উঠে—

> “রক্তচক্র ষষ্ঠ স্তর: জ্বলন্ত বন্ধন ভঙ্গ!”

আগুন আর ছায়া একসাথে ধাক্কা খায়।
চারপাশে ধ্বংস। কক্ষ কাঁপে। কাইজি দূরে ছিটকে পড়ে।


---

লড়াই শুরু।
দুই ভাই।
একজন আগুনে—একজন ছায়ায়।
একই চক্র, দুই ভাগ্য।

তাদের আঘাত একে অপরকে ছিন্নভিন্ন করে না, বরং টেনে আনে আরও গভীরে—ভেতরের দুঃখ, বিশ্বাসভঙ্গ, এবং স্মৃতির যন্ত্রণায়।

একসময়, ইরো নিঃশেষ। হাঁটু গেঁড়ে বসে পড়ে।
রেনজি এগিয়ে এসে বলে,
“তুই এখনও জানিস না, কার নির্দেশে এই সবকিছু শুরু হয়েছিল…”

“…ও ছিল আমাদের পিতা।”


---

শেষ দৃশ্য।

মন্দিরের ছাদ ফেটে যায়।
এক রহস্যময় ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে থাকে প্রান্তে—চোখে রক্তরঙা আলো, মুখে অজানা এক ছাপ।

তার কণ্ঠ গম্ভীর:
“রেনজি, ইরো—তোমাদের জন্ম এক মহাযুদ্ধের জন্য। এবার আমি নিজে নেমে আসছি।”


---

চলবে…

Comments

    Please login to post comment. Login