আগের পর্বগুলো পড়েছেন কিনা না পড়লে পড়ে নিন নইলে বুঝতে পারবেন না
আমরা তখন আইঁশঘাটাই থাকতাম না, বনগাঁর প্রায় কাছাকাছি একটা গ্রামে থাকতাম গ্রামটির নাম গ্রাম টেংরা । আমি কাজের কারনে কলকাতা থেকে দূরে গ্রামে গ্রামে কাজ করে বেড়াচ্ছিলাম। বাড়ি আসতে আসতে আমার চার পাঁচ মাস লেগে গেছিল, বাড়ি আসার সময় আমি তো খুব খুশি ছিলাম কিন্তু, ট্রেন থেকে বনগাঁয় নামার সাথে সাথে আমার মনে হচ্ছিল এখানে কিছু হয়েছে !।
আমি যত বাড়ির দিকে যাচ্ছি ততই বুঝতে পারছি এখানে কোনো অপশক্তি আবির্ভাব হয়েছে। আমি যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি বাড়ির দিকে যেতে লাগলাম, যেতে যেতে শুনতে পারছিলাম আশপাশের বাড়ি দিক থেকে কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে। আমাদের বাড়িতেও কিছু হয়নি তো? মনে মনে ভাবছিলাম। আমি এমনিতেই বাড়ি বেঁধে রেখেছিলাম কিছু হওয়ার তো কথা না । আমি যতটা সম্ভব জোরে সাইকেল চালিয়ে বাড়িতে আসলাম, এসে দেখি আমাদের বাড়ি তো ঠিক আছে কিন্তু, আশেপাশের এলাকার অবস্থা খুবই খারাপ।
এসে মার কাছে শুনলাম মা তুমি বাবা ও বাড়ির সবাই কেমন আছে? আর শুনলাম, গ্রামে কী হয়েছে ?
মা বললো আশেপাশে আরও দশ-পাঁচটা গ্রামের গলাকাটার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রত্যেকটা দিন গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়, তাদের মাথা পাওয়া যায় না। মাথা গুলোও সঙ্গে করে নিয়ে যায়। আসার সময় তো শুনতে পেয়েছিস আশপাশের দশ গ্রামের প্রায় সব বাড়িতে কান্নার আওয়াজ। সন্ধ্যা হয়ে এসেছে ঘরে চল ঘরে যে জল উঠানো আছে সেই জলে স্নান কর, আজ পুকুরে স্নান করা লাগবে না। বাইরে যেতে হবে না।
মা আমাকে জোর করে ঘরে নিয়ে গেল, সেদিনই রাতে শুনতে পেলাম কে যেন শুধু শুধু দাদা দাদা বলে চিৎকার করছে।
আমি মাকে বললাম মা এটা কে দাদা দাদা বলে চিৎকার করছে? মা কিছু বলল না।
সুধু বলল সকালবেলা বলবো, এখন ঘুমিয়ে পড়।
আর আমি মায়ের কথা শুনে ঘুমোতে চলে গেলাম আমি তো বুঝতে পারছিলাম। দাদা দাদা বলে কিসে চিৎকার করছে, এখানে ভয়ানক কিছু এসেছে মনে হচ্ছে ।
চলবে