Posts

প্রবন্ধ

সার্ক ডেভেলপমেন্ট ফান্ড: দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নের নতুন সম্ভাবনা

April 23, 2025

ড: মো: তৌহিদুল আলম খান

101
View


সার্ক ডেভেলপমেন্ট ফান্ড: দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নের নতুন সম্ভাবনা

ড. মো: তৌহিদুল আলম খান

হিমালয়ের বরফাবৃত শৃঙ্গ থেকে ভারত মহাসাগরের নীল জলরাশি পর্যন্ত বিস্তৃত একটি অঞ্চলের কথা কল্পনাকরুন, যেখানে প্রাচীন এক ঐতিহ্য আধুনিক আশা-আকাঙ্ক্ষা সোনালি স্বপ্নের সঙ্গে মিশে গেছে। এটি হচ্ছেদক্ষিণ এশিয়া। একটি অপ্রতিদ্বন্দ্বী বৈচিত্র্য এবং অফুরন্ত সম্ভাবনায় ভরা সার্কভুক্ত দেশ। তবে এর প্রাণবন্তবহিঃপ্রকাশের নিচে লুকিয়ে আছে এক কঠোর বাস্তবতালাখ লাখ মানুষের দারিদ্র্য, বৈষম্য জলবায়ুপরিবর্তনের ভয়াবহ প্রভাবের সঙ্গে এক চলমান সংগ্রামের চিত্র।


 

sdf-logo.png


 


 

২০১০ সালে সার্ক ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (এসডিএফ) বা সার্ক উন্নয়ন তহবিল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সার্ক অঞ্চলেরআশার আলো হিসেবে, যার সদর দপ্তর হচ্ছে ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে। এটি একটি আর্থিক তহবিলসংক্রান্তব্যবস্থাপনার কার্যালয়, যা আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং জরুরি সমস্যাগুলো মোকাবেলার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কলাণ দারিদ্র্য বিমোচনের প্রতিশ্রুতিস্বরপ অনন্য কিছু অর্থনৈতিক উন্নতি সাধনেরজন্যই এসডিএফ দক্ষিণ এশিয়ার সম্ভাবনা উন্মোচনের ধারক বাহক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তবে এঅঞ্চলকে সত্যিকারভাবে উন্নয়নের ধারায় রূপান্তরিত করতে হলে সফলভাবে আর্থিক ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমপরিচালনা করতে হলে এসডিএফকে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করে একটি সাহসী দূরদর্শী পথচিত্র(রোডম্যাপ) তৈরি করতে হবে।

একটি সম্মিলিত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এসডিএফের জন্ম। আর তা হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের জীবনযাত্রার মানউন্নয়ন এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা। এর মূল উদ্দেশ্য‍ হলো টেকসইউন্নয়নের জন্য একটি প্রভাবক হিসেবে কাজ করা, যেখানে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সম্পদ দক্ষতাকে কাজে লাগিয়েসম্মিলিত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করা যায়। এসডিএফের তহবিল পরিচালনার জন্য রয়েছে তিনটি শাখা: সামাজিক শাখা, অর্থনৈতিক শাখা অবকাঠামোগত শাখা। প্রতিটি শাখাই বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মপন্থাব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সামাজিক উন্নয়নের ভবিষ্যৎ‍ রূপরেখা তৈরি করে থাকে। এর মাধ্যমে সামাজিকশাখা (সোশ্যাল উইন্ডো) দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা লিঙ্গসমতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে।অর্থনৈতিক শাখা (ইকোনমিক উইন্ডো) বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প (এসএমই) উন্নয়নকেউৎসাহিত করে আর অবকাঠামোগত শাখা (ইনফ্রাস্ট্রাকচার উইন্ডো) নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি, পরিবহন এবংডিজিটাল সংযোগ প্রকল্পগুলোর জন্য নিবেদিত। শাখা বা উইন্ডোগুলো অঞ্চলের আর্থসামাজিক ওপরিবেশগত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলার জন্য একটি রূপরেখা তৈরি করে। উল্লেখ্য, সার্কভুক্ত দেশগুলোর সম্পদও দক্ষতাকে একত্র করে এসডিএফ এমন একটি মিশ্রিত শক্তি বা কাঠামো তৈরি করে, যা এককভাবে কোনোদেশের পক্ষে অর্জন করা সম্ভব নয়।

এসডিএফ এরই মধ্যে অঞ্চলজুড়ে জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এর মাধ্যমেসোশ্যাল উইন্ডোর অধীনে এসডিএফ . মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের তিনটি নতুন প্রকল্প চালু করেছে, যাজীবিকা উন্নয়ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা টেকসই শক্তির প্রচারের লক্ষ্যে কাজ করছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণাইনস্টিটিউট (বারি) কর্তৃক চালু করা ক্লাইমেট স্মার্ট রিলে টেকনোলজি দেশে কৃষি পদ্ধতিতে বিপ্লব ঘটাচ্ছে।পাবনায় কৃষকরা টেকসই পদ্ধতিগুলো গ্রহণ করছেন, যা শুধু তাদের খামারের সমৃদ্ধিই নয়, তাদের পরিবারেরঅর্থনৈতিক সাফল্যেও অবদান রাখছে। এছাড়া ২০১৩ সাল থেকে এসডিএফ বাংলাদেশের সেন্টার ফর দ্যরিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজডের (সিআরপি) সঙ্গে অংশীদারত্ব করে সার্ক সদস্য রাষ্ট্রগুলোরপেশাদারদের জন্য রিহ্যাবিলিটেশন সায়েন্সে মাস্টার্স প্রোগ্রামে বৃত্তি প্রদান করছে। তহবিলটি সিআরপিতে একটিআন্তর্জাতিক হোস্টেল, একটি লাইব্রেরি, একটি কম্পিউটার ল্যাব এবং একটি ৪০০ কেভিএ পাওয়ার সাবস্টেশননির্মাণেও সহায়তা করেছে, যা শিক্ষা গবেষণা ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশাল ভূমিকা রেখেছে। ইকোনমিক উইন্ডোবাণিজ্য বিনিয়োগকে সহজতর করেছে যেমন সার্ক ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন ফান্ড প্রকল্পের মাধ্যমে -শুল্ক বাধাহ্রাস এবং আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। শ্রীলংকায় এসডিএফ-সমর্থিত এসএমই ক্লাস্টারগুলো চাকরিসৃষ্টি করেছে এবং বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করেছে। ইনফ্রাস্ট্রাকচার উইন্ডোরঅধীনে এসডিএফ রূপান্তরমূলক প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ভুটানে ১৩ মিলিয়ন ডলার দিয়েএকটি এটিআর ৪২-৬০০ বিমানের অর্থায়ন করা হয়েছেযা ইকোনমিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার উইন্ডোর অধীনেপ্রথম ঋণএটি ড্রুক এয়ার লান্সের মাধ্যমে সার্ক অঞ্চলগুলোয় নতুন রুট অন্বেষণের সুযোগ তৈরি করেছে, যাআঞ্চলিক সংহতি সংযোগ বৃদ্ধির এক নিদর্শন।

এসডিএফের উপরোক্ত তিনটি উইন্ডো জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের (এসডিজি) সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবেসামঞ্জস্যপূর্ণ, যা আঞ্চলিক বৈশ্বিক উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান হিসেবে কাজকরছে। সোশ্যাল উইন্ডোর প্রকল্পগুলো সরাসরি এসডিজি- (দারিদ্র্য বিমোচন), এসডিজি- (সুস্বাস্থ্য সুস্থতা) এবং এসডিজি-- (গুণগত শিক্ষা) অবদান রাখছে। উদাহরণস্বরূপ, এসডিএফ অর্থায়িত স্বাস্থ্যসেবা উদ্যোগ ওদক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি প্রান্তিক সম্প্রদায়গুলোর ক্ষমতায়নে সাহায্য করছে, যার মাধ্যমে একটি বিশাল জনগোষ্ঠীরদারিদ্র্য বৈষম্য হ্রাসকল্পে বিশাল ভূমিকা রাখছে। ইকোনমিক উইন্ডো এসডিজি- (শোভন কাজ অর্থনৈতিকপ্রবৃদ্ধি) এবং এসডিজি--এর (শিল্প, উদ্ভাবন অবকাঠামো) আলোকে কাজ করে যাচ্ছে। বাণিজ্য সহায়কপ্রকল্প এসএমই ক্লাস্টারগুলোর অর্থায়নের মাধ্যমে এসডিএফ অর্থনৈতিক সুযোগ বৃদ্ধি করে নতুন উদ্ভাবনকেউৎসাহিত করছে। উদাহরণস্বরূপ, প্রস্তাবিত সার্ক ডিজিটাল ট্রেড প্লাটফর্ম কাস্টমস পদ্ধতি সহজীকরণ এবংঅ-শুল্ক বাধা হ্রাস করার মাধ্যমে আঞ্চলিক বাণিজ্য সমৃদ্ধিতে সহায়তা করছে, যা বর্তমানে মোট বাণিজ্যের % বৃদ্ধি করতে সমর্থ হয়েছে। ইনফ্রাস্ট্রাকচার উইন্ডো এসডিজি- (সাশ্রয়ী পরিচ্ছন্ন শক্তি), এসডিজি-১১ (টেকসইশহর সম্প্রদায়) এবং এসডিজি-১৩-এর (জলবায়ু কর্ম) সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সার্ক সোলার করিডোর, একটিআন্তঃসীমান্ত নবায়নযোগ্য শক্তি উদ্যোগ, যার মাধ্যমে এসডিএফ পরিচ্ছন্ন শক্তি জলবায়ু সহনশীলতায় একপ্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে চলেছে। একইভাবে পরিবহন নেটওয়ার্কে বিনিয়োগ সংযোগ অর্থনৈতিক সংহতিবৃদ্ধিতেও বিশাল ভূমিকা রাখছে। তবে এত সব কার্যপরিধি সম্ভাবনা সত্ত্বেও এসডিএফ বেশকিছু চ্যালেঞ্জেরমুখোমুখি হচ্ছে, যা এর কার্যকারিতাকে কিছুটা হলেও বাধাগ্রস্ত করছে। প্রাথমিক মূলধনসহ এসডিএফেরপ্রাথমিক সম্পদ সমগ্র সার্ক অঞ্চলের বিশাল উন্নয়ন চাহিদা মেটানোর জন্য অপর্যাপ্ত বলে অনেক বিশেষজ্ঞেরধারণা। পরিপ্রেক্ষিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অবশ্যই তাদের অবদান বৃদ্ধি করে তাদের কার্যপরিধি বাড়াতে হবে।এসডিএফকে অবশ্যই স্বাস্থ্য জলবায়ুর মতো -বিতর্কিত খাতগুলোর ওপর বেশি জোর দিতে হবে, যাতে আস্থাও গতি তৈরিতে সহায়ক হয়। জটিল অনুমোদন প্রক্রিয়া দুর্বল প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা প্রকল্প বাস্তবায়নকেবাধাগ্রস্ত করে। এজন্য প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অঞ্চলেরবেসরকারি খাত বড় আকারের প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে অনিচ্ছুক, কারণ তারা ঝুঁকি অনুভব করে। সেজন্যএসডিএফকে গ্যারান্টি এবং মিশ্র অর্থায়ন ব্যবস্থার মাধ্যমে বিনিয়োগের ঝুঁকি হ্রাস করতে হবে।

সার্ক ডেভেলপমেন্ট ফান্ড দক্ষিণ এশিয়ার জন্য আশার আলো হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যা সম্মিলিত চ্যালেঞ্জগুলোমোকাবেলা এবং অঞ্চলের বিশাল সম্ভাবনা উন্মোচনের জন্য একটি অনন্য প্লাটফর্ম প্রদান করে। এর তিনটিউইন্ডোকে এসডিজির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে, এসডিএফ দারিদ্র্য বিমোচন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জলবায়ুসহনশীলতার মতো রূপান্তরমূলক পরিবর্তন আনতে পারে। তবে দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক, আর্থিক প্রাতিষ্ঠানিক বাধা অতিক্রম করা প্রয়োজন। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অবশ্যই আরো রাজনৈতিক ইচ্ছাপ্রদর্শন করতে হবে, তহবিল বৃদ্ধি করতে হবে এবং প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সহজ করে এসডিএফকে শক্তিশালীকরতে হবে। একই সময়ে তহবিলটিকে মিশ্র অর্থায়ন, গ্রিন বন্ড, যৌথ অর্থায়ন (সিন্ডিকেশন ফাইন্যান্সিং) এবংপিপিপির মতো উদ্ভাবনী অর্থায়ন ব্যবস্থা গ্রহণ করে বেসরকারি মূলধন দক্ষতা আকর্ষণ করতে হবে। সরকার, বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করে এসডিএফ দক্ষিণ এশিয়াকে আঞ্চলিকসহযোগিতা টেকসই উন্নয়নের একটি মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।

সার্কের ভবিষ্যৎ দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর ঐক্য সম্মিলিত সমৃদ্ধির ওপর নির্ভর করে। সার্কডেভেলপমেন্ট ফান্ড সব বাধা অতিক্রম করবে, আস্থা গড়ে তুলবে এবং রূপান্তরমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে, বিশেষ করে ডিজিটাল অর্থনীতিতে। আমরা এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনে রাখতে হবে: “আঞ্চলিক সহযোগিতাশুধু একটি পছন্দের বিষয় নয়এটি আমাদের সম্মিলিত অবশ্যকরণীয় ভবিষ্যৎ পথযাত্রা। তাই একসঙ্গেআমরা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারি, যার পদক্ষেপ নেয়ার এখনই উৎকৃষ্ট সময়।কারণ দক্ষিণ এশিয়া একটি চরম সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে এবং আজকের সিদ্ধান্তগুলোই এর ভবিষ্যৎ গতিপথনির্ধারণ করবে। এসডিএফকে তার অঙ্গীকার (ম্যান্ডেট) পূরণের জন্য ক্ষমতায়ন করে অঞ্চলটি তার চ্যালেঞ্জগুলোঅতিক্রম করে একটি ঐক্যবদ্ধ, সমৃদ্ধ সহনশীল ব্লক হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।

সবশেষে এসডিএফ তার সামনে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে দক্ষিণ এশিয়ার অপার সম্ভাবনাকেপূর্ণতা দান করতে পারে। এর মাধ্যমে আমরা গড়ে তুলতে পারি একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই দক্ষিণএশিয়াযেখানে প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন প্রাণ পায়, প্রতিটি হৃদয় আশায় ভরে ওঠে এবং প্রতিটি পদক্ষেপ এগিয়েযায় সম্মিলিত উন্নয়নের পথে। এসডিএফ কেবল একটি তহবিল নয়, এটি একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন এবং একটিঅঞ্চলের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই মহান লক্ষ্যে এগিয়ে যাই, গড়ে তুলি সার্কেরউজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।

ড. মো. তৌহিদুল আলম খান: ব্যাংকার ফেলো কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউনট্যান্ট

Comments

    Please login to post comment. Login