মাঝরাতে কয়েকটি জারুল গাছ
প্রেয়সীর মত তৃষ্ণার্ত বুক নিয়ে
মেঘের দিকে তাকিয়ে আছে
হৃদয় ফেঁড়ে ভাসমান মেঘ
তাহার চোখে গড়িয়ে পড়ছে
পলক ফেলতেই নেমে আসে
করুনার জল।
প্রতিদিনের মতো
মানুষের আত্মিক বোঝাপড়া
সুবহে সাদিক থেকেই শুরু হয়
ফজরের ওয়াক্ত শেষ হতে না হতেই ;
মক্তবের হাঁক, কচিকাঁচার চিৎকার,
গজলের সুর — নরম স্বরে
উচ্চারিত কালেমার প্রতিটি শব্দ
ব্যাক্তিগত সুখের মতো আমার মায়ের
পদতলে লুটাইয়া পড়ে।
ঘুম ভাঙতেই —
শুনতে পাই দোয়েলের ডাক
দেখতে পাই অস্বচ্ছ অন্ধকার
পবিত্র হৃদয়ের কাছে হৃদয় রেখেই
মেঘের ফাঁকে লুকিয়ে থাকা
নক্ষত্রগুলো কবিতার পৃষ্ঠায় জমতে থাকে
শ্রেষ্ঠ মানুষের বোধ হয়ে।