#লেখিকা____কল্পচোধুরী
#গল্পেরনাম_কল্পনীড়
#১মপর্ব
😇
~গল্পটি অনেক ডার্ক রোমান্টিক, বাবা মেয়ের কাহিনি, আর একটা অসুন্দর অভাগী মেয়ের জীবনি নিয়ে গঠিত~
নতুন লেখক হওয়ার কারনে ভুলত্রূটি মাফ করবেন🥹
পর্ব:০১
চারিদিক যখন সাদা বরফে ঢাকা তখন সেই বরফের আপর দিয়ে ছোট ছোট পায়ের ছাপ এঁকে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে এক রাজকন্যা। পড়লে পায়ের চিহ্ন তার স্কাই ব্লু রঙের ঝকমকে গ্রাউন, হালকা সফেদ রঙের ওভারকোট। কোমর পর্যন্ত ঘন কালো চুল বিভিন্ন রঙের ফুল দিয়ে কাচা হাতে করা বেনী। কোলে তার একটা ছোট্ট বিড়াল ছানা মিনিওরা। আর ওপর দিকে বলিষ্ঠ্য পিটানো শরিরের পুরুষ মানুষ তখন থেকে হন্যতন্য হয়ে খুজে যাচ্ছে কি যেন। দেখে মনে হবে এই ব্যাক্তিটির পৃথিবীর সব ফেলেছেন তা খুজে হন্য হয়ে যাচ্ছে। বরফের ওপর শক্ত বুট জোতা জুড়া হঠাৎ চমকে দাড়ায়। মুখ দেখলে বোঝা যায় যে অনেক পিপাসিত ছিলো সে যেন কয়েক বছর ছুটছিলেন মরুভূমিতে। হঠাৎ সেই ডিসনি প্রিন্সেস কে দেখে তাতেই তার পিপাসা মিটে গেছে। সে দেখতে পায় ও স্কাই ব্লু রঙের সেই ডিসনি প্রিন্সেস তার দিকে এগিয়ে আসছে। একে তো নিজের ছোট গুলুমুল শরীর তার ওপর ওভার কোট আবার কোলে মিনিওরা, সব কিছুর ভারে বরফের ওপর টালমাটাল করে হেটে এগিয়ে আসলো ফাহিমের কাছে। ফাহিম কোলে নিয়ে বুকেমেয়েকে শক্ত করে চেপে ধরে জড়িয়ে নিশ্বাস নিলো। চোখবন্ধ করে আছে, হঠাৎ টের পেলো ছোট নরম তুলতুলে দুটো হাত তার গালে আলতো ছুয়ে বলছে পাপা তুমি কি দুঃখ পেয়েছো? আমি তো মিনিওরা কে খুজতে গিয়েছিলাম। সলি পাপ্পা' বলে জড়িয়ে ধরে পিঠে হাত বুলালো। ফাহিমের পৃথিবী, কলিজা, আত্মা এই আহি,শান্ত হয়ে মেয়েকে কোলে নিয়েই হাটা দিলো গাড়ির দিকে। আহির কোলে সেই মিনিওরা। মেয়েকে গাড়িতে বসিয়ে কাকে সে ডেকে বললো "তোমার মন মতো তো মেয়ে পেয়েছো বিচ্ছু মেয়েকে তো আর দেখে রাখার প্রয়োজন নেই। কেননা আমি তো আছিই সেই তোমার মেয়ে আর তোমার মতো উড়নচন্ডিদের দেখে রাখার জন্য। ডানা মেলে উড়তে উড়তে কোথায় যে হারিয়ে যাও। এই পাখি খুজতে আমি মানুষ যে হাপিয়ে যায় তা তোমরা বোঝ না।" বলেই চলে গেলো একটা হট কফি আর দুইটা বিভিন্ন রঙের মিশ্রনে তৈরি আইসক্রিম আনতে। তখন কেন মেয়েকে না পেয়ে হাতের কফি আইসক্রিম কোথায় ছুড়ে মেরেছে কেজানে। আইসক্রিম এনে মেয়ের হাতে দিয়ে আর একটা গাড়ির ছিটে রেখে নিজে গাড়ি চালাতে লাগলো আর বললো এই ঠান্ডা তে তোমাদের মতো কে আইস ক্রিম খায় জানিনা।ফিনল্যান্ডে শীত এবা অনন্য অভিজ্ঞতা। দিনের আলো কম, রাতগুলো দীর্ঘঃ -আর চারপাশে ঢেকে থাকে বরফের দল। বেলা ১১ টায় ওঠে,আবার ১টা ৩০ এ ডুবে যায়। ফাহিমের কাছে শীত মানে কেবল ঠান্ডা, অন্ধকার আর তার বউ এর কাছে তা অনেক শান্তির- আনন্দের, তার বউয়ের মতে শীত কাল হলো নিজের সাথে কাটানোর সেরা সময়। দ্রুত বেগে চুটে চলা গাড়িটি এসে থামলো এক অসমভব সুন্দর নীড় এ, ইট সিমেন্টের তৈরি দোতলা বাড়ি হলেও যে কোন বড় দালান কোঠা থেকে সুন্দর। যারা সৌখিন মানুষ অদের জন্য খুবই প্রিয় হবে এই বাড়িটি। বাড়ির গেটেএকটু টুকরো কাঠের নেম প্লেটে লেখা "পাখির কল্পনীড়" তার পাশে তিনটে রঙে ডোবানো হাতের ছাপ। মেয়েকে কোলে নিয়ে সদর দরজা ঠেলে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করলো ফাহিম। দরজর পাশে লেখা "পাখির নীড়ে স্বাগতম", আহি সুন্দর মতো জুতোজোড়া সু ক্যাবিনেটে রেখে দিলো। ফাহিম বরাবরের মতোই জুতো পড়েই চলে যেতে নিলে দাঁড়িয়ে পড়ে দেখতে পায় চোখ ছোট করে বুকের ওপর দুই হাত জড়িয়ে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে আহি। ফাহিম কে তাকিয়ে থাকতে দেখে হাত দিয়ে একদিকে ইশারা করলো। ফাহিমতাকিয়ে দেখে স্টিকনোটে লেখা -জুতাজোড়া খুলে সুন্দর বারে সুর্যাকে রাখুন-। ফাহিম ওপর পাশে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলে দিন দিন তো নিজের ফটোকপি বানাচ্ছো। এই তুমি সারাদিন ভয় পেতে মেয়ে তোমার মতো দেখতে হলে কি হবে। রাতে গল্পের বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়েছে আহি। ফাহিম নিত্য দিনের মতো মেয়ের কপালে চুমু খেয়ে গায়ে ভালো করে চাদর দিয়ে মেয়ের পাশে তাকিয়ে বললো "পাখি তুমি দেখলে তোমার মেয়ে সারাদিন পুটি ঘিন্নির মতো আমাকে বকে। -তোমার এই ফটোকপি কোথায় পেলে?
#কল্পনীড়
#উপন্যাস