
আমরা যা চিন্তা করি সেটি আমাদের চিন্তা না!
আমরা যা দেখি তা সত্য না!
মিডিয়া আমাদের মাইন্ডসেট করে দেয়।অথচ আমরা উপলব্ধিও করতে পারি না!
আমরা কেউই নিরপেক্ষ না!যেকোনো বিষয়ে আমরা ভাইয়াসড না হয়ে পারি না!
কথাগুলো ফিলোসপিক্যাল,প্যারাদয়ক,জটিল ও অবাস্তব মনে হলেও,এটাই সত্যি যে, আসলে আমরা কেউই আমাদের না!
কি বিশ্বাস হচ্ছে না?আচ্ছা আপনি যে এতদিন জানতেন দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে,আস্ত একটা সিঙাপুর হয়ে যাচ্ছে, উন্নয়ন আর উন্নয়ন -সেসব কি মিথ্যা ছিল না?ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ কি মিথ্যে আশ্বাস ছিল না?
দূর্নীতির দূর্লভ নথিগুলি প্রকাশের পূর্বে কে জানতো,এ সব-ই ছিল গালগল্প,বানানো ইউটোপিয়া?
এই শতাব্দির শুরুতে বর্তমান সুপারপাওয়ার "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র " ৯/১১ এর পর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে যে নব্যসন্ত্রাসের রাজত্ব কয়েম করেছিল,কয়জন তার বিরোধিতা করেছে-জানা আছে?কেউ করে নি!বরং সকলে এই সুযোগে একযোগে মেতে উঠেছিল এথনিক ক্লিনজিং,রিলিজিয়াস রিপ্রেশন,ভিন্নমকে মাটিচাপাদান ,বিরোধী দলকে দমনের মতো মতনবতা ও মানবাধিকার বিরোধী কর্মকান্ডে!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ, যেখানে শতভাগ জনগন শিক্ষিত, গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত, রয়েছে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট স্বাধীন আইনবিভাগ (কংগ্রেস), সেখানেও অনুমোদন পায় মানবতাবিরোধী অভিযানসমূহ!
আমেরিকা আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালিয়েছে,তালেবান সরকারের পতন ঘটিয়েছে।মেহমানদের মেজবানি করানো ইসলাম ধর্মের ধর্মীয় নীতি।শত্রুর হাতে হস্তান্তর মূল্যবোধ বিরোধী।
তালেবান তাই ধর্ম মানতে গিয়ে ধরাশায়ী হয় আমেরিকার হাতে।
২০০৩ সালে ইরাকে আক্রোমনের ক্ষেত্রেও মার্কিন জনগণের ব্রেইনওয়াশ করেছে মার্কিন মিডিয়া। ফলে যুদ্ধে সকল মার্কিনিদের সমর্থন পায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ফরেইন পলিসির একটা হিসেব হচ্ছে রাষ্ট্র যখন সংকটে পড়ে, যেমন যুদ্ধ বা অন্য রাষ্ট্রের সাথে সংঘাত, তখন সরকারের ওপর জনগনের সমর্থন বা নির্ভরতা বেড়ে যায়।ইরাকে আক্রোমনের সময়ও দেখা যায় তৎকালীন মার্কিন প্রসিডেন্ট জর্জ বুশের সমর্থন বেড়ে যায় ৬৫%।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সহ সকলেই তাই নির্বাচনের আগে ফিলিস্তিনে আগ্রাসন চালায় বা একটা অঘটন ঘটায়।
নওয়াম চমস্কির প্রপান্ডা মডেলটি এনালাইসিস করলে অন্তত এতটুকু ক্লিয়ার হতে পারবেন যে, প্রোপাগান্ডা হচ্ছে ডিমোনাইজেশনের হাতিয়ার। অনুধাবন করতে পারবেন আমরা যা দেখি তা সত্য না।আমাদের চিন্তা চেতনা আমাদের না।আমাদের চিন্তার একটা শেইপ তৈরি করে দেয় আন্য কেহ।
ডিমোনেজেশনের মাধ্যমে খুব সহজে ডেভিল বা শয়তানে পরিনত করা যায় কাউকে!এর প্রকৃষ্ট উদাহরন পুতিন।পুতিন পশ্চিমা বিশ্বে ডিমোনাইজড্।
বিশবব্যাপী নিখুঁতভাবে এহেন কাজ করে যাছে পাশ্চাত্যের হলুদ মিডিয়া!
আরো পড়ুন~
'শব্দ-বোমার' বিষ্পোরন বোমার চেয়ে ভয়ঙ্কর!
সংস্কার কথাটি ন্যারেটিভ নাকি নতুন ফ্যাসিস্টের ফাঁদ?