রেনজির মৃত্যু মন্দিরকে শোকাবহ করলেও, আগুন থেমে যায় না।
ইরোর চোখে এখন শুধুই প্রতিশোধ নয়—এক পরিবর্তনের শপথ।
সে দাঁড়িয়ে আছে রাইগেনের বিপরীতে, যার মুখে প্রথমবারের মতো উদ্বেগ।
রাইগেন বলে,
“তুই এখন রক্তচক্রের সপ্তম স্তরে পা দিয়েছিস। কিন্তু তোর শরীর… ধ্বংস হয়ে যাবে।”
ইরো জবাব দেয়,
“আমি ধ্বংস হবো, কিন্তু আমি আমার ভাইয়ের স্বপ্ন শেষ করব না।”
কাইজি ইরোর পাশে দাঁড়ায়।
সে বলে,
“রাইগেন, তুমি ভাবছো তুমি চক্র সৃষ্টি করেছো, কিন্তু সত্যি হলো—আমরা ছিলাম একেকটা গল্প। এখন সেই গল্পের শেষ সময়।”
রাইগেন ডাকে তার প্রকৃত চক্ররূপ:
তার শরীর থেকে বেরিয়ে আসে এক দানবীয় অবয়ব—
“ছায়ার রাজদণ্ড” আর “অগ্নি-জালের অন্তরাল”।
ইরো জবাব দেয়,
“রক্তচক্র: অষ্টম স্তর — উত্তরাধিকার বিস্ফোরণ!”
তার পিঠে দুটি পাখার মতো আগুন ছড়ায়। চোখে ছায়া আর আলো একসাথে।
রেনজির রক্ত এখনও তার হাতে। আর সেই রক্ত দিয়েই সে নিজের শক্তিকে বেঁধে ফেলে চক্রের কেন্দ্রে।
লড়াই শুরু।
রাইগেনের দানব একের পর এক আগুন-ছায়া ঝড় পাঠায়।
ইরো উড়ে যায় সেই তরঙ্গের ভিতর, প্রতিটি আঘাতকে ছিন্নভিন্ন করে।
তার হৃদয় গর্জন করছে—
“আমরা কেউ অস্ত্র না। আমরা মানুষ। ভাই। সন্তান। বীর।”
শেষ মুহূর্তে, ইরো এক হাত রাইগেনের বুকে রাখে।
“চক্রভ্রষ্ট বিধ্বংস-তেজঃ— রক্তশেষ!”
এক তীব্র আলো বেরিয়ে আসে ইরোর শরীর থেকে।
রাইগেন ধ্বংস হয়ে যায়—এক ছায়ার ধুলায় পরিণত হয়।
নীরবতা।
চারপাশ নিস্তব্ধ।
রক্তচক্রের মন্দির ধসে পড়ে।
কিন্তু ইরো… সে পড়ে যায় মাটিতে।
তার শরীর জ্বলছে ধীরে ধীরে।
কাইজি চিৎকার করে—
“ইরো! থেমে যা! তুই মরবি!”
ইরো মুচকি হেসে বলে,
“আমরা কেউ চক্রের মালিক না। আমরা শুধু স্বপ্ন দেখে যাই, কেউ যেন একদিন… আলোয় হাঁটতে পারে।”
শেষ দৃশ্য।
ইরোর দেহ আগুনে বিলীন হয়ে যায়।
তবে বাতাসে ভেসে থাকে তার গলার আওয়াজ—
“ভবিষ্যৎ মুক্ত হবে, যদি কেউ আবার বিশ্বাস করে।”
চলবে…