লেখক: বিদ্যুৎ
আমি কখনো চাইনি এই গল্পটা লিখি। না, কারণ আমি প্রেমে পড়িনি… বরং, কারণ আমি প্রেম হারিয়েছি।
আমার টেবিলের ডান কোণায় পড়ে আছে একটা পুরনো নীল চিরকুট। সেই চিরকুটে লেখা—
“তুই লিখতে পারিস, কিন্তু কি পারবি ভুলতে?”
স্বাক্ষর ছিল না, কিন্তু আমি জানতাম… ওটা রুহির লেখা।
রুহি আমার কল্পনার চরিত্র ছিল না, ছিল বাস্তব। আমার প্রথম পাঠক, আমার প্রথম পাঠ… আর প্রথম হারানো ভালোবাসা।
আমাদের গল্পটা শুরু হয়েছিল এক লাইব্রেরির ছোট্ট টেবিল থেকে। আমি লিখছিলাম, সে পাশে এসে বলেছিল,
— “তুই কি নিজের গল্পে কাউকে ভালোবাসতে পারিস?”
আমি তখন হেসে বলেছিলাম,
— “যাকে ভালোবাসা যায়, তাকে গল্পে ফেলা যায় না। সে গল্পকে ভেঙে ফেলে।”
সে আমার গল্প ভেঙেছিল ঠিকই—কিন্তু তার ভাঙন থেকেই আমি আমার সবচেয়ে সুন্দর গল্পটা লিখি।
নাম দিয়েছিলাম—"তুমিই শেষ পৃষ্ঠা"।
এই গল্পে রুহি ছিল প্রথম পাতার হাসি, মধ্যভাগের কষ্ট, আর শেষ লাইনের কান্না।
লেখার সময় আমি জানতাম না, এই গল্পটা আমাকেই শেষ করে ফেলবে।
প্রথম পর্ব লিখতে গিয়েই আমি টের পাই—এই গল্প, শুধু কাগজের নয়। এই গল্প আমার হাড়ের ভেতরে গাঁথা।
প্রতিটি শব্দ আমি কাঁদতে কাঁদতে লিখেছিলাম, প্রতিটি বাক্যে রুহির ছায়া খুঁজেছি।
আর প্রতিবার গল্পের শেষ লাইনে লিখেছি—
“রুহি, তুই ফিরে আয়। আমি এখনও লিখি… তোকে নিয়েই।”
---