সন্ধ্যার আলো নরম হয়ে নামছিল। শহরের ব্যস্ত রাস্তাগুলো একটু একটু করে শান্ত হচ্ছিল। ক্যাফের এক কোণে বসে আরিয়ান চুপচাপ তাকিয়ে ছিল মেয়েটার দিকে — নীলা।
নীলা তার চিরচেনা হাসি নিয়ে গল্প করছিল বন্ধুদের সাথে, অথচ আরিয়ানের মন পড়ে ছিল একটাই প্রশ্নে — "ও কি কখনো বুঝবে?"
আসলে নীলার জীবনে ছিল রং, উচ্ছ্বাস আর মুক্তির গন্ধ। আর আরিয়ান? সে ছিল নীরব, অপেক্ষার এক অবিচল ছায়া। প্রতিদিন তারা দেখা করত, কথা বলত, হাসত, অথচ মনের ভেতর জমে থাকা কথাগুলো যেন শব্দ খুঁজে পেত না।
একদিন নীলা হঠাৎ বলল, "আরিয়ান, জানো? আমি কতোটা ভাগ্যবান যে তোমার মতো একটা মানুষ আমার জীবনে আছে!"
আরিয়ান শুধু মুচকি হাসল। বলল না, "আমি চাই শুধু বন্ধু না, তোমার পুরো জগত হই।"
সময় গড়াল। নীলা জীবন নিয়ে ছুটে চলল তার স্বপ্নের পেছনে। শহর পাল্টাল, গল্প পাল্টাল। তবুও, আরিয়ান থেমে থাকল তার জায়গায় — একটা অসমাপ্ত অপেক্ষায়।
হয়তো কোনো একদিন, যখন নীলা ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসবে শহরের কোলাহল থেকে, আরিয়ানের চোখে সে খুঁজে পাবে এক অনন্ত শান্তি।
হয়তো কোনো একদিন, যখন সব গল্প শেষ হয়ে যাবে, তখন তারা শুরু করবে তাদের দুজনের এক নতুন গল্প।
হয়তো…
হয়তো তুমি একদিন আমার হবে।