বাউল হইবার মূল শর্ত হইল ধর্ম ও সংসার জীবন পরিত্যাগ। আমার মতে চেয়ে অসাম্প্রদায়িক আর লিবেরাল আর কিছু হইতে পারেনা। জাত পাত নাই, কেউ কয়না - "ওই মিয়া তোমার দাড়ি কই?"। কোন পুরুষতন্ত্র নাই, হাসে গান গায়। মতি-মাহফুজের ওয়ান্ডার মেন। জর্জ সরোসের পেট্রন সেইন্ট।
কিন্তু আশ্চর্য কথা হইল এই লিবেরালিজম রক্ষা করতে গিয়া তারা নিজেদের ইউনিফর্ম আবিষ্কার করছে (মাও সে তুং স্টাইল), যা কিনা ক্লাসিক ফ্যাসিস্টরা করে। স্ট্রিক্ট লাইফস্টাইল বানাইছে। মানে স্ট্রিক্ট ফ্রি ফকীরি লাইফস্টাইল। । ফ্রী বইলা গ্রামীন ফোনের ম্যানেজার হইলে হইবে না। উদ্দেশ্যহীন হইতে হবে, ভিক্ষা করতে হবে। পুরাই ফকীরি চাই। খুবই রক্ষনশীল লিবেরাল।
তারপরও বাউলদের মধ্যে মুনাফিক বাইর হইত। মুনাফিক মানে ধর্ম কর্মে বখে যায়, বিয়ার শাদি করে। তাঁর জন্য বাউলদের ফাইনাল পরীক্ষা ছিল প্রেম ভাজা নামক বস্তু খাওয়া। (এখন গুগল কইরেন না এইটা কি বস্তু, অন্তত খাওয়ার টাইমে না)। আশাটা ছিল এইটা খাইয়া বাউল হইলে সহজে ছাড়বেনা। মুনাফেকদের অবশ্য শাস্তি হইল সমাজে ফেরত গিয়া বিয়ার শাদি করা। এইটা ভালো। কুদ্দুস বয়াতির ছেলেও বয়াতি। আমাদের কমরেড রাশেদ খান মেননও আল-হাজ্ব। কি একটা দেশ!
মাগার হেগো দর্শনের ঝামেলাটা হইল যে, জাত গেল জাত গেল তো কেউ আর কয়না, তাইলে মামা সত্য কাজে কেউ নয় রাজি কেন? ধর্মতো এখন মসজিদ আর মন্দিরেই বন্দি। তাইলে কি নিয়া এত ফকীরি দেখাইলা। কেউ রাজি না ক্যান। যারা ফকীরি মারায় তারাই সবচেয়ে মিথ্যা কাজ করে ক্যান? তাইলে কি লালন হাই এন্ড মাইটি, নাকি খালি "হাই" আছিল?
আর ফকিরিও কি এক ধরনের আতিশয্য না? ফকীরি তো শুধু সত্যিকার ফকিরেরই থাকে। বাকি সবই ভবের খেলা না খেলার খেলা। ফকীরি থাকা আর মারানো তো এক না, নাকি?
আজকালের মডার্ন সেকুলারদেরও দেখবেন সেই একই বিকার। সবই লিবেরাল থাকে, হেরপর মুন্তাসির আর মুরগি কবীর লিস্ট বানানো শুরু করে কে কে লিবেরাল না। হ্যা? সামনে আইনা জবাই কর!
সব লিবেরাল দর্শন এক একটা পাহাড়ী ঢাল। লিবেরাল সব স্বপ্নই ঢালে গড়িয়ে মাওয়ের/স্টালিনের ডিস্টোপিয়ান দুঃস্বপ্নে মেলে। তখন এইটা আবার হইয়া ওঠেনা। মানস মাইনে নেয়না। লালনের মতই দর্শনহীনতার বসন্ত নিয়া নদীতে ভাইসা বেরান লাগে।
Like
Comment
Share