আমি সেই নিষিদ্ধ কবিতা,
যাকে পুড়িয়ে দিয়েছে ক্ষমতার আগুন,
কিন্তু ছাই থেকে ভেসে বেড়াই
নিষ্প্রাণ শহরের প্রতিটি প্রান্তরে।
আমি সেই অদৃশ্য কালি,
যা লিখে যায় পলাতক ইতিহাস
রাষ্ট্রের সবচেয়ে পরিষ্কার দেয়ালে
আমার কোনো নাম নেই
আমি শুধু এক মুঠো ধুলো,
যে ধুলো জমে আছে
তোমার জানালার গ্রিলে
আমি সেই অনিবার্য ধ্বংস,
যা প্রতিশোধ নেয় নির্জনে
আমি সেই শেষ মশাল,
যা নিভে না প্রলয়ের দমকে।
আমার হাতে এখন শুধু
ভাঙা কাচের টুকরো
আর অর্ধেক পোড়া ডায়েরি,
যার পাতায় পাতায় আঁকা
নবদিগন্তের অস্পষ্ট মানচিত্র
এই তো বিপ্লবের গান,
পাথরের কান্নায় এক অভিশাপ,
যেখানে প্রতিটি পতন
জন্ম দেয় নতুন অন্ধকার।
এই তো আমাদের ইতিহাস,
অদৃষ্টে লেখা সেই বাণী —
কিছুতেই কিছু বদলায় না,
বিদ্রোহের চিতা জ্বলছে অবিরত
আর যখন তুমি ভাববে
সব শেষ হয়ে গেছে,
ঠিক তখনই,
কোনো এক অজানা শিশুর চোখে
আমি ফিরে আসব
নতুন এক কাব্য হয়ে
আজ এই ধ্বংসস্তূপে
অন্তিম সত্যের মিছিল গড়ি,
তোমার আমার সমস্ত পাপ
একাকার করে ফেলি
রাত যখন নিঃশ্বাস নেয়,
আমি লিখে যাই অদৃশ্য অক্ষরে —
আমরা একদিন এখানে দাঁড়িয়েছিলাম
বদলে দেব বলে...