দীর্ঘ ত্রিশ বছর একসাথে কাটানোর পর, রাহেলা একদিন হঠাৎ করেই নিজের স্বামী নাদেরকে একটি চিঠি লিখে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। নাদের হতবাক হয়ে যায়—কিছুই তো বুঝতে পারছে না। তাদের জীবন ছিল শান্ত, সহজ। অন্তত সে তাই ভাবত।
চিঠিতে লেখা ছিল:
"প্রতিদিন তুমি হয়তো আমাকে ভালোবাসা দাওনি, কিন্তু আমি তোমার চায়ের কাপ ধোয়া, অফিসের জুতো ঠিক করে রাখা, কিংবা প্রতিরাতে তোমার ঘুমিয়ে পড়ার পর কাঁপা কাঁপা হাতে তোমার চাদর টেনে দেওয়াকে ভালোবাসা মনে করতাম। কিন্তু একসময় মনে হলো, আমি শুধু অভ্যাসে বেঁচে আছি। হয়তো তুমি ভালোবাসো—কিন্তু সেটা আমি আর অনুভব করতে পারি না। তাই আজ আমি খুঁজতে বের হলাম সেই ভালোবাসাকে, যা অনুভব করা যায়, বোঝা নয়।"
নাদের প্রতিদিন সকালে উঠে চিঠিটি পড়ে, নীরব হয়ে চায়ের কাপের পাশে রেখে দেয়। কিছুদিন পর, সে একদম বদলে যায়—ঘর গোছায়, নিজে রান্না শেখে, আয়নায় নিজের চোখে তাকায়।
- এক বছর পর, রাহেলা ফিরে আসে—চুপচাপ দরজায় দাঁড়িয়ে। চায়ের কাপটা তৈরি, পাশে চিরকুটে লেখা—
"তুমি অনুভব করো বলেই আমি আজ আবার চায়ের পাশে বসে আছি।