নতুন পে-স্কেলের দাবি জানাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীদের একটা বড়ো অংশ। সবাই না বলে বড়ো অংশ বলছি তার কারণ আছে। সাধারণভাবে এমন একজন সরকারি চাকরিজীবীও পাওয়া যাবে না যিনি বেতন বৃদ্ধি পাক এটা চান না। তবে চাওয়া আর দাবি করা এক না। দাবি করছেন কারা? যাঁদের বেতন স্কেল মূলত ১০ম থেকে ২০শ পর্যন্ত।
সরকার সর্বশেষ পে-স্কেল ঘোষণা করেছিল ২০১৫ সালে। বিগত কয়েক বছর ধরেই নতুন পে-স্কেলের দাবি জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। গত বছর সরকার নতুন পে-স্কেলের বদলে মূল বেতনের ৫% অতিরিক্ত ভাতা (যা সর্বনিম্ন ১০০০/-) পে-স্কেলের সাথে সন্নিবেশিত করেছে।
ইদের মধ্যে একটা নিউজে দেখলাম একজন দূরপাল্লার পরিবহনের হেল্পার সাক্ষাৎকারে বলছেন যে, তিনি মাসে ৫০,০০০/- আয় করেন। সবার অবস্থা এক না হলেও বাস্তবতা এই যে ৯ম-১০ম গ্রেডের সরকারি চাকুরের চেয়ে অনেক হেল্পার, রিকশাচালক, সিএনজিচালক এমনকী ভিক্ষুকের উপার্জন বেশি।
নতুন পে-স্কেল ঘোষণার তেমন সম্ভাবনা নেই বলেই মনে হচ্ছে। নতুন পে-স্কেল হলে আমার একটা দাবি আছে; যা আসলে বাস্তবে পূরণ হওয়ার আশা কম। দাবিটা হলো বেতনবৈষম্য দূর করা। বিশ গ্রেডবিশিষ্ট এ ধরনের পে-স্কেল এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের আর কোথাও আছে কি না আমার জানা নেই; আপনারা কেউ জানলে জানাবেন।
২০শ গ্রেডের মূলবেতন শুরু ৮,২৫০/- থেকে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১৪-১৫ হাজার টাকা মাস গেলে ২০শ গ্রেডের একজন চাকুরে বেতন পাবেন। শুরুর এই মূল বেতন পূর্ববর্তী ক্রমে ১০ম গ্রেড পর্যন্ত যথাক্রমে ৮,৫০০/-, ৮,৮০০/-, ৯,০০০/-, ৯,৩০০/-, ৯,৭০০/-, ১০,২০০/-, ১১,০০০/-, ১১,৩০০/-, ১২,৫০০/- ও ১৬,০০০/-।
১ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেড পর্যন্ত মূল বেতন যথাক্রমে ৭৮,০০০/-, ৬৬,০০০/-, ৫৬,৫০০/-, ৫০,০০০/-, ৪৩,০০০/-, ৩৫,৫০০/-, ২৯,০০০/-, ২৩,০০০/- ও ২২,০০০/-।
একজন প্রাইমারির প্রধান শিক্ষকের প্রারম্ভিক মূল বেতন কত জানেন? মাত্র ১১,৩০০/-। এই বেতন বৈষম্য আসলে ওপরের সংখ্যাগুলো দেখে বোঝা যাবে না; এজন্য আপনাকে বৈষম্যকৃত গ্রেডে চাকরি করতে হবে। ঢাকা শহরে আমার মতো ১০ম গ্রেডের একজন চাকুরে কীভাবে সংসার চালান তা আমি বুঝতে পারি না। চাকরির শুরু থেকেই মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে বারবার একটা প্রার্থনা করে আসছি— ঢাকায় যেন আমার পোস্টিং না হয়। রিজিকের মালিক আল্লাহ তায়ালা। এই বিশ্বাসও আমাকে ঢাকায় অমানবিক কষ্ট করে চাকরি করার সাহস দিতে পারে না।
আরও অনেক কথা বলা যায়। অনেক রেফারেন্স, যুক্তি-তর্ক, আলোচনা উপস্থাপন করা যায়। তবে বিদ্যমান বেতনবৈষম্য এমন একটা বিষয় যা আসলে যুক্তি-তর্ক দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করার ঊর্ধ্বে অবস্থান করছে।
আমি কেবল আমার শ্রেণির অর্থাৎ বেসামরিক শ্রেণির পে-স্কেলের বেতনবৈষম্য নিয়ে এতক্ষণ লিখলাম। এই বৈষম্য সরকারি অন্যান্য পে-স্কেলের মধ্যেও আছে; আবার পে-স্কেল টু পে-স্কেল বৈষম্যও প্রকট। এ সব বৈষম্য অনেক ক্ষেত্রেই সরকারি চাকরিজীবীদেরকে উপরি আয়ের পথে পা বাড়াতে প্রভাবিত করে। এটা নিয়েও দীর্ঘ আলোচনা করা যায়।
যাইহোক কথা শেষ করি। অনেকের মতে আমি প্রেমিক কবি। কেবল প্রেমের প্রশ্নেই উঁচু গলায় উচিত কথা কই। তাই, ওপরের কথাগুলো হালকাভাবে নেওয়ার সবিনয় উপরোধ রইল।
সরকার সর্বশেষ পে-স্কেল ঘোষণা করেছিল ২০১৫ সালে। বিগত কয়েক বছর ধরেই নতুন পে-স্কেলের দাবি জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। গত বছর সরকার নতুন পে-স্কেলের বদলে মূল বেতনের ৫% অতিরিক্ত ভাতা (যা সর্বনিম্ন ১০০০/-) পে-স্কেলের সাথে সন্নিবেশিত করেছে।
ইদের মধ্যে একটা নিউজে দেখলাম একজন দূরপাল্লার পরিবহনের হেল্পার সাক্ষাৎকারে বলছেন যে, তিনি মাসে ৫০,০০০/- আয় করেন। সবার অবস্থা এক না হলেও বাস্তবতা এই যে ৯ম-১০ম গ্রেডের সরকারি চাকুরের চেয়ে অনেক হেল্পার, রিকশাচালক, সিএনজিচালক এমনকী ভিক্ষুকের উপার্জন বেশি।
নতুন পে-স্কেল ঘোষণার তেমন সম্ভাবনা নেই বলেই মনে হচ্ছে। নতুন পে-স্কেল হলে আমার একটা দাবি আছে; যা আসলে বাস্তবে পূরণ হওয়ার আশা কম। দাবিটা হলো বেতনবৈষম্য দূর করা। বিশ গ্রেডবিশিষ্ট এ ধরনের পে-স্কেল এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের আর কোথাও আছে কি না আমার জানা নেই; আপনারা কেউ জানলে জানাবেন।
২০শ গ্রেডের মূলবেতন শুরু ৮,২৫০/- থেকে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১৪-১৫ হাজার টাকা মাস গেলে ২০শ গ্রেডের একজন চাকুরে বেতন পাবেন। শুরুর এই মূল বেতন পূর্ববর্তী ক্রমে ১০ম গ্রেড পর্যন্ত যথাক্রমে ৮,৫০০/-, ৮,৮০০/-, ৯,০০০/-, ৯,৩০০/-, ৯,৭০০/-, ১০,২০০/-, ১১,০০০/-, ১১,৩০০/-, ১২,৫০০/- ও ১৬,০০০/-।
১ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেড পর্যন্ত মূল বেতন যথাক্রমে ৭৮,০০০/-, ৬৬,০০০/-, ৫৬,৫০০/-, ৫০,০০০/-, ৪৩,০০০/-, ৩৫,৫০০/-, ২৯,০০০/-, ২৩,০০০/- ও ২২,০০০/-।
একজন প্রাইমারির প্রধান শিক্ষকের প্রারম্ভিক মূল বেতন কত জানেন? মাত্র ১১,৩০০/-। এই বেতন বৈষম্য আসলে ওপরের সংখ্যাগুলো দেখে বোঝা যাবে না; এজন্য আপনাকে বৈষম্যকৃত গ্রেডে চাকরি করতে হবে। ঢাকা শহরে আমার মতো ১০ম গ্রেডের একজন চাকুরে কীভাবে সংসার চালান তা আমি বুঝতে পারি না। চাকরির শুরু থেকেই মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে বারবার একটা প্রার্থনা করে আসছি— ঢাকায় যেন আমার পোস্টিং না হয়। রিজিকের মালিক আল্লাহ তায়ালা। এই বিশ্বাসও আমাকে ঢাকায় অমানবিক কষ্ট করে চাকরি করার সাহস দিতে পারে না।
আরও অনেক কথা বলা যায়। অনেক রেফারেন্স, যুক্তি-তর্ক, আলোচনা উপস্থাপন করা যায়। তবে বিদ্যমান বেতনবৈষম্য এমন একটা বিষয় যা আসলে যুক্তি-তর্ক দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করার ঊর্ধ্বে অবস্থান করছে।
আমি কেবল আমার শ্রেণির অর্থাৎ বেসামরিক শ্রেণির পে-স্কেলের বেতনবৈষম্য নিয়ে এতক্ষণ লিখলাম। এই বৈষম্য সরকারি অন্যান্য পে-স্কেলের মধ্যেও আছে; আবার পে-স্কেল টু পে-স্কেল বৈষম্যও প্রকট। এ সব বৈষম্য অনেক ক্ষেত্রেই সরকারি চাকরিজীবীদেরকে উপরি আয়ের পথে পা বাড়াতে প্রভাবিত করে। এটা নিয়েও দীর্ঘ আলোচনা করা যায়।
যাইহোক কথা শেষ করি। অনেকের মতে আমি প্রেমিক কবি। কেবল প্রেমের প্রশ্নেই উঁচু গলায় উচিত কথা কই। তাই, ওপরের কথাগুলো হালকাভাবে নেওয়ার সবিনয় উপরোধ রইল।