Posts

চিন্তা

মনে হচ্ছে _ এক রিপোস্ট - ( আনলকড ভার্শন)

April 30, 2025

Susmita R.

Original Author সুস্মিতা R

156
View

পুরাতন একটা পডকাস্ট শুনতেছিলাম (২০১৪ সালের), ক্রাইমিয়ার সেই ভোট হচ্ছিল তখন, আরও অনেক কিছু ঘটছিলো, তো মানুষজন তখন সন্দেহ করছিল, পুতিন আমেরিকার সাথে মিলে জার্মানিরে বিপদে ফেলতেছে নাকি কি হচ্ছে এসব।  আর লোকজন স্নোডেনরেও বিশ্বাস করতে পারছে না, কারণ সে ধান্ধাবাজি কথা বলছে, ভিপিএন না কি যেন ব্যবহার করলেই বালা মুসিবত সব গায়েব হয়ে যাবে এই সব … 
     তখন বিজ্ঞানীরা ডেমোক্রেসি করে বিজ্ঞান অথবা কিছু একটা করছিল -  ক্লাইমেট চেঞ্জ নিয়ে ভোট।  স্মরণে আসছে আরেকটা ভোট হয়েছিল পরে ওরকম।  সেই ভোট ক'দিন পর আবার নিয়ে আবার রেজাল্ট উল্টাতে হলো; (প্লুটো গ্রহ নিয়ে ভোট)।  সেই থেকে ডেমোক্রেসির জাত না যাক বিজ্ঞানের মান তো গেছেই গেছে। এখন কোভিড নিয়ে সবাই ঘাপটি মেরে বসে আছে।  

       মোদ্দা কথা পুতিনও সোভিয়েত না, স্নোডেনও কোনো মাতাহারি না। বেহুদা হাদুমপাদুম করে কলাম কলাম ট্যাঙ্ক পাঠিয়ে বসে থাকলো সপ্তাহের মাঝখানে। এমন গোপন যে মিশন ভোলানাথ বাইডেনও সে কথা জানে, আর আগেআগে তিনি কথাটা খাটো অভিনেতাটাকে বলেও দিলেন। বেচারার বয়স কম ছিল তখন, মিটিং এর দুপুরে সাংবাদিকদের বলে দিলো যে, এতই যদি জানি তাহলে মস্কোর সাথে আমরা কেনো কোনো চুক্তিতে আসছি না। বেচারা ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। এখন সেই স্মৃতিতে কেউ তাকে মাফ করবে না, কিন্তু বাইডেন গংদের কেউ ফুলের টোকাও দেবে না 
    যাহোক বাইডেনের তারিখে সৈন্য মনে হয় রওয়ানা দিতে পারেনি, ছেলেটা বললো ধুর এসব আকথা কুকথা বলে আমেরিকা আমার দেশটাই আউলা ঝাউলা করে ছেড়ে দেলে। লেটুস সৈন্যরা এদিকে পড়িমরি তেল জ্বালানি খাবার দাবার ছাড়াই রওয়ানা হয়ে পড়েছে, কে জানে কে কোথায় তাদের ধমকাই পাঠাইছে। কি সাবেকি সব কাণ্ডকারখানা - কলাম কলাম ট্যাংক হাতির মত সারি বেধে রওয়ানা দিয়েই পৌছাই গেছে, পিছন থেকে আরও আসতেছে, সারা সোভিয়েতের মিউজিয়াম ঝেড়েঝুড়ে, সামনেরগুলোর তেল শেষ - কোনও দিকে যেতে পারছে না, মাঝখানেরগুলোর খাবার শেষ, বাড়িতে হোয়াটসএপ করছে, মা কুরিয়ারে খাবার পাঠাবা? মা বলছে দেখি ফুডপান্ডা যায় কিনা।

     দেশের ছোটরা রেগে তেরিয়া হয়ে গেল, কি বেয়াদবের কাজ এসব, কি আর বলবো বললাম কারো ভালো হবে না এতে। এটুক এখন আন্দাজেই বলে দিতে পারি সব সিচুয়েশনে, বিশেষ করে কো … (ভিড) এর  পর থেকে, যাক সে কথা। 
      তখনও তেমন কিছু ঘটেনি, আচমকা বড়গিরি দেখাতে ট্যাংক দিয়ে ঝাঁকাতে গেছিলো। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জিনিসপত্র। যাইহোক এরপর কি হলো কেউ ঠিকমত বলতে পারে না, রাশিয়ানরা ফ্রেঞ্চ আর কার কার দোষ দিয়ে কি যেন একটা গল্প বলতে চায়, কিন্তু নিজেরাই বোঝে যে হচ্ছে না।  
     এন্টিহিরোর মত প্রতারণার-স্বীকার, আক্রমণকারীর সিনেমা একটু ভালো হল ছাড়া চলে না। আন্দাগুন্দা উদ্ভট দিকে মনোযোগ টেনেটেনে দর্শককে হলে আটকাই রাখতে হয়। বাড়ি গিয়ে যখন মূল কাহিনী নিয়ে দর্শক ভাববে তখন মনটা আরো বিরক্ত হবে। ইউক্রেনরে শিক্ষা দেয়ার আরো ১০১ টা পদ্ধতি ছিলো … কিন্তু হোয়াটসএপ ওয়ালা সৈন্য দিয়ে ন্যাটোকে ঝাকানোই শ্রেয় মনে করা গেল।
     কমেডিয়ান টিম ডিলান বলে লেট বুমাররা মরবে কিন্তু মরার আগে পৃথিবীটা ক্ষয় করে রেখে যাবে, লেট বুমার মানে লেট হিপি। হিপি সিজন শেষ হবার পর তারা হিপিগিরি করতে গেছে, সে বলে, এরা ইতিহাসের প্রথম বড়লোক ভিক্টিম যাদের ভিয়েতনামে যাওয়া লাগেনি বড় কোন কিছু করা লাগেনি, হুদাহুদি তারা ভিক্টিম যাইহোক … এটা আসলে তার পারসোনাল একটা ব্যাপারও তবে সিনেমার ইতিহাসের সাথে আমি বিষয়টার মিল পাই, যদিও ধারনাটা পুরোপুরি ক্রিস্টালাইজ হয়ে ওঠেনা, গ্যাপ থাকে অনেক …  

     এখন ঐ অঞ্চলে সারা পৃথিবী থেকে সাধারণ মানুষদের নিয়ে যাচ্ছে সৈন্য হতে, কাগজপত্র সই হতে না হতেই তারা মারা পড়ছে; এগুলো ঠিক না। ভাড়াটিয়া দিয়ে যুদ্ধ করে কি জিতবে কে? আজকাল কে কি বোঝে কোনো কিছু আর অনুমান করে নেবার উপায় নেই, সুতরাং  … সবই আলাপ করা লাগে। 
     যুদ্ধ শুরু করেন, বন্ধ করেন সভ্রেন; পাবলিক আর যেতে চায় না যুদ্ধে তবু যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায় না, ক্যাপিটালিস্ট সভ্রেন ছেলেধরা করে বেড়াচ্ছেন। রুশরা ইউক্রেনিয়ান বা তাদের মারসেনারিদের মারতে চাচ্ছে না। 
     যুদ্ধে তো হেরে গেছেন সেদিন যখন ন্যুল্যান্ডের এত ক্লিয়ার সুন্দর অডিও কোথাও কোনো ডেন্ট ফেলতে পারলো না। মারহাবা! ছোটবেলা থেকে পড়ে আসা সোভিয়েতের বাগিং এর সব জোকস সব গল্প সার্থক! জোস অডিও! কত বছর আগের সেই কল, গোল্ড মেডালিস্ট ফোনালাপ একটা। লাভ কি হলো? স্ক্রু বেশি টাইট দিলে প্যাঁচ কেটে যায়। কেউ পাত্তাই দিলো না। 

     আমরা কি দেখিনি ছোট্ট একটা গ্রাম দিনভর বোমাবাজি করে কেউ এক ইঞ্চি আগালেন না, সারা গ্রামে আছে শুধু তিনটা বুড়ি যারা আল্লাহ মালুম  নেপোলিয়নের আমল থেকে ওভাবেই হেঁটে বেড়াচ্ছে, কোন ওয়ারের কথা তারা বলছে তারাই জানবে। তখন কেউ কোথাও মরলো না, সাইরেন দিয়ে বোম্বিং শুরু করলেন, কত উন্নত টেকনিক মানুষ মারার। আমরা এসব তো জানিনি। 

     নিজের ইচ্ছায় গিয়েছেন – নিজের ইচ্ছায় কি বের হতে পেরেছেন – আগেই ফ্রেঞ্চ আর কারে কারে কিয়েভের জন্য দোষ দিয়েছেন। কে জানে নিখুঁত তথ্য পেতেপেতে জ্ঞানী লোকেরা আননোন আননোন এর অপশন মনে রাখে কিনা। বিখ্যাত সেলসম্যান রামসফেল্ড এর কাছে এটা শুনেছিলাম। ইন্ট্রিগিং লেগেছিল – ফ্রডদের স্টাইল। সব সময় বিশালতা দেখাই হাত সাফাই মারা। চাঁন তারা দেখাই বাঁশি ধরাই চুপি সারে কেটে পড়া। বাঁশি সে তো বাজে না ... 
      চাইনিজরা নাকি সব কিছু আঠা দিয়ে করে, নো স্ক্রু। সত্যি কিনা কে জানে। কি করে জানবো আমাদের পডকাস্টাররা পর্যন্ত ফাঁকিবাজ, বলে, তার আড়াইশো বছর আগে কি হয়েছিল পড়ে দেইখেন। হোমওয়ার্ক দিয়ে দিলো। যেন চল্লিশ বছর আগের অলস শিক্ষক, নিজেও আসলে কিছু বোঝে কিনা সন্দেহ লাগে, আর এত পড়ে শুনে কচু হবে, ঐ তো সব লেখা - মগ থেকে মারাঠা, তারপর পর্তুগিজ আর্মাডা,  এদিকে দাদু বুঝি চিনা ম্যান, মা? ওখানে দশ জার্মান জগাই একা তবু জগাই লড়ে।
দে গরুর গা ধুইয়ে!  

গরম পড়েছে।


 

Comments

    Please login to post comment. Login