শহরের অন্ধকার রাতে, জাইরেভ একা বসে আছে তার ছোট্ট ঘরের জানালার পাশে। তার মন ভারাক্রান্ত। আজ তার ১৬ তম জন্মদিন—কিন্তু, এর কোনও আনন্দ নেই। বাড়িতে আলো নেই, কেক নেই, কোন শুভেচ্ছাও নেই। একমাত্র মানুষ, যে তার পাশে থাকে, তা হলো তার ছোট ভাই আয়ান। আয়ান, একেবারে তার বিপরীত—স্মার্ট, জনপ্রিয়, সবার প্রিয়। আর জাইরেভ? সে তার ভাইয়ের ছায়ায় হারিয়ে যায়।
আজকের মতো, আয়ানও আজকের বিশেষ দিনে কোথাও চলে গেছে। স্কুলের বন্ধুরা নিয়ে ট্রিপে, ফিরে আসবে রাতের মধ্যে।
“যদি আমি একদিন বদলে যাই, কেউ কি আমাকে চিনবে?”
নিজের এই প্রশ্নগুলো ভাবতে ভাবতে, জাইরেভ জানালার বাইরে তাকায়। রাতের আকাশে এক অজানা শূন্যতা, এক ধরনের বিষণ্ণতা। মনে হয়, পুরো পৃথিবী তার বিপক্ষে। কিন্তু একবারই যদি তাকে সুযোগ দেয়া হতো—যেকোনো কিছু বদলানোর, নিজের অজানা শক্তি আবিষ্কার করার।
হঠাৎই, তার মনে হয় কিছু অদ্ভুত ঘটছে। এক ভিন্ন অনুভূতি, যেন কিছু একটা পরিবর্তিত হচ্ছে। ঘরের মধ্যে হালকা অদ্ভুত আলো এবং বাতাস ভারী হতে শুরু করে।
“এটা কি?”
তখনই—
একটা অদৃশ্য স্ক্রিন তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে, এবং লেখা জ্বলে ওঠে।
[SYSTEM INITIALIZED]
User: Zairev Detected
Compatibility: 99.9%
System Mode: "Shadowborn Awakening"
Beginning Synchronization…
জাইরেভ হতবাক হয়ে স্ক্রিনের দিকে তাকায়।
তখনই হঠাৎ, ঘরটা অন্ধকারে ঢাকা পড়ে যায়। দেয়াল থেকে বের হয়ে আসে এক ভয়ঙ্কর ছায়ামূর্তি, যার কণ্ঠে গর্জন—
“তুমি কি বুঝতে পারছো, জাইরেভ? তুমি এত দুর্বল, তোমার অস্তিত্বই মূল্যহীন।”
এমন সময়, এক রহস্যময় শক্তি তার হাতের মধ্যে অনুভূত হতে শুরু করে। কিছু একটা জ্বলে ওঠে তার পেছনের দিকে, চোখে কেমন ঝিলিক দেখা দেয়। তার ভিতর থেকে এক বিপজ্জনক শক্তি টগবগ করে বেরিয়ে আসে। তার হাতের শিরা চঞ্চল হয়ে ওঠে।
Emotion Spike Detected. Unlocking Emergency Skill: Shadow Pulse
Activating…
তার হাত থেকে এক অদ্ভুত তরঙ্গ বের হয়ে যায়, ছায়ামূর্তিটা চিৎকার করে সরে যায়। সমস্ত ঘর আবার স্বাভাবিক হয়ে আসে। কিন্তু এখনো তার ভিতরে কিছু অদ্ভুত অনুভূতি আছে। কিছু প্রশ্ন। কিছু অজানা।
সে দাঁড়িয়ে থাকে, পুড়ে যাওয়া শরীরের সাথে, আর প্রশ্ন করতে থাকে—
“এটা কি… সিস্টেম? কেন আমি বেছে নেওয়া হলাম?”
কিন্তু এই মুহূর্তে, দরজা খুলে আসে।
ছোট ভাই আয়ান ফিরে এসেছে।
“ভাই, তুমি কি ভালো আছো?”
আয়ান হঠাৎ দেখতে পায়, তার ভাইয়ের চেহারা কিছুটা পরিবর্তিত, একটু অন্যরকম। সে অবাক হয়ে তাকায়, কিন্তু তার চোখে আতঙ্ক নেই, বরং কিছু একটা খোঁজার চেষ্টা করছে।
“তুমি কি কিছু অনুভব করছো, জাইরেভ?” আয়ান তার দিকে প্রশ্ন করে।
জাইরেভ ধীরে ধীরে তার ছোট ভাইয়ের দিকে তাকায়। তার মনে আসে সেই সিস্টেমের কথা, ছায়ামূর্তির কথা—আর তার ভেতরে নতুন শক্তির উত্থান।
“আমি জানি না, আয়ান… কিন্তু আমি এখন বদলে যাচ্ছি। এক অজানা শক্তি... সিস্টেম আমাকে কিছু দিতে চায়।”
আয়ান চিন্তায় পড়ে যায়, কিছু একটা জানার চেষ্টা করে। কিন্তু সে কোনও উত্তরের দিকে এগিয়ে যায় না।
“তোমার সঙ্গে কিছু ঘটেছে, জাইরেভ। এটা… ঠিক নয়।”
আয়ান সতর্কভাবে তার দিকে এগিয়ে আসে।
জাইরেভ জানে, তার জন্য এখন এই নতুন পৃথিবী, এই সিস্টেম, সবই এক বিরাট পরীক্ষা। তাকে এই শক্তির সাথে মানিয়ে নিতে হবে। তবে কীভাবে? কীভাবে তার ছোট ভাইকে বুঝাবে যে, তাকে যে সিস্টেম বেছে নিয়েছে, তার পেছনে একটা ভয়ঙ্কর ভবিষ্যত লুকিয়ে আছে?
“তোমার জন্য অপেক্ষা করছে এক অজানা যাত্রা, জাইরেভ… তোমাকে প্রস্তুত হতে হবে।”